পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసెV প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড छांब्रtठ svणक छैौल पत्रांप्इ । शैर्षकांग्न, प्रश्न2िऊरमश् डौलछांठि भब्रण আনন্দে বনে-বনে বিহায় করিত, স্বল্পাহারী স্বল্পসন্তুষ্ট ভৗলদের কোন অভাব-অভিযোগ ছিল না। কিন্তু সভ্যতা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে তীলেরা আজ অতিরিক্ত পানদোষের ফলে সৰ্ব্বস্বাস্ত । শ্ৰীযুক্ত ঠাঙ্কারের নেতৃত্বে কয়েকজন নিঃস্বার্থ সেবাৱতী কৰ্ম্মী এই অধঃপতিত জাজিয় কল্যাণ-কামনায় আক্ষ্মোৎসর্গ করিয়াছেন। বর্তমানে মণ্ডলের অধীনে দুইটি স্কুলে ভীল-বালকগণ আশ্রমে বাস করির অধ্যয়ন করিতেছে। ছয়টি সাধারণ স্কুল এবং দুইটি চিকিৎসালয়ও স্বন্দরব্রুপে চলিতেছে । এই অবৈতনিক প্রতিষ্ঠানগুলি ভৗলদিগের নৈতিক ও সাংসারিক জীবনের উন্নতি সাধনে অনেকাংশে কৃতকাৰ্য্য হইতেছে। সম্প্রতি ভালদিগের একটি বাৎসরিক কনফারেন্স, হইয়৷ গিয়াছে। শ্ৰীযুক্ত এণ্ড ক্লজ, এই সভার সভাপতি ছিলেন। তিনি এই সেবা- মণ্ডলের কাৰ্য্যের বিশেষ প্রশংসা করিয়াছেন। তীল-সেবা মগুলের কার্য্য-পদ্ধতির প্রতি আমরা বাঙ্গালার কৰ্ম্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। যেভাবে ভীল-সেবা-মণ্ডল কাৰ্য্য আরম্ভ করিয়াছেন, ঠিক সেইভাবে বাংলাদেশে ও অস্তান্ত স্থানে এক-একটি সমিতি গড়িয়া কাৰ্য্য আরম্ভ করিলে, বৰ্ত্তমান সামাজিক ব্যাধিগুলির প্রতিকার হইতে পারে। বঙ্গের সাওতাল, বাউরী, প্রভূতিদের জন্ত এইরূপ কাজ হওয়া উচিত। মাহাত্মা গান্ধী ও স্বরাজ্য দল— জুহতে মহাত্মাঙ্গীর সহিত শ্ৰীযুক্ত দাশ ও পণ্ডিত মতিলালঞ্জীর আলোচনার ফল প্রকাশিত হইয়াছে। মহাত্মাজী একটি বর্ণনা-পত্ৰ একাশ করিয়াছেন। তাছার সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিয়ে দেওয়া গেল। মঙ্গাস্লাজীর কথা মহাত্মাঙ্গী তাহার বর্ণনা-পত্রে জানাইয়াছেন যে, তিনি স্বরাজ্যদলের কাউন্সিল প্রবেশের কোন সার্থকতা বুঝিতে পারিলেন না। অসহযোগ অর্থে তিনি বাহা বুঝেন তাহাতে অসহযোগী থাকিয় কাউন্সিল, প্রবেশ করা যায় মা। মহাত্মাজী শ্ৰীযুক্ত দাশ প্রমুখ নেতৃবর্গের কাউন্সিল প্রবেশের কোন খারাপ উদ্দেশ্য দেখেন না। তিনি আশা করেন যে, এইসকল নেতা ও কৰ্ম্ম যখন বুঝিতে পারবেন যে, কাউন্সিলে প্রবেশ করিয়া কোন কাজ ' হয় না তখন উহার এপথ পরিত্যাগ করিয়া আসিবেন। মহড়াজী একথাও বলিয়াছেন যে, যদি স্বরাজ্যদলের কাউন্সিল, প্রবেশে দেশের প্রকৃত কাৰ্য্য হয় তাহা হইলে তিনিও তাহদের মতাবলম্বন করিবেন। পরিবর্তনবিরোধীদিগকে মহাত্মাজী উপদেশ দিয়াছেন যে, উহার স্বরাজ্যদলের কার্য্যে কোনরূপ বাধা না দিয়া গঠনকার্য্যে আত্মনিয়োগ কল্পন। খন্দর, জাতীয়শিক্ষা, হিন্দু-মুসলমানের একতা, অস্পৃষ্ঠতামোচন এইসকল কার্ষ্যে বর্তমানে সকল কৰ্ম্মীদিগের আত্ম-নিয়োগ করিতে হুইবে । মহাত্মাজী কাউন্সিলের মধ্যে কাৰ্য্যপদ্ধতি সম্বন্ধে বলিয়াছেন, যে, তিনি নিজে কাউন্সিলে প্রবেশ করিলে কাউন্সিলের সাহায্যে - দেশের গঠনকার্য্যের উন্নতি বিধান করিতেন। গবর্ণমেণ্ট, ইহাতে বাধা দিলে তিনি অবশেষে আইন অমাস্ত করিতেন। মহাত্মাজী আরো বলিয়াছেন, যে, স্বরাজ্যদল যদি সেই অবস্থার উপস্থিত হন তাহা হইলে তিনি স্বয়ং উাহাদের সঙ্গে ও অধীনে কাৰ্য্য করিতে প্রস্তুত থাকিবেন । অবশেষে তিনি বলিয়াছেন, যে, একমাত্র গঠন-কাৰ্য্যই বিভিন্নদলের মিলনের ক্ষেত্র। খ্ৰীযুত দাশ ও পণ্ডিত মতিলাল নেহেরু ঠাহাদের যুক্ত বর্ণনায় ৰলিয়াছেন যে, তাহদের মতে অসহযোগী শাকিয়াও কাউন্সিলে প্রবেশ করা যায়। তবে দেশের কার্য্যের জন্ত কাউন্সিলে প্রবেশ করা যখন আন্তৰ অনজাকিনােলারিত হয় তাহলেজার বরঞ্চ অসহযোগকে পরিত্যাগ করিতে বাৰি আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠক— সম্প্রতি সিমলাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় বৈঠক বসিয়াছিল। ভারতবর্ষ ও ব্রহ্মদেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন প্রতিনিধি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। এতদ্ব্যতীত কয়েকজন বিশিষ্ট দর্শক এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। লর্ড, রেডিং তাহার অভিভাষণে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্য-মণ্ডিত হইলে দেশের তেমন উপকার হয় নী—সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাফল্যেই দেশের উপকার। তিনি বলেন, যে, স্বাস্থ্যবান জাতি তৈয়ার করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৰ্ত্তব্য এবং ভারতবর্ষে বিবেচক ও চিস্তাশীল ব্যক্তি তৈয়ার করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উদ্বেষ্ঠা হওয়া উচিত। সভায় লর্ড রেডিং স্ত্রী-শিক্ষার বিস্তার সম্বন্ধেও স্বীয় মত প্রকাশ করেন । সভায় স্থির হইয়াছে যে, রিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অধ্যাপক পরিবর্তন করা হইবে। শিক্ষা-বিভাগের জন্ত একটি কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা স্থির হইয়াছে। আসাম ও মহাত্মা গান্ধী— শ্ৰীযুত এও ধ্রুজ, সম্প্রতি আসামে গিয়াছিলেন। সেখানে একটি সভায় তিনি বলেন, যে মহাপ্লাজী আসামের জঙ্ক তাহার নিকট এক বাণী প্রেরণ করিয়াছেন। মহাত্মজী প্রথমবার আসাম ভ্রমণ করিয়া অত্যস্ত স্বর্থী হন। তিনি বলিয়াছেন যে, আসামকে প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের জন্ত যে তিনি পছন্দ করেন তাহী নহে, আসামে যে আজও চন্থকার প্রচলন ও হাতে বোনার কাজ চলিতেছে সেইজন্তই তিনি আসামকে ভালবাসেন । মহtয়াজা আর একবার আসাম ভ্রমণ করিতে ইচ্ছা করিয়াছেন । সেই সময় ঘরে-ঘরে চর্কার প্রচলন হইয়া সকলকেই খদ্দর পরিধান করিতে দেখিবেন—ইহাই মহাত্মা আশা করেন । মহাত্মা সকলকে আফিং সেবনে নিষেধ করিয়াছেন-কেবল ঔষধার্থে দরকার হইলে উহা ব্যবহার করিতে বলিয়াছেন। - শ্ৰীযুত এণ্ড ক্লজ বলেন যে, নভেম্বর মাসে জেনেভাতে আন্তর্জাতিক অহিফেন-সভায় তিনি যোগদান করিবেন এবং সেই সময় আসাম হইতেও একজন প্রতিনিধি তাহার সঙ্গে যাইবেন এরূপ তিনি আশা করেন। সভায় উক্ত মৰ্ম্মে একটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে। চাকুরী কমিশন— গত নভেম্বর মাসে ভারতীয় সিভিল সার্ভিস ও অস্বাস্ত সৰ্ব্ব-ভারতীয় চাকুরী সম্বন্ধে তদন্তু করিবার জন্য একটি রয়েল কমিশন বসিয়াছিল। কমিশনের সভাপতি ছিলেন লর্ড, ল এবং সদস্য ছিলেন স্যার রেজিস্তান্ড, ক্রাডকৃ. মিঃ পেটুিকু, স্তার সিরল জ্যাক্সন, অধ্যাপক কুপল্যাও, স্তান্থ মহম্মদ হবিবুল্য, প্রযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বন্ধ, প্রযুক্ত এন. এম. সমার্থ ও ঐযুক্ত হরিকিষণ কউল । কমিটির সভ্যগণ সমগ্র ভারতবর্ষ ঘুরিয়া গত মার্চ মাসে তাহাদের মত ভারত-সন্ত্রকারের নিকট পেশ করেন। ছোটখাট ব্যাপার ছাড়া কমিশনের সদস্তগণ একই মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন । ভারতের বর্তমান আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করিয়াই তাহার। সিভিলিয়ানদের বেতন-বৃদ্ধি ও উচ্চপদে ভারতীয়ের নিয়োগ প্রভূতি সম্বন্ধে মপ্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন, এইরূপ উহাদের ধারণা । ১৯২৪-২৫ খৃষ্টাব্দ হইতে র্তাহাজের প্রস্তাব কধ্যে পরিণত করা হইবে। ঐ প্রস্তাবামুযায়ী কাজ করিলে প্রথম বৎসরে ৯৬–৯৮ লক্ষ টাকা ব্যয় বাড়িয়া যাইবে। ক্রমে উহা বাড়িয়া দেড় কোটি টাকায় দাড়াইবে। পরে উচ্চপদে অধিক