পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ধ্রুবা ੋਂ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, নাসীরগণ প্রয়াগে আর কৌশাম্বীতে মহারাজের আদেশের অপেক্ষা করছে।” বাস্থদেব। আমি আশা করেছিলাম যে পট্টমহাদেবীকে মথুরায় পাঠাতে বললে রামগুপ্ত ক্রোধে অন্ধ হয়ে দূতের প্রতি কটুভাষা প্রয়োগ করবে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের • সেনা দুই দিক থেকে মগধ আক্রমণ করবে। সমুদ্রগুপ্তের কুলাঙ্গার পুত্র ষে আমার আদেশ পাওয়ামাত্র তার পূৰ্খপত্নীকে মথুরায় দাসীবৃত্তি করতে পাঠিয়ে দেবে, W. কখনও আমার মনে স্থান পায়নি। জয়দাম। মহারাজ, সমুদ্রগুপ্ত না নিজেকে ক্ষত্রিয় ব’লে পরিচয় দিত, এই কি ক্ষত্রিয়ের আচরণ ? বাক্ষ । আবহমানকাল থেকে শুনে আসছি যে, ভারতবর্ষে ক্ষত্রিয়ের কাছ থেকে অসি, অশ্ব ও স্ত্রী কামনা করা যুদ্ধ ঘোষণা করার সমান। রামগুপ্ত যে রাজ্যের ভয়ে নিজের ধর্শ্বপত্নীকে দাসীবৃত্তি করতে মথুরায় পাঠিয়ে fীয়েছে, একথা শুনলে লঙ্কায় ভারতের ক্ষত্ৰিয়সমাজ মস্তক অবনত করবে। রুদ্র । মহারাজ, গুপ্ত-সাম্রাজ্যের পঢ়মহাদেবী যে দুধারে দাড়িয়ে রইলেন ? বাস্থ। মহাক্ষত্রপগণ, আমি বিষম বিপদে পড়েছি। আমি ত রামগুপ্তের মহিষীকে অন্তঃপুরে স্থান দেব ব’লে চেয়ে পাঠাই নি ? কেবল রামগুপ্তকে অপমান করবার জন্তে এই কথা বলে পাঠিয়েছিলাম। এখন এষ্ট বালিকাকে lja করি কি ? দাম । সে যদি স্কুন্দরী হয়, তাহলে প্রাসাদে নৰ্ত্তকী 'তে পারে । জয়দাম । না, তাহ’লেও যথেষ্ট অপমান করা হবে না। বদেবীকে গুরুতর অপমান ক’রে পাটলিপুত্রে ফিরিয়ে fণ্ডয়া যাক। আর সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধঘোষণা করা উক । -- বাস্থ । যুদ্ধঘোষণার আর বাকী কি জয়দাম ? ৗশাৰী আর প্রয়াগ অধিকার করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠান দুর্গ বরুদ্ধ। তথাপি বেত্ৰাছত কুকুরের মত রামগুপ্ত গদেবীকে মথুরায় পাঠিয়ে দিলে। এখন কি করা ब्रे ? “দামসেন, SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASAASAAAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSASAS SSAS আপনি রামগুপ্তের কাতরতা দেখে ভুলবেন না। সমুদ্রগুপ্ত মহারাজকে কি ভীষণ অপমান করেছিল, মনে নেই কি ? ভারতবর্ষ থেকে এই অবসরে গুপ্ত-রাজ্যের শেষচিহ্ন পৰ্য্যন্ত মুছে ফেলতে হবে । বাস্থ । দেশ রুদ্রসিংহ, শরণাগত বিনাশ রাজধৰ্ম্ম নয় । যে-রাজ আদেশমাত্র নিজের ধৰ্ম্মপত্নীকে শক্রপুরে পাঠিয়ে নিজের হাতে কুলকলঙ্কের ডালি মাথায় তুলে নেয়, সে শরণাগত সৈনিক, তুমি মগধের মহাদেবীকে সিংহাসনের কাছে নিয়ে এস। সৈনিক। মহারাজ, মগধরাজের দ গুপ্তর সভামগুপের দুয়ার পর্য্যন্ত এসেছে । বাক্ষ । দ গুপরকে নিয়ে এস। সৈনিক চলিয়া গেলে মহাক্ষত্রপ স্বামী রুদ্রসিংহ উঠিয়া সিংহাসনের সম্মুখে জান্ত পাতিয়া করজোড়ে কহিলেন, “মহারাজ, এ সময়ে দুৰ্ব্বল হবেন না । অসঙ্গায়, অবলা নারীকে দেপে যদি গুপ্ত-বংশ ধ্বংসের সঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন, তাহলে শক-রাজবংশ আর কখনও মাথা তুলতে পারবে না ।” পশ্চাৎ হইতে দামসেন বলিয়া উঠিলেন, “মহারাজ, অল্পমতি করুন, ধ্রুবদেবী আসবামাত্র তঁকে শুস্থলে আবদ্ধ করি।” এই সময়ে পূৰ্ব্বোক্ত সৈনিক মাগধ দণ্ডধরকে লইয়া ফিরিয়া আসিল । মাগধ দণ্ডধর সভামগুপের নিয়মানুসারে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে আরম্ভ করিল, “মহারাজ, রাজাধিরাজ দেবপুত্র, কুষাণপুত্র, যাহীষাহামুষাৰ্ছী শ্ৰী শ্ৰী শ্ৰী বাস্থদেবের জয় ! মহারাজাধিরাজ পরমেশ্বর, পরমভট্টারক ঐরামগুপ্ত দেবের আদেশে পরমেশ্বরী, পরমবৈষ্ণবী, পরমভট্টারিক পটুমহাদেবী শ্ৰীমতী ধ্রুবদেবী মহারাজের চরণ দর্শনে মথুরায় আগমন করেছেন।” মগধের দণ্ডধর প্রণাম করিলে বামদেব বলিলেন, মগধের পট্টমহাদেবীকে এইখানে নিয়ে এস।” তখন মগধের দণ্ডধর আবার প্রণাম করিয়া বলিল, “মহারাজ, মগধের পট্টমহাদেবী রাজসম্মানের যোগ্য ।”