পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] লাগলেন। প্রঃতির একটা ক্লোরোফৰ্ম্ম, আছে, যন্ত্রণ পেয়ে মৰ্বছে এমন প্রাণীকে মৃত্যু-যন্ত্রণ থেকে বাচাবার জন্যে সেটা মুমূর্য প্রাণীকে অভিভূত করে। ধীরে ধীরে যেন যেই দয়াময়ী মৃত্যু তন্দ্র এসে তাকেও আশ্রয় করলে। অনেক ক্ষণ পরে, কতক্ষণ পরে ত। তিনি বুঝতে পার্বুলেন ন৷ —হঠাৎ আলো চোখে লেগে স্ত্রীর তন্দ্রাঘোর কেটে গেল । বিস্মিত নরনারায়ণ চোখ মেলে দেখলেন, তার সামনে প্রদীপ-ইস্তে দাড়িয়ে তার বন্ধুপত্নী লক্ষ্মী দেবী। কথা বল তে গিয়ে লক্ষ্মী দেবীর ইঙ্গিতে নরনারায়ণ থেমে গেলেন । লক্ষ্মী দেবী হাতের প্রদীপটি আঁচল দিয়ে ঢেকে নরনারায়ণকে তার অনুসরণ করতে ইঙ্গিত করলেন । একবার নরনারায়ণের সন্দেহ হ’ল—এসব স্বপ্ন নয় ত ? কি স্তু ঐ যে দীপশিপার উজ্জল আলোয় আদি ভিত্তিগা4ের স1জ শে গুলার দল স্পষ্ট দেখা যায় ! নরনারায়ণ শক্তিমান যুবক, ক্ষুধায় দুৰ্ব্বল হ’য়ে পড়লেও নিশ্চিত মৃত্যুর গ্রাস থেকে বাচ বার উৎসাহে তিনি দৃঢ়পদে অগ্রবর্কিনী ক্ষিপ্ৰগামিনী বন্ধুপত্নীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ চল লেন । একটা বক্রগতি পাথরের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে একটা দীঘ মডপ পার হবার পর তিনি দেখলেন সে, তার কীর্তাি রায়ের প্রাসাদের সাম্নের খালধারে এসে পৌছেছেন । লক্ষ্মী দেবা একটা ছোট বেতে বোন থলি বার করে তার হাতে দিয়ে বললেন—“এতে পাবার আছে, এখানে পেও না, তুমি সাতার জানো, খাল পার হ'ল্পে ওপারে গিয়ে কিছু পেয়ে নাও, তার পর যত শীগগির । পারে, পালিয়ে যাও ।” ব্যাপার কি নরনারায়ণ রায় একটু একটু বুঝলেন । তার বিস্তৃত জমিদারী কীৰ্ত্তি রায়ের জমিদারারপাশেই এবং র্তার অবর্তমানে কাত্তি রায়ই দক্ষ জমদনদেবের বংশধরদের ভবিষ্যৎ পত্তনিদার। অতবড় বিস্তৃত ভূসম্পত্তি, সৈন্যসামন্ত কীত্তি রায়ের হাতে এলে তিনি কি আর কিছু গ্রাহ করবেন ? কীৰ্ত্তি রায় যে মাথা নীচু করে আছেন তার এই কি কারণ নয় যে, তার এক পাশে বাকুলা, চন্দ্রদ্বীপ— অন্যপাশে ভুলুয়ার প্রতাপশালী ভূইয়া রাজা লক্ষ্মণ মাণিক্য ? - প্রদীপের আলোয় নরনারায়ণ দেখলেন, তার বন্ধু অভিশপ্ত ৩২৭ পত্নীর মুখের সে চটুল হাস্য-রেখার চিহ্নও নেই, তার মুখখানি সহানুভূতিতে-ভরা মাতৃমুখের মতন স্নেহকোমল হয়ে এসেছে । তাদের চারি পাশে গাঢ় অন্ধকার, মাথার ওপর আকাশের বুক fbtqo দিগন্ত-বিস্তৃত উজ্জল ছায়া-পথ, নিকটেই পালের জল জোর ভাটাব টানে তারের হোগলা গাছ জুলিয়ে কলকল শব্দে বড় নদীর দিকে ছুটেছে । নরনারায়ণ আবেগপূর্ণ সুরে জিজ্ঞাস করলেন—“বৌ-ঠাকরুন ! চঞ্চলও কি এর মধ্যে আছে ?" નિર્ણી ૮ની નાનન-"ના કાફે, fડfન વિષ્ટ્ર ૬: નેન ন। এসব শ্বশুর ঠাকুরেব কীৰ্ত্তি । এই জন্তেই তাকে অন্য জায়গায় পাঠিয়েছেন, এখন আমার মনে হচ্ছে । গৌড়টেীড় সব মিথ্যে ।” নরনারায়ণ দেপলেন, লজ্জায় দুঃখে তার বন্ধুপত্নীর মুখ বিবর্ণ হ’য়ে উঠেছে। লক্ষ্মী দেবী আবার বললেন— ‘আমি আজ জানতে পারি। খিড় কী-গড়ের পাইক সদার আমেধি ম বলে—তাকে দিয়ে দুপুর রাতের পাহার। সব সরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম । তাই—” নরনারায়ণ বললেন—“বৌ-ঠাকুরুন, আমার এক বোম্ ছেলেবেলায় মারা গিয়েছিল,--তুমি আমার সেই বোন আজ আবার ফিরে এলে ।” লক্ষ্মা দেবীর পদ্মের মতন মুখখানি চোখের জলে ভেসে ( ||2| | ইতস্তত: করে বললেন- “ভাই, বলতে সাহস পাইনে, তবুও একটা কথা বলছি—বোন বলে’ যদি বাখ -” •{5 | ঠাকুরুন ?” লক্ষ্মা দেবী বললেন—“তুমি আমার কাছে বলে’ যাও ভাই যে, শ্বশুরষ্ঠাকুরের কোন অনিষ্ট-চিস্তা তুমি করবে না ?” নরনারায়ণ রায় একটুখানি কি ভাবলেন, তার পর বললেন—“তুমি আমার প্রাণ দিলে বৌ-ঠাকুরুন, তোমার কাছে বলে’ যাচ্ছি তুমি বেঁচে থাকুতে আমি তোমার শ্বশুরের কোন অনিষ্ট-চিন্তা করব না।” বিদায় নিতে গিয়ে নব্যুনারায়ণ একবার জিজ্ঞাসা করলেন—“বৌ-ঠাকুরুন্‌ তুমি ফিরে যেতে পায়ুবে ত?” ❖ቀኝ জিজ্ঞাসা কবুলেন–“কি কথা বেী