পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 e উৎপত্তি, শ্রেণী-বিভাগ ইত্যাদির আলোচনা করিয়া থাকেন । এই বিদ্যাকে কম্পারেটিভ অ্যানাটমির ( বা তুলন-মূলক অস্থি-বিদ্যার ) এব• জীব-বিজ্ঞানের দের বিবেচনা কৰু! যাইতে পারে । অপর বিভাগের পণ্ডিতের ভিন্ন ভিন্ন দেশের নরনারীর আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম, লেন দেন, স্মৃতিশাস, নীতি-শস্ত্র, কু-কু ইত্যাদি জীবনের সকল খুটিনাটি আলোচন করেন। এই বিভাগেব নৃতত্ত্ববিদগণকে লোকাচারতত্ত্ববিৎ বলা চলে । ধৰ্ম্ম, শিল্প, ধন-দৌলত, রাষ্ট্র, সমাজ ই হ্যাদি সবই এই সামাজিক 키(IE সহজে বিষয়ে তুলন। মূলক বিজ্ঞান গুল। মৃতত্ত্ববিদ্যার সামিল । পারে ধে “ইতিহ{স” নামে স{ কিছু সাfহ ত রচিত হইয় থাকে সবই নৃতত্ত্ব ।

  • ि म्।।८१

আসিতেছে । fক কপাধু বলা সাইভে এইখানে আর একটা আতি সাবেক কাল, মান্ধাতার আমল, প্রাগৈতিহাসিক যুগ ইত্যাদি সময়কার লি স্থ {{fবভাষিক প্রভেদ চলিয়। মানব-সভ্যতার গোড়াটা লইয়। স! হার অনুসন্ধান bালাইতেছেন তাহাদিগকে মৃতত্ত্বের li - 5 , গবেষক বলা হয় । অপি-কন্তু বর্তমান বিভিন্ন জনপদে ধে সকল " আদিম”, অতুল্পত, অসভ্য জাতি "সভ্যতার জগতের শৈশব বস্থায়” জীবিত * রহিয়াছে তা হাদের আচারব্যবহার এবং স্বপন্মের সকল প্রকার অল্পষ্টান-প্রতিষ্ঠান অঙ্গুসন্ধানকারীর মনোযোগ আকর্ষণ তাঙ্গার ও মৃত৫লিংপ্রুপে পরিচিত। এই হিসাবে পর্য্যটক, করে | ভৌগোলিক আবিষ্কারক চত্র্যাদি শ্রেণীর লোক নৃতত্ত্বের স’ সাবে নাম করিয়া থাকেন । ( وي ) মগ, ন লোকটা কে ? চল্লিশ বৎসর ধরিয়া এই লেখক আমেরিকfব ইণ্ডিয়ান সমাজে তথ্য অনুসন্ধানে ব।পৃত ছিলেন । ইরোকোয়াদের কুটুম্ব সম্বন্ধে বা আত্মীয়ত।র প্রথা সম্বন্ধে ইনি ১৮৭১ সালে যে-সকল স্থ্য প্রকাশ করেন তাহার ফলে গোটা লোকাচারতত্ত্ব, বিবাহ-পদ্ধতি এবং সামাজিক নৃতত্ত্বে এক নবযুগ প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ { ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড স্বরু হয়। ইহার সর্বপ্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম “এন্‌শ্বেণ্ট, সোসাইটি” ( বা প্রাচীন সমিতি )। স্যাত্ত্বেজ ( বা সহজ ) অবস্থা হইতে মানবজাতি কোন পথে “বাৰ্ব্বার” সভ্যতা অতিক্রম করিয়৷ উৎকর্যের স্তরে আসিয়া ঠেকিয়াছে সেই তথ্য গুলা নির্দেশ গ্রন্থের উদ্দেশ্য । গ্রস্তু ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত হইয়াছিল । মগ্যালের প্রথম সিদ্ধাস্ত এই যে, মানব-সমাজে এক্ট কালে “দ লগত’ বিবাহ অর্থাং অবাধ ,যানিস শ্রব প্রচলিত ছিল । এই অবাধ সংস্রবে বিধিনিষেপ কায়েম হইতে থাকে । ক্রমশ: পেলস্ ল। গোষ্ঠী-প্রথ! দেখ দেয় । গোষ্ঠা নীতি আবিষ্কার করা মগ্যানের দ্বিীয় কীৰ্ত্তি । গোষ্ঠ সমরক্তজ জীবন-কেন্দ্র । ভিতর পুরস্পর বিবাহ নিষিদ্ধ। গোষ্ঠী পরিচালিত ইহঁত প্রথম প্রপম নারীর তরফ হইতে জননী-বিধির জননী-বিধির গোষ্ঠা আজও চলিতেছে ইরোকোয়া সমাজে, এই গেল মর্গ্যানের তৃতীয় সিদ্ধান্ত । নারীর আমল গোষ্ঠীধৰ্ম্ম হইতে পরে উঠিয়া যায় । তাঙ্গর পরিবৰ্ত্তে দেখা দেয় পুরুষ-বিধি এবং পুরুষা ধপত্য। গ্ৰীক রোমান এবং জাৰ্ম্মান সমাজ গুলার প্রাচীনতম স্মৃতি শাস্বে পুরুষ প্রাধান্তাশীল গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানই দেখিতে পাওয়া যায় । মগ্যানের এই আবিষ্কার প্রাচীন ইয়োরোপের ইতিহাসে রচনায় যুগান্তর আনিয়াছে । - এই চার সিদ্ধান্ত প্রচার করিয়াই মর্গ্যান আলোচন। খতম করেন নাই ! উৎকর্যের যুগ সম্বন্ধে অর্থাৎ যে যুগের ভর। জোয়ারে বর্তমান জগতের "সভ্য” নরনারী বসবাস করিতেছে—সেই স্তরের জীবন-যাত্রাকে ইনি চরম ভাযায় তিরুস্কার করিয়াছেন । লাভের লোভই এই যুগের ধনোংপাদনের গোড়ার কথা,—ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি ছাড়া ধনজীবীরা আর কিছু চিন্তা করে না,—ইহাই মর্গ্যানের মতে উৎকর্ষশীল মানবের মূল মন্ত্র। ফরাসী সোস্যালিষ্ট ফুরিয়ে ধে-ভাবে বৰ্ত্তমান জগতের আর্থিক ব্যবস্থার নিন। করিয়াছেন, মর্গ্যানও সেইরূপই করিয়াছেন । উৎকর্ষের যুগকে গালাগালি দেওয়াই মর্গ্যানের শেষ কথা নয়। একটা ভবিষ্য সমাজের স্বপ্নও র্তাহার মাথায়ু રુતા ધરું এক গোষ্ঠার নিয়মে । সেই