পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>☾8 শোনো শানে, ওগো বকুল-বনের পার্থী, আর বায় তারে ফিরিয়া ডাকিবে না কি ? যায়নি সেদিন সেদিন আমারে টানে, ধরার খুলিতে আছে সে সকল খানে ; আজ বেঁধে দাও আমার শেষের গানে তোমার গানের রাখী । আবার বারেক ফিরে চিনে লও মোরে, লিদায়ের আগে ল৭ গে| আপন করে’ । শোনো শোনে, ওগে। বকুল-বনের পাপী, সেদিন চিমেছ, আজিও চিনিবে না কি ? পার-ঘাটে যদি যেতে হয় এইবার, গেয়াল-খেয়ায় পাড়ি দিয়ে হব পার, শেষের পেয়াল ভরে দাও, হে আমার স্বরের সুরার সাকী ! আর কিছু নই, তোমারি গানের সাথী, এই কথা জেনে আস্থক ঘুমের রাতি । প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম শোনো শোনো, ওগো বকুল-বনের পাপী, মুক্তির টাকা ললাটে দাও ত আঁকি । যাবার বেলায় যাব না ছদ্মবেশে, খ্যাতির মুকুট খসে যাক নিঃশেষে, কৰ্ম্মের এই বৰ্ম্ম যাক না ফেঁসে, কীৰ্ত্তি যাক না ঢাকি । ডেকে লও মোরে নামহারাদের দলে চিহ্নবিহীন উধাও পথের তলে । শোনে শোনে, ওগো বকুল-বনের পাপী, যাই যবে সেন কিছুই না যাই রাখি । ফুলের মতন সাজে পড়ি যেন ঝরে’, তারার মতন যাই যেন রাত ভোরে, হাওয়ার মতন বনের গন্ধ হরে’ চলে যাই গান হাকি । বেণুপল্লব-মৰ্ম্মররব সনে মিলাই যেন গে। সোনার গোধূলি-থনে। শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্ৰহ্মবাদ

( জনক-যাজ্ঞবল্ক্য-সংবাদে ) ( ব্লগঃ ৪১, ২ ) (১) প্রথম দিনে এক সময়ে জনক রাজা যজ্ঞবল্ক্যকে ব্রহ্মবিষয়ে প্রশ্ন করিয়াছিলেন। স্বীয় মত ব্যাখ্যা করিবার পূৰ্ব্বে তিনি জানিতে চাহিয়াছিলেন কোন আচাৰ্য্য তাহাকে ব্ৰহ্মবিষয়ে কি উপদেশ দিয়াছেন। ছয় জন ঋষি তাহাকে ছয়প্রকার উপদেশ দিয়াছিলেন ; জনক যাজ্ঞবল্কাকে তাহাই বলিলেন । সে ছয়টি মত এই – ( ১ ) জিত্ব শৈলিনী বলেন—“বাকৃই ব্রহ্ম।” (২) উদঙ্ক শাম্বায়ন বলেন-“প্রাণই ব্ৰহ্ম।” বকু বাষ্ণ বলেন—“চক্ষুই ব্ৰহ্ম ।” গদভীবিপিত বলেন—“শ্রোত্রই ব্রহ্ম।” সত্যকাম জাবাল বলেন---“মনই ব্ৰহ্ম।” বিদগ্ধ শাকল্য বলেন—“হৃদয়ই ব্ৰহ্ম।” ( & ) ( 8 ) ( t ) ( 9 ) প্রত্যেক উপদেশেরই কিছু বিশেষত্ব আছে। প্রাচীন কালে অনেকে মনে করিতেন বাকু প্রাণ চক্ষু শ্রোত্র মন ও হৃদয় দ্বারাই আত্মা গঠিত। কেহ শ্রেষ্ঠ স্থান দিতেন বাককে, কেহ দিতেন প্রাণকে, কেহ বা চক্ষু প্রভৃতিকে শ্রেষ্ঠ স্থান দিতেন। এই বাক প্রাণ ইত্যাদি