পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بومه :

রাগ হ'লে পরস্পর পরস্পরকে চিমটি কাইতে, চুলের মুঠি টানতে, কিল বসাতেও ছাড়ে না। -
মা এলে দু’জনকে ছাড়িয়ে তফাৎ করে দেন।

কধনও মেয়েকে ছু-ঘা চড় মারেন, কখনও জামাইকে চোখ রাঙিয়ে ধম্‌কান। জামাইকেও চড়টা কাণমলাটা শাস্তি দিতে তার আটকায় না। জামাই মন্দলাল তার নিজেরই হাতের মানুষকরা ছেলে । সে তার পেটের মেয়ে সুভারও বাড়া । خس -ش ص خـ বেশী বয়স পর্য্যস্ত সন্তানপ্রতীক্ষায় কাটিয়ে স্বভার মা যখন হতাশ হ’য়ে এসেছিলেন—সেই সময়ে তার বিধবা বড় স্থা তার মাতৃপিতৃহীন শিশু বোনপোটিকে মুভার বাপমা:ে হাতে সাপে দিয়ে পরপারে যাত্রা করেন। অপত্যহীন দম্পতি বাপ-মাহার এই এক বছর বয়স্ক সুন্দর শিশুটিকে পেয়ে সস্তানের দুঃখ ভুলবার চেষ্ট করেছিলেন । নন্দলালই তাদের পোষ্যপুত্ররূপে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ও পারলৌকিক জলপিগুদানের অধিকারী হবে স্থির হয়ে গিয়েছিল । নানা বাধাবিয়ে তখনও তাকে আইনতঃ পুত্ররূপে বরণ করা হয়ে ওঠেনি। এমন সময়ে আকস্মিক আগমন কর্লে মুভী । নন্দলাল তখন চার বছরের। সুভাষিণী কোন অজানা দেশ থেকে পৃথিবীতে তার মায়ের কোলে এলো বটে—কিন্তু তার অল্পদিন পরেই মুভার বাবা পুথিবী হ’তে কোনও অজানা দেশে চিরদিনের জন্ত চ’লে গেলেন । বিস্কুচিকার দারুণ তৃষ্ণায় ছটফটু করতে করতে স্বভার বাবা মৃত্যুর পূর্কে মুভার মাকে বলে গেলেন—আমার ননকে যেন তুমি ‘পর করে দিও না। বিষয় থেকে বঞ্চিত কোরো না। স্বভার সঙ্গে ননা'র বিয়ে দিও,তাহলে আর কোনো গোল হবে না । স্বভার বাবা আরও বলে’ যান-যত শীঘ্র সম্ভব ওদের অল্প বয়সেই এই বিয়ে দিও। নইলে পরে হয়তো অনেক বাধাবিপত্তি ঘটুতে পারে। স্বভার মা তাই মেয়ের সাত বছর পূর্ণ না হ’তেই নন্দর সঙ্গে বিয়ে দিয়ে নিশ্চিস্ত হয়েছেন। [ মধ্য ] .আষাঢ় মাসের মেধ-বিষ দুপুর। আসন্ন বৃষ্টির সম্ভাবনার আকাশের মুখ মান কালো। বাতাস স্তৰ গভীর। - - প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৫ [ પ્ત છr, મ સંe স্বভাষিণীয় দিনের বেলায় ঘুম আসে না। স্থপুর বেলা বসে’ বলে একরাশ সিস্কের ও ছিটের টুকরা জুড়ে জুড়ে ছোট ছোট্ট ফ্রকৃ জামা বিছানা প্রভৃতি তৈয়ারী করে । ঘরের ভিতরে সারিবদী অালমারীর কাচাবরণের মধ্যে —ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্রতম আকারের ও বৃহৎ হ’তে বৃহত্তম আকারের কাচের, সেলুলায়েডের, পোর্সিলেনের, পাথরের হাতির দ্বাতের অসংখ্য পুতুল সাজানো। তাদের অনেকগুলিই উৎকৃষ্ট বসনভূষণে কৃত্রিম মুক্তাহার প্রভৃতিতে স্বভা কর্তৃক মুসজ্জিত। সাত বছরের স্বভা এখন সাতাশ বছরের, পরিপূর্ণযৌবনা। এগার বছরের বালক নন্দলাল এখন একত্রিশ বৎসরের বুবা । দৌহিত্রের অতৃপ্ত সাধ নিয়ে মা স্বর্গে চলে গেছেন। স্বভা ও নন্দ এখন সাবালক হ’য়ে ষ্ট্রেটের উত্তরাধিকার পেয়েছে । নন্দলাল কি একটা প্রয়োজনে ঘরে ঢুকে মুভার হাতের সিল্ক টুক্‌রাগুলির পানে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা ক’রলে—কি তৈরী করা হচ্ছে ? মুভ কপাল ও চোখের উপরকার চুর্ণ চুলগুলি হাত দিয়ে সরাতে সরাতে মৃদ্ধ হেসে রহস্তপুর্ণ কণ্ঠে উত্তর দিলে—তোমার নাতি-নাতনীর বিছানা জাম তৈরী হচ্ছে । নন্দলাল একটু উদাস হাসি হেসে বললে-ই এজন্মট ঐ পুতুল ছেলে-মেরে আর পুতুল নাতি-নাতনি নিয়েই কাটিয়ে দাও- * স্বভা’র হাসিভর প্রফুল্ল মুখখানি হঠাৎ অত্যন্ত স্নান হয়ে গেল। হাতের কাজে দৃষ্টি নত করে’—স্থচের ফোড় তুলে যাচ্ছিল, কিন্তু আঙুলগুলি যেন শিথিল অবশ । হয়ে এলিয়ে আসছিল। -নন্দলাল মুভার মলিন মুখের পানে তাকিয়ে সস্নেহ কণ্ঠে বললে-হঁ্যারে স্ব-ও'কথা ব’ললুম বলে’ মনে তোর কষ্ট হ’ল নাকি ? নিতান্ত আদর-করা’র স্থলে কিম্বা রহস্তচ্ছলে আজও নন্দলালের মুখ দিয়ে স্ত্রীকে ‘তুই’ সম্বোধন বেরিয়ে यूॉग्न । স্বভা প্রাণপণে চোখের জল চাপতে চাপতে হাসিভর কণ্ঠে উত্তর দিলে—ছঃ ! তুমি পাগল না কি ? কষ্ট কিসের? - স্বভা চেষ্টা করে ওঠাধরে হাসির রেখা টেে | - নঙ্গলাল নিশ্চিন্তুচিত্তে শিষ দিতে দিতে বাহিরে