পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] চোখ জুড়ায়। রুক্মিণীর খালে রাধ দিয়াছেন "রুক্মিণী খাল জলসরবরাহ সমবায় সমিতি লিমিটেন্ডু" । তাহার পর পাচমুড়া গ্রামের নিকটবৰ্ত্তী আমঝোড় মামক ক্ষুদ্র নদীর উপর পাক পাথরের বাধ দেখিতে যাই। હફ বাধ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন পাচমুড়ার “গুরুসদয় জল সরবরাহ সমবায় সমিতি লিমিটেড । ইহার বিস্তৃত কৃত্রিম জলাশয়ের পরিষ্কার গভীর নীল জলরাশি দেখিয সেই শীতের দিনেও স্নান করিতে ইচ্ছ। ইয়াছিল। অনেক জলচর পার্থীও সেখানে দেখিলাম। বাধের উপর দিয়া অতিরিক্ত জল উপচিয়া স্রোতের আকাবে পড়িতেছে । এই দুই জায়গার বাধের কয়েকটি কোটোগ্রাফ হইতে ছবি প্রস্তুত করাইয়। এখানে দিলাম। তাহা দেখিলে সে সম্বন্ধে পাঠকদের কিছু ধারণ হইবে । “শালবাধ জল-সবুবরাহ-সমিতি" হরিণমুড়ি পাল নামক নদী বাধিয়া পাচ হাজার বিঘা জমিতে জল জোগাইবার চেষ্টা করিতেছেন। ইহার ব্যয় পঘতাল্লিশ হাজার টাক হইবে অল্পর্মিত হইয়াছে । চৌদথান গ্রামের লোকে বাঁকুড়ার উন্নতি ు )సి এই বধ দ্বারা উপক্লত হইবে। ইহার" কাজ এখনও * শেষ হয় নাই । কেবল বঁাকুড়া জেলার জন্য প্রকাশিত কাগজ ভিন্ন অন্য কাগজে এসকল সমিতির পূরা বৃত্তান্ত দেওয়া সম্ভব নহে । কিন্তু এই জেলার জল সরবরাহের জন্য যে চেষ্টা হইতেছে, তাহা যে প্রকৃত পথ এবং সমিতিগুলি যে অত্যন্ত ও একান্ত আবশ্যক সাতিশয় হিতকর কাজ করিতেছেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। সমিতি গঠন করিতে হইলে প্রথমে কয়েক জন লোক সভ্য হন এবং সমবায়সমিতিবিষয়ক আইন অনুসারে আপনাদিগকে তদ্রুপ সমিতি বলিয়া রেজিষ্টারী করেন। তাহার পর তাহার। নিজের চাদা করিয়৷ যে টাকা তুলিয়াছেন, তাহা দেখাইয়া কেন্দ্রীয় সমবায়-ব্যাঙ্ক হইতে আবশ্যক-মত বাকী টাকা, ধার করেন, এবং তাহার স্বপ্ন দেন। এইরূপ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, একটি বাঁকুড়ায় ও একটি বিষ্ণুপুরে আছে। এইসকল সমিতি যাহাতে জেলার সর্বাত্র স্থাপিত হয়, তাহার চেষ্ট জনসাধারণের ও গবর্ণ মেন্টের করা কৰ্ত্তব্য। জনসাধারণ নিজেদের কর্তব্য করিতে আরম্ভ করিয়াছেন । তালডাংর রক্ষ্মিণী-খাল-বাধ হইতে তালডাংরা গ্রাম পৰ্য্যন্থ