পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবিধ প্রসঙ্গ—জয়পুর কল-বিদ্যালয় (te :) AMMMA SAMMJJAMMMMA AeeJ AMSMASAAMMAMMAMMMMMMMMMMA AMMAMMMAJAMMMMMAAMMeAMAA SAMMMMMMMMMMMS ৩য় সংখ্যা ] বেআইনী কাজ ও অত্যাচার দমন করিবার জন্ত কলিকাতা হাইকোর্টের বার লাইব্রেরী হইতে ১৫০০ এবং নমঃপূদ্রদের নিকট হইতে ৬০•• টাকা মোকদ্দমা চালাইবার নিমিত্ত ভুলেন। অধিকাংশ আসামীর শাস্তি হয়। দ্বিতীয় একদল আসামী ফেরার হইয়াছিল। তাহানের বিচারের সময় উপস্থিত হইলে সরকার পক্ষ হইতে এই ওজুহাতে তাঁহাদের নামে মোকদ্দমা তুলিয়া লওয়া হয়, যে, প্রথম দলের শাস্তিতেই স্তায়বিচারের উদ্বেগু সাধিত হইয়াছে। হাইকোটে এই প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে আপীল করায় হাইকোর্ট এই বলিয়া প্রত্যাহারের হুকুম নাকচ করেন, যে, ফেরার হওয়াকে প্রশ্রয় দেওয়া যুক্তিসঙ্গত নহে এবং প্রথম দলের শাস্তি, দ্বিতীয় দলের কোন অপরাধ হইয়া থাকিলে, তাহায় প্রায়শ্চিত্ত বলিয়া গৃহীত হইতে পারে না। ফলে অন্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের দ্বারা দ্বিতীয় দলের বিচার হইয়া শাস্তি হয়। অত্যাচারী ধনশালী ও প্রভাবশালী লোকদের শাস্তি হওয়া কত কঠিন, তাহা যাহারা জানেন তাহার রাজমোহন-বাবুর স্ট্রোর মূল্য বুঝবেন। এই মোকদ্দমার ফলে অমুন্নত শ্রেণীর লোকদের অনেক সাহায্য হইয়াছে, এবং সমিতির প্রতি তাহীদের অনুরাগ বাড়িয়াছে । তাহদের উপর অত্যাচারও কমিয়াছে। এই ঘটনাটিতে বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয়" এই, যে, নমঃপূদ্রের দ্বিজের মত একাদশ দিবসে শ্ৰাদ্ধ করিলে মুসলমানদের কোন সামাজিক বিধি লঙ্ঘিত হয় না। অথচ সামাজিক কুসংস্কারের বিয অনেক মুসলমানকেও এতটা অভিভূত করিয়াছে এবং বে-আইনী লাভের লোভ এবং ধন ও আভিজাত্যের ঔদ্ধত্য এরূপ, যে, মুসলমান জমিদারদের দ্বারা এরূপ একটি অত্যাচার সংঘটিত হইয়াছিল। জেনীভার লীগে “ভারত-প্রতিনিধি” বরাবর যেরূপ হইয়া আসিতেছে, এবৎসরও তাহাই হইয়াছে। জেনীভায় লীগ অব নেশুন্সের অর্থাৎ মহাজাতিসংঘের অধিবেশনে ভারতবর্ষ হইতে প্রতিনিধি প্রেরিত হইয়া থাকে। ইহাদিগকে ভারতবর্ষের প্রতিনিধি বলা হয়, কিন্তু বস্তুতঃ ইহারা ভারতের বিদেশী শাসকসমষ্টির প্রতিনিধি। স্বাধীন দেশের লোকের ও তাঁহাদের উচ্চভূম রাষ্ট্রীয় কৰ্ম্মচারীরা যে অর্থে যতটা এক, ভারতের লোকেরা ও ভারতের উচ্চতম সরকারী কৰ্ম্মচারীরা সে অর্থে ও ততটা এক হওয়া দূরে থাক, তাহাদের স্বার্থ - মোটেই এক নহে। সুতরাং স্বাধীন দেশের গবষ্মেন্টের : দ্বারা মনোনীত প্রতিনিধিরা সেইসব দেশের প্রতিনিধি বিবেচিত হইতে পারে। কিন্তু ভারত সরকারের মনোনীত লোকেরা ভারতের প্রতিনিধি বিধেচিত হইতে পারে না । ভারতবর্ষের পরাধীনতা বৃহত্তম অপমান। তাহা হইতে নানা ক্ষুদ্র অপমানের উৎপত্তি হয়। জেনীভায় র্যাহার ভারতের প্রতিনিধি হইয়া যান, এ পর্য্যন্ত বরাবর একজন ইংরেজকে তাহদের সরদার করিয়া পাঠান হয়। এবার গত বারের মত লর্ড লিটনকে সরদার করা হইয়াছে। র্তাহা অপেক্ষা যোগ্য ভারতীয় লোক আছেন । অথচ র্তাহারা দেশী বলিয়া মনোনীত হন না, লর্ড লিটন ইংরেজ বলিয়া মনোনীত হন । ইহা ভারতের এক লাঞ্ছনা। ইহাতে অন্ত সব দেশের নিকট ভারতবর্ষের মাথা হেঁট হইতেছে। প্রতিনিধিদিগের প্রধানের কাজ করিবার দায়িত্ব ভারতীয়ের থাকিলে তাহার যে অভিজ্ঞতা হইত, তাহা হইতে ভারতীয়েরা বঞ্চিত হইতেছে। শান্তিভবন-বিদ্যালয় কলিকাতায় বাগযাজারের নবীন সরকারের গলির ২০ নং গৃহে রবীন্দ্রনাথের শাস্তিনিকেতন আশ্রমের কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র-অধ্যাপক মিলিয়া প্রায় দুই বৎসর হইল এই শাস্তিভবন বিদ্যালয় খুলিয়াছেন। ইহারা শান্তিনিকেতনের ছাত্র ও অধ্যাপক দুই-ই ছিলেন বলিয়া তথাকার অাদর্শ ও শিক্ষা-প্রণালীর সহিত বিশেষ পরিচিত । এইজন্ত যাহাদের বালকদিগকে শান্তিনিকেতনে পাঠাইবার সুবিধা নাই, তাহারা শাস্তিভবন বিদ্যালয়ে তাহাদিগকে শিক্ষার জন্য পাঠাইলে সুফল পাইবেন। এখন এই বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক ও ৫০টি ছাত্র আছেন। শিক্ষকদের মধ্যে একজন ছাড়া আর সকলেই শাস্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্র এবং তথায় বহুদিন শিক্ষকতা কাৰ্য্যেও অতিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন। ছাত্রগণ প্রতাত হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে থাকে। ইহার ছাত্রাবাসও শীঘ্র খুলিবার ইচ্ছা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিক পরীক্ষার জন্ত ছাত্রদিগকে শিক্ষা দেওয়া হয়। তা ছাড়া বয়-স্কাউটের কাজ, ব্যায়াম ও সঙ্গীত শিখান হয়। ছাত্রদের মধ্যে মধ্যে ভ্রমণ ও বনভোজন হয়। তাহদের নিজেদের সাহিত্যসভা, পত্রিকা, বিচারসভা প্রভৃতি আছে। , জয়পুর কলা-বিদ্যালয় - গত বৎসরের প্রবাসীতে জয়পুর সম্বন্ধীয় প্রবন্ধে তথাকার মহারাজার কলাবিদ্যালয়ের বিষয়ে কিছু লিখিয়াছিলাম। ঐযুক্ত হিরন্ময় রায়চৌধুরী ইহার গ্রিন্সিপ্যাল।