পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২e২ তাগাদা করলে উণ্টে চটে যায়। বলে—এমন ছোটলোক ত দেখিনি, তাগাদার পর তাগাদ।--ভারী আম্পদ হয়েছে ! কেন আমি কি চাল কেটে পালাচ্ছি যে খেতে-শুতে সময় দিবিনে, তাগাদ লাগিয়েfচস্ । অভাবে অভাবে ছোটলোক ব্যাটাদের নজরও ছোট হয়ে গেছে । আটগগু৷ পয়সা যেন লক্ষ্মীছাড়ার প্রাণ । তাড়াতাড়ি দরজার মাথার উপর থেকে আড়াইটে পয়সা এনে উঠোনে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বলে,—নে রে ব্যাট, কাৰ লিঅলা, কিন্তু আর ছ'মাসের এদিকে কোনোদিন যদি তাগাদা দিতে এস তাহ’লে ঠ্যাং খোড়া ক’রে দেব, ন্ত । মনে মনে সেই আড়াইটে পয়সাকে নমস্কার ক’রে বলে,—হে মা লক্ষ্মী, তুমি ত অস্তরধামিনী, সবই দেখতে পাও—ঐ ব্যাট। চণ্ডাগ রাগিয়ে দিলে তাই না, পয়সা ছুড়ে দিলুম, অপরাধ নিও না মা । শয়লা মূখনীচু ক’রে পয়সা কুড়িয়ে নেয়। কিন্তু ছোটলোক স্বারা, চাষী বাগ দী জোলা গল্পলা, —আমন করে না । পয়গা থাকুলে কেনে, নইলে দুপুর বেলা আসতে বলে। তখন ঘরে কর্ভার থাকে না, তাই ধানচাল ডিম ছধদই চি ড়েমুড়ি গুড়, এমনি সব জিনিবের বদলে বেচাকেন। উভয় পক্ষের ভারি স্থবিধে । তাই, শয়লা মনে মনে স্থির করেচে যে ভদ্রপল্লীর দিকে আর ঘেববে না । কাজেই ওকে তার বাইরে গিয়ে গলা ছাড়তে হয়— চাই বেলোয়ারী চুড়ি—চিরুণী, খুন্সী নেবে গে। এমনি ক’রে ঘুরে ঘুরে আশপাশের দশ-বিশখানা গায়ের সবাইকার সঙ্গে ওর অল্পবিস্তর আলাপ হ’য়ে C化硕1 ভাই ও ডেকে জিজ্ঞাসা করে—ও কালোর মা, চুড়ি পরবে নি ? চুলবাধার ভাল ফিতে আছে, নেবে না কি গো ? শঙ্কলার গলার সাড়া পেলেই ছোট ছোট উলঙ্গ ছেলেমেয়ের জল ওর চ্যাঙারির পানে চেয়ে পিছন পিছন চলতে থাকে । ইচ্ছেটা,— চ্যাঙারি নামিয়ে বললে চিত্তরটা একবার দেখবে—কত কি রয়েচে । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১ee৮ [ ७s* लांग, २ग्न थ७ গরিবের ঘরের বউয়ের হাতে কোনোদিনই একট} পয়সা পড়ে না, অথচ মনে মনে সাধe ত হয়, কাজেই শয়লাকে ডাকে । ও উঠনে চ্যাঙারি নামিয়ে বসে। ছেলেমেয়েগুলো হেঁট হয়ে উকি মারে । শস্থলী চুপচাপ থেকেথেকে হঠাৎ খুব জোর একটা ধমক দিয়ে ওঠে। ওরা ভয়ে পিছিয়ে যায়, ছোটগুলোর মধ্যে কেউ কেউ কেঁদে ওঠে। এই সামান্ততে ওদের এত ভয় পেতে দেখে শয়লার আমোদের আর শেষ থাকে না, তামাক-খাওয়া কালো ঠোটের ভিতর থেকে বড় বড় দাত বার ক’রে হাসতে হাসতে একেবারে ককিয়ে যায়। ওর মুখের হাসিতে ছেলেদের ভয় ভাঙে, আবার ওরা ঝুকে পড়ে চ্যাঙারির দিকে । চাষাবউরা হাত ভরে কাচের রং বে-রঙের চুড়ি পরে, তারপর পালি ক’রে ধান মেপে দেয় । চ্যাণ্ডারির ভিতর থেকে একখান। কাপড় বার ক’রে শয়লা ধান বেঁধে নেয় । এমনি ক’রে ও গায়ে গায়ে ঘোরে । ছুপুরে একটা গাছতলায় বসে কোচড়ের গেরো খুলে চি ড়ে বাতাসা খায় । পুকুরে নেমে দু-হাত দিয়ে জলের উপরকার ময়লা কাটিয়ে তার ফাক থেকে আজলা ভরে জল পান করে । তারপর চ্যাঙারি থেকে টিনের একটা কেীটো বার ক’রে তার থেকে গোটাকতক পান একসঙ্গে মুখে পূরে দেয়। ককে বার ক’রে তাতে তামাক সেজে, এক টুকরো নারকেল ছোবড়া থেকে তার স্বাস ছিড়ে ছুটি পাকায় । তামাক টানতে টানতে ৰিমুনি আসে, তারপরেই চোখের পাতা জুড়ে আসে যেন। ছকোটা গাছের গায়ে ঠেসিয়ে রেখে শয়লা গামছা পেতে গাছের ছায়াতেই শুয়ে পড়ে । গায়ে রোঙ্গর লাগলে তবে ওর ঘুম ভাঙে। চ্যাঙারি মাথায় তুলে নিয়ে ও আবার চলতে স্বরু করে। ও গানের মহাভক্ত। তার জন্তে ও নিজে অনেক চেষ্টাও করেছে, কষ্টও সইতে কখনও না করেনি। এদিকের বে কটা ধেন ওর স্বভাবেরই অঙ্গ । একবার করে চীৎকার করে—চুড়ি পরবে গো, ও বোয়ের । তারপরেই গান ধরে—"দীন-তারিণী ड-च-ब्रl-चl * थानिकü cनं८ग्न नोंदनब्र शाङ्गब्र छैizनब्र