পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ছবি bሙ®® অত চমৎকার লাগে না । সে ভাবিতে थांकिल । - জগতে শুধু ছবি স্বন্দর। জগতটাই তো একটা ছবি,—তাকে যারা সত্য বলিয়া আঁকুড়াইয়া ধরে তারাই তাকে দেখিতে পায় না। তারা ঠকে। পান্থ শুধু ছবি দেখে,—কত বিচিত্র, কৃত অপরূপ, আনাচে-কানাচে, এখানে-ওখানে ছবির ছড়াছড়ি । যারা বোঝে না তারা বলে পাগল । কিন্তু ছবি দেখা আর রেখায় ও রঙে ফুটাইয়া তোলাই তার সাধনা ৷ তার আত্মা তাহ চায়,—তার জীবন তাকে ছবি দেখায় -ডাক দিয়াছে। ভূস করিয়া একটা মোটর হর্ণনা দিয়াই তাহার সমুখে আসিয়া ব্লেক কমিয় ফেলিল। সেটা ফুটপাথের ভিতর দিয়া বাড়ি ঢুকিবার পথ। অস্ফুট একটা গালি তার কানে আসিল । এক মুহূৰ্বে তার কপালের শিরা ফুলিয়া উঠিল, হাতের মুঠিটা শক্ত হইল । কিন্তু কিছু ন-করিয়া কিছু না-বলিয়া পথ হইতে সে সরিয়া গেল। মন্দ কি,—এই তো বণিক সভ্যতার ছবি ! বাড়ির পর বাড়ি পার হইয়া আসিল । কত হাসি, কুত গান। পদার ফঁাকে ঘরের ভিতরটাও রূচিং চোখে পড়ে । ডান দিকে মোড় ফিরিয়া সে চলিল। ফুটপাথের উপর একটু দূরে দূরেই ক্লঞ্চড় গাছ। গ্যাসের আলোয় তাদের ছায়া ফুটপাথে পড়িয়াছে। . ষ্ঠাটিয়া আসিয়া অবশেষে সে একটা বাড়ির ধারে থামিল। একটুক্ষণ চুপ করিয়া দাড়াইয়া গীত-মুখরিত আলো-সমুজ্জল বাড়িটার দিকে মুগ্ধ চোখে চাহিয়া রহিল। রাস্তার দিকে বাড়ির যে-অংশটা আর্সিয়া পড়িয়াছে সে-দিকটার উপর তলার ঘর হইতে এস্রাজের একটা স্বর আসিতেছে। তার সঙ্গে আমের মঞ্জরীর গন্ধ । কি চমৎকার,—যেন স্বপ্ন ! পাস্থ জানে কে বাজাইতেছে। সে একটি বাঙালী মেয়ে,—তার নাম মঞ্জুলিকা । এই মঞ্জুলিকা তাকে ভালবাসে.ওর বাবা জমিদার। তবু মধুলিক ভালবাসে তাকে। কেন যে, সে ভাবিয়া পায় না। জগতে তার মত একটা লক্ষ্মীছাড়ার জন্ত কারুর মনে যে একটু মধু সঞ্চিত হইতে পারে কেন ? তাহা সে ভাবিতে পারে না। কিন্তু তবু বড় ভাল লাগে। ও মঞ্জুলি,--“মঙ্গুলির ভাল লাগে তাকে,— আশ্চৰ্য্য! भधूलिकांब्र भूर्शा? ऋध्रब्र भङ,-श्ब्रड चनिर्विघ्नैौञ्च । সে তো নিজে আর্টিষ্ট,—তবু মঞ্জুলীর চোপের মত চোপ সে দেগে নাই, কল্পনাও করিতে পারে নাই। তার চাউনির গভীরতায় দিনের পর দিন সাতার দেওয়া চলে। তার পক্ষচ্ছায়ার নিবিড়তা ঘুমের মত, হয়ত মৃত্যুর काऊ ॥ মঞ্জলিকা এক জীবন্ত ছবি । আর মঞ্জুলিকার ভাল লাগে তাকে,—খামখেয়ালী, বিত্ত-হীন, ভোগ-বৈরাগী এক চিত্রকরকে ! অবাক কাও ! কিন্তু মধুলীর বাবার পচ্ছন্দ নয়। কেনই বা চাহিবে— ংসারকে যে ভাল করিয়া তিনি চিনিয়াছেন। তাই পান্থ সরিয়া গিয়াছে। শুধু কোন সন্ধ্যার হাওয়ায় যখন ফুলের কলি পরাণ ফেলিয়াছে, যখন জ্যোৎস্না আসিয়া কৃষ্ণচূড়ার পাতায় আলো ছোড়াছড়ি খেলা স্বরু করে,যখন অমাবস্তার আকাশ হীরার টুকুর। তারায় তারায় ছাইয়া ফেলে, তখন হয়ত আনমনে চলিতে চলিতে কখন মঞ্জুলিকার বাতায়নের তলে আসিয়া সে উপস্থিত হয়। তারপর স্বপ্ন-ঘোর হইতে জাগিয়া উঠিলে লজ্জিত হইয়া তাড়াতাড়ি চলিয়া যায়। বুকের ভিতর কি যে একটা অনুভূতি জাগিয়া উঠে—কেমন একটা শিহরণ। ভারী অপূৰ্ব্ব । এস্রাজটা তখন খামিয়াছে। কিন্তু তার খেয়াল নাই— ভাবনাগুলি আজ উদভ্ৰান্ত হইয়াছে। এখানে আসিয়৷ দাঁড়ান একটু দখিন হাওয়ার মত, হঠাৎ গন্ধের-মত, গানের টুকরার মত। তারপর আবার চলা, শুধু চলা । ভোরবেলায় বাহির হইয়া পড়ে। হয়ত দরিদ্র এক রেস্তরীতে চা খায়। তারপর বাগ্র দু-চোখ মেলিয়া উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরিয়া বেড়ায়। দুপুরে হয়ত রুটি কেনে, আর মাংস। খাইয়া যায় ময়দানের এক ছায়া-গাছের তলায়। চামড়ার একটা ছোট বাক্সের ভিতর হইতে আঁকিবার সরঞ্জাম বাহির করিয়া ছবি আঁকে। কোন দিন স্বায়ু মাসিক-পত্রিকার সম্পাদকদের কাছে ছবি বেচিতে ।