পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مبية - અરે যে, বিলাতী নভেল অধিকাংশ Realistic, কিন্তু দেশী উপন্যাস Idealistic পাশ্চাত্য ভাবানুভূতিকে দেশীয় ভাবের সহিত সংযোজনা করিয়াছেন বলিয়া রবীন্দ্রনাথের বাংলা উপস্কালে নূতন উপাদান স্বষ্টি। রবীন্দ্র-পূর্বোপন্যাস ’zlart: Synthetic—a-priori «qqr Idealistic son— তিনি তাহার গোরা, চোখের বালি প্রভৃতিতে নুতন করিয়া analytic a-posteriori gat realistic strafft, zie করিয়াছেন। এই ঘটনা হইতে আর এক ঘটনার স্বসন এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনানুরূপ চরিত্র সন্নিবেশই ইহার লক্ষণ ।” (১৪) ' উপন্যাসে মানবমনের বহিঃপ্রকাশ অপেক্ষা অন্ত: প্রকাশ রবীন্দ্রনাথের রচনার বিশেষত্ব । * * মনোবিজ্ঞানে বিশ্লেষিত মনের চিত্র যখন আমাদের নিকট নিতাস্ত abstract বলিয়া মনে হয়—তখন যদি এক একটি মনোবুত্তি জীবন্ত মাছুষে অৰ্পণ করিয়া আমরা তাহার কার্য্যকলাপ পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার সুযোগ পাই তাহা হইলে দর্শন শাস্ত্রটা একটা জটিল পদার্থ না হইয়া আমাদের কাছে মোহকরই झग्न |” (sé) এমনি একটা চিন্তার ধারা জর্জ ইলিয়ট পাশ্চাত্য সাহিত্যে বহাইয়াছিলেন এদেশেও রবীন্দ্রনাথ বিশ্বসাহিত্যের সহিত বাংলা সাহিত্যের নিরবচ্ছিন্ন বোগ রাখিতে গিয়া তাহার উপন্সাসের ভিতর দিয়া ঘোষণা করিলেন, “পুথিবীতে যাহার সাহস করিয়া নিজের জীবনের দ্বারা নবনব সমস্তার মীমাংসা করিতে প্রস্তুত হয় তাহারাই সমাজকে বড় করিয়া তোলে। যাহার কেবল বিধি মানিয়া চলে তাহারা সমাজকে বহন করে মাত্র—তাহাকে অগ্রসর করে नीं ।” (२७) রবীন্দ্রনাথের সমসময়ে বা পরে এ যাবৎ বাংলার কথাসাহিত্যের লেখকগণের উপরে জ্ঞানে-অজ্ঞানে, ইচ্ছায়অনিচ্ছায় তাহারই প্রভাব লক্ষিত হইতেছিল । বস্তুতঃ শক্তিশালী মামুষের সংস্পর্শে থাকিলে তাহার প্রভাব মুক্ত হওয়া কষ্টসাধ্য হয়। তথাপি বর্তমান বাংলার সাহিত্য - (১) অক্ষয়কুমার কুত বঙ্কিমচন্দ্র। (১৪) ইন্দুপ্রকাশ বঙ্গ্যোপাধ্যায় (প্রবাসী) (०७) ब्रीक्षमाथ–“cगोब्र” - [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড জগতে শরৎচন্দ্রও একটা মূক্তন বৈশিষ্ট্যের দাৰি করিয়া णहेब्रांtइन । ब्रक्ब्रिक्षकज़रब्रथा अकृणग्रण कब्रिब्राहे ठिनि তাহার লেখনী চালনা করিয়াছিলেন বটে, তবে মনেবিজ্ঞানের আরও-একটা নূতন দিক তিনি খুলিয়াছিলেন বলিয়া রবীন্দ্রনাথের সহিত র্তাহার পার্থক্য । -উপন্যাস রচনা করিতে নায়ক-নায়িকার কার্য্যকলাপই যথেষ্ট নহে— তাহাদের মনের পরিচয় চাই।” (১৭) ইহা অস্তরে রাখিয়া রবীন্দ্রনাথ মনোবিজ্ঞানের abstraction বা ছায়াকে বস্ততে আরোপ করিয়াছিলেন, কিন্তু শরৎচন্দ্র এতদতিরিক্ত দিয়াছেন প্রত্যেক চরিত্রে একটা সমবেদনা বা সহানুভূতির আস্তরণ । গৃহ ও সমাজ জীবনে স্নেহ ভালবাসা স্বাভাবিক আধার হইতে বঞ্চিত হইয়া অহরহ ষে কত গভীর বেদনার —কতদুঃখ গ্লানি ও লজ্জার স্বষ্টি করিয়াছে ও করিতেছে শরৎ-বাৰু সেই ক্ষুব্ধ ব্যথিত ব্যর্থ প্রেমের বেদনার পুরোহিত।” (১৮) শরৎচন্দ্র বলিয়াছেন পাপকে দূর করিতে সমাজ যদি অক্ষম হয় তবে ইহাকে সহ ও ক্ষমা করিবার ক্ষমতা জাগাইয়া তোলা দরকার । তাই তিনি ইবসেনী শিল্পচাতুৰ্ধ (art) রূপ আর এক নূতন উপাদান বাংলার উপন্যাসজগতে আনয়ন করিয়াছেন। মারে বলিয়াছেন— রচনার বিষয় চারিদিকে ছড়াইয়া আছে যাহার শক্তি আছে, দৃষ্টি আছে তিনি উহা লইয়া ইচ্ছামত সাহিত্য গড়িতে পারেন । R শরৎচন্দ্রের আরও-একটা বিশেষত্ব তাহার লিপিকলার অনন্ত-সাধারণ গঠন চাতুর্যে। ভাষার উপরে শরৎচন্ত্রের যে অসাধারণ কর্তৃত্ব আছে তাহার রচনার যে নুতনত্ব, যে লালিত্য আর যে বৈশিষ্ট্য আছে ভাহাতে নিতান্ত একঘেয়ে বিষয়ও চিরনবীন—চিরচমৎকারিতা গুণবিশিষ্ট হয়। তাই বিচিত্র রচনা কৌশল এবং শিল্পচাতুৰ্য্যও যে উপন্যাসের উপাদান যোগাইতে সক্ষম-শরৎসাহিত্য হইতে ইহাও আমরা লক্ষ্য করি । বাংলার কথা-সাহিত্য পাশ্চাত্য Novel এর অনুসরণে হইলেও তদনুযায়ী দ্রুত পরিবর্তন বাংলা উপন্সাসের হয় (১৭) ইন্দুপ্রকাশ বঙ্গ্যোপাধ্যায়—(প্রবাদী) (১৮) রাধাকমল মুখোপাধ্যায় (ভারতবর্ধ)