পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা] টানিতে বলিল, “ও জায়গাটায় পথ ভুলে উঠেছিলে, ক’মাস বড় জালিয়েছ।” সহসা ভীষণ জয়ধ্বনিতে পাষাণময় প্রাসাদের সর্বাংশ কঁপিয়া উঠিল, “জয় মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের জয় ।” জনতা সসন্ত্রমে পথ ছাড়িয়া দিল, মাধবসেনার সহিত চন্দ্রগুপ্ত মন্ত্রগুহে প্রবেশ করিলেন । ধ্রুবদেবী তখন দত্তদেবীর পিছনে দাড়াইয়াছিলেন, স্বতরাং চন্দ্রগুপ্ত র্তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। তিনি উদভ্ৰাস্তের মত ডাকিয়া উঠিলেন, "প্রব, ধ্রুবা !” পশ্চাৎ হইতে মাধবসেনা বলিয়া উঠিল, “যুবরাজ, এই ষে ধ্রুবদেবী, মহাদেবী দত্তদেবীর পিছনে ৷” চন্দ্রগুপ্ত আবার বলিয়া উঠিলেন, "ভয় নেই, ভয় নেই, আমি এসেছি।" পরে মাতাকে দেখিয়া লজ্জিত হইয়৷ বলিলেন, "এই যে মা ! এসেছ ?” মন্ত্ৰমুগ্ধার স্থায় বৃদ্ধ পট্টমহাদেবী পুত্রকে দেখিতেছিলেন, এতক্ষণে র্তাহার অধরপ্রাস্তে হাসি ফুটিল, তিনি চন্দ্রগুপ্তের দিকে চাহিয়া বলিলেন, "চন্দ্র, এই সিংহাসন স্তৈামার, আমি অভিমানভরে বড় ভুল করেছি, এখন সে ভুল সংশোধন করতে চাই । সিংহাসনে উপবেশন ক'রে দণ্ড ধারণ কর । শকরাজা প্রয়াগ অধিকার করেছে, তাকে সমুচিত শাস্তি দিতে হবে।" মুখ ফিরাইয়া লইয়া চন্দ্রগুপ্ত বলিলেন, “তোমার সকল আদেশ অবনত মস্তকে প্রতিপালন করব মা, কেবল এই আদেশট পরিহার কর । তোমার আদেশে সিংহাসনের .* পরিত্যাগ করেছি, তোমার পবিত্র চরণ স্পর্শ ক’রে "প্রতিজ্ঞ করেছি যে, রামগুপ্ত জীবিত থাকতে আৰ্ষাপট স্পর্শ করব না, সে কথা কি বিশ্বত হয়েছ মা ? তুমি যে ম। আমার সমস্ত জীবনীশক্তির মূল—তুমি ভুলে যেতে পার, কিন্তু আমি ত পারি না ।” অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া বৃদ্ধ দত্তদেবী বলিয়া উঠিলেন, "জয়নাগ, ইন্দ্ৰদ্যুতি, রামগুপ্তকে হত্যা কর, সিংহাসনের কণ্টক দূর কর, তা নইলে সাম্রাজ্য রসাতলে যাবে। পাটলিপুত্র ধ্বংস হবে।” - - দত্তদেবীর সন্মুখে জামু পাতিয়া, অথচ মুক্ত অসি হন্তে ইজদ্ধতির গতিরোধ করিয়া, চন্দ্রগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, "ম, হঠাৎ কি ভুলে গেলে যে আমিও সমুদ্রগুপ্তের পুত্র ? &्रग्वीं ♥8ፃ AMMAAA AAAAS AAAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMeAAAS আমার সামনে একজন সামান্ত নাগরিক আমার ভ্রাতাকে হত্যা করবে, আর আমি নিশ্চল পাষাণ মূৰ্ত্তির মত তাই দাড়িয়ে দেখব ? এ অসম্ভব আদেশ কেন দিচ্ছ মা ? তার আগে আমাকে হত্য করতে আদেশ কর।” অনন্ত আকাশ ধণি সমুদ্রগুপ্তের বৃদ্ধ মহিষার মাথার উপর ভাঙিয়া পড়িত, তাহা হইলেও তিনি এত বিস্মিতা হইতেন না। চন্দ্রগুপ্ত সিংহাসন গ্রহণও করিবে ন; এবং সিংহাসনের কণ্টকও দূর করিতে দিবে না। রাজা বিশ্ব স্থল, চিরশত্রু শকরাজী সাম্রাজ্যের তোরণে দাড়াইয়। পাটলিপুত্রের দিকে লোলুপ দৃষ্টিপাত করিতেছে । দত্তদেবার অজ্ঞাতসারে তাহার মুখ হইতে বাহির হইয় গেল, “ভবে কি হবে, চন্দ্র ?” উঠিয় দাড়াইয়৷ চঞ্জ গুপ্ত বলিলেন, “ম। যতদিন রামগুপ্ত জীবিত আছে, সাম্রাঙ্ক ততদিন তার । সমুদ্রগুপ্তের আদেশ তোমার আদেশে প্রতিষিদ্ধ হতে পারে না। জয়নগ, মহারাজাধিরাজের বন্ধণ মোচন কর।” তথম প্রাণভয়ে কম্পমান রামগুপ্তের দিকে ফিরিয়া, কুমার চন্দ্রগুপ্ত অসি ফিরাহয় তাহাকে সামরিক প্রথায় অভিবাদন করিয়া হাত ধরিয়া সাধ্যপট্রে বসাইয়া বলিলেন, “মহারাজাধিরাজ, তোমার দীন প্রজার অভিবাদন গ্রহণ কর । স্বচ্ছদে এই সিংহাসন উপভোগ কর, কিন্তু মনে রেখ মহারাজ, যতক্ষণ প্রজার মঙ্গলবিধান করবে, ততক্ষণ রাজা তোমার । অত্যাচারী রাজার পরিণাম মনে রেথ ! চলে এস, ম| * হঠাৎ ধ্রুবদেবী অগ্রসর হইয়া, চন্দ্রগুপ্তকে প্রণাম করিয়া বলিলেন, “আর্যাপুত্র, অল্পমতি কর, রাজ আদেশে মথুরায় যাব।” ভয়ে ধ্যস্ত হইয়া রামগুপ্ত বলিয়া উঠিলেন, "এখন আর দরকার হবে না।” ধ্রুবা আধাপট্রের সম্মুখে নতজান্ত হুইয়া বলিল, “মহারাজ, ধর-বংশের কন্যা সহজে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে না। যখন সিংহাসনের প্রাস্তে পড়ে মিনতি করেছি, বলেছি আমি অসহায়, অবলা, অনাথার উপর অত্যাচার ক’রো না, তখন শোন নি । বলপ্রকাশ করতে উষ্ঠত হয়ে,