পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] গল্প ৩১৭ તલ, এক উপাখ্যান ; এবং এক এক পুত্তলিকা-কর্তৃক বিক্রমাদিত্যের ঔদার্ব বর্ণন, এক এৰু ‘কথা’ । বাংলায় কে উপন্যাস’ নামটি প্রচলিত করেছেন, জানি না। ধিনিই করুন, তিনি উ-প-দ্য-স শব্বের অর্থচিন্তা করেন নাই । স্তী-স, স্থাপন, রাখা । টাকা ভাস, গুস্ত করা, টাকা জমী, গচ্ছিত রাখা । অঙ্ক কৰিবার সময় রাশি-গুলি যথাস্থানে ন্যাস করতে হয়, বাংলায় বলি পাতন । অঙ্গ স্কালে এক এক অঙ্গ এক এক-দেবতার আশ্রয়ে রাখা হয়। উ-প-স্তা-স, সমীপে স্থাপৰ ! বাক্যের ও প্রবন্ধের উপন্যাস, উপক্রম, আরম্ভ। .६-१ -1 #sc#dì suggestion-s sčề I taề #*Lạữì শব্দের বাংলা শব্দ পাই না । কেহ কেহ ইঞ্জিত’ লেখেন, কিন্তু, ‘জাকার-ইঙ্গিত ষে একেবারে ভিন্ন। বাংল৷ উপন্যাস, বৃত্ত্ব-কল্পনা । ভ্রাবিড় ভাষায় ও মরাঠীতে novelকে বলে কাদম্বরী,হিন্দী ও ওড়িয়াতে বলে কহানী । बां९लtघ्र *नव-नrtन', *ब्रभ-नTां★' नांभe ८८थंक्केि । ‘রম-ন্যাস’ ইংরেজী romance অর্থে ব’লবার যুক্তি “রম’ টুকু ছাড়া কিছু পাই না । সে দিন দেখছিলাম ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘কাহিনী’ বলেছেন । বর্ণনীয় বিষয় ও ভাব চিন্তা করলে এই নাম ঠিক। কিন্তু এই নামে লেখকের মন উঠবে না, কাহিনী’ নামে নবীনত কই ? এখন দেখি, “ছোট গল্প,• ‘বড় গল্প, "উপন্যাস’, এই তিন নামে গল্প চলেছে । সংস্কৃত নাম ব’লতে হ’লে, কথা, অতিকথা, পরিকথা। কিন্তু এই তিনের লক্ষণ কি ? লক্ষণ না করলে সংজ্ঞ চলে না। বাংলা ভাষায় ক-খ শব্দের নান অর্থ আছে । শব্দটি না থাকলে "কথা কহা অসম্ভব হত। বিদ্যাসাগর-মহাশয় “কথামালা" লিখেছেন। বাঘ-ভালুকে কথা কয়, এ ষে বিষম কথা । এখানে কথা, কল্পিত কথা, সব অসত্য । সংস্কৃতে র পকে “হিতোপদেশ"। রামেঞ্জস্থদের ত্ৰিবেদী “বঙ্গ-কথা" লিখেছেন । তিনি কৰক হ’য়ে যজ্ঞ ব্যাখ্যান কর্যেছিলেন । গোপাল ভাড়ের গল্প, কালিদাসের গল্প, পান্ধীর গল্প, चांकांटचब्र श्रृंझ, हेङTानि अब्र बहे कथा नाहे । कांजिनागनररक बांना कथा धष्ठजिउ हिण, ङिनि ८बोबध्नe चफ़बूचि romance—to মূৰ্খ ছিলেন, "উই" উচ্চারণ করতে পারতেন না। তার গল্প সত্যান্বত-মিশ্রিত প্রবন্ধ। কিন্তু, পাখীর গল্প, বোৰ করি, পার্থীর স্বভাব-বৰ্ণন। আজকাল বালকের বলে, আকবারের ‘গল্প, অর্থাৎ আকবারের চরিত। শিশু-সাহিত্য’ নামে কতকগলি বই হয়েছে। একবার বছর সাতেক পূর্বে এক শিশর নিমিত্তে একখানা বই খুজতে হয়েছিল । শিশুর বয়স ৭৮ বৎসর, বাংলা পড়তে পারত, কিন্তু থমক্যে থমক্যে প’ড়ত, যা প’ড়ত তা গুছিয়ে ৰ’লতে পারত না। তার এক বিশেষ দোষ ছিল, শব্দের অাদা ও অস্ত্য অক্ষর প’ড়ত, মাঝের অক্ষর ছেড়ে যেত। বালকটির পিতা না মাত হাসি-খুলি দ্বারা বাল-শিক্ষা আরম্ভ করোছিলেন । এরই ফলে এই দোষ ঘটেছিল । এখানে ( বাকুড়ায় ) বই-এর দোকানে বার-তের খান বই পেলাম। পদ্য বাদ দিতে হ’ল ; কারণ, পদ্যের ছন্দের গতিকে বর্ণ-পরিচয় রসাতলে যায় । বিশেষতঃ, পদ্যগুলি নানা রঙ্গে ছাপা ; সাদা কাগজে কালীর অক্ষর পরিস্ফুট হয়, অন্ত রঙ্গের হয় না। রাক্ষসবক্ষস, ভূত-প্রেতের বই বাদ দিতে হ’ল ; কারণ শিশৱ প্রতি নিষ্ঠুর হতে পারি না, ভূত-ভীত কর্যে চিরকাল ভীরু করতে পারি না। শেষে একখানি “শিয়াল পত্তিতও হরিশচন্দ্র কবিরত্ন-কৃত "চাণক্য-শ্লোক” কিনে আনি । “শিয়াল-পণ্ডিতে”র দোষ আছে । "পাগুতি” দীর্ঘ হয়েছে, স্থল-বিশেষে শিশুর অবোধ্যও হয়েছে। চাণক্য-শ্লোক পঞ্চাশটি বেছে দিয়েছিলাম। সংস্কৃত শ্লোক, প্রত্যেক অক্ষর শুদ্ধভাবে পড়তে হত, বর্ণ-(উচ্চামুণ-) জ্ঞান হ’ত । বাজে পদ্যের বদলে শ্লোক মুখস্থ ক’রলে চিরজীবন ধমের ন্যায় মুহৃদ হয়ে থাকে । বাল্যকালে পাঠশালায় আমাকে চাণক্য শ্লোক মুখস্থ করতে হয়েছিল । সে বিদ্যা এখনও কাজে লাগছে । ‘শিশু সাহিত্যে’র পর 'বাল-সাহিত্য’। দশ হতে ষোল বৎসর বয়স পৰ্য্যস্ত বালক বালিকার নিমিত্ত ৰালসাহিত্য । এদের নিমিত্তে অনেক বই হ’য়েছে । বিদ্যালয়পাঠ্য অসংখ্য, গৃহ-পাঠীও অনেক । বিদ্যালয়-পাঠ্য বই ফরমাইলী বই, প্রারই মাধুর্বহীন । এই হেতু বালকবালিকার প’ড়তে চায় না। গৃহপাঠ্য বইতেও সে দোষ,