৩য় সংখ্যা ] সাক্ষাৎভাবে এদেশে উক্ত দ্রব্য উৎপাদককে অর্থ সাহায্যও করা যাইতে পারে । এই বিচারের পরে একটি “বোর্ড” নিযুক্ত করা হইল কোন কোন কারবার সাহায্য লাভের যোগ্য, তাহা স্থির করিবার জন্য । বোর্ডের নিকট লৌহ ও ইস্পাতের কারবারগুলি এইরূপ সাহায্য দাবী করে। দাবীদারদিগের মধ্যে প্রধান ছিল তার্তার লৌহ ও ইস্পাতের কারখানা । ইহাদের বিরুদ্ধে আবার অযথা বিদেশী লোককে অধিক বেতন দিয়া নিয়োগ করা প্রভৃতি নানা-প্রকার অভিযোগ ছিল। সে ধাহা হউক, এই কথা বোর্ডের নিকট উঠিব। মাত্র ংলো-ইণ্ডিয়ান ধনিক-মহলে ভীষণ উত্তেজনার স্বষ্টি হইল। "গেল বুঝি আমাদের সস্তা দামে মস্ত গাধা কেনবার পথ বন্ধ হ’য়ে” ভাবিয়া এংলো-ইণ্ডিয়ান ধনিকের মস্তকে আগুন জলিয়া উঠিল । পাটকল ও চা-বাগানের প্রভুদের বিশেষ ভয় হইল, তাহাদের যন্ত্রপাতির দাম বাড়িধ পঝি বা “ডিভিডেণ্ডে” ঘা লাগিল । অপর কার্দারকে সাহায্য করিবার জন্য সমুদ্ধিশালী কারবারকে বোঝা গন্ত করার অর্থনৈতিক নিৰ্ব্বদ্ধিত সম্বন্ধে বড় বড় প্রবন্ধ বাহির হইতে লাগিল ; যদিও সামাজিক অর্থনীতির দিক্ দিয়া দেশের সর্বাঙ্গীণ উন্নতির খাতিরে ঐশ্বৰ্ষাশালী কারবারের নিকট সাহায্য আদায় কিছুমাত্র নির্বদ্ধিতার পরিচায়ক নহে। প্রত্যহ সৰ্ব্বদেশে এইরূপই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও দেখা যায়, যে, দেশের হস । সমুদ্রের চিঠি 8Nවය গভর্ণমেণ্ট চালাইবার জন্য ধনীই দরিদ্র অপেক্ষা অধিক কর দিয়া থাকে । কিন্তু এংলো-ইণ্ডিয়ানের এই আন্দোলনের ফল ফলিয়াছে। দেখা যাইতেছে, যে, ধে-রূপ ভাবে লৌহ ও ইস্পাতের কারবারগুলিকে সাহায্য দেওয়া যাইবে স্থির হইয়াছে, তাহাতে পাটকল ও চা-বাগানের প্রভুদের বিশেষ কিছু অতিলাভের ব্যাঘাত হুইবে না। ভাট পড়িবে প্রধানত “রেলওয়ে”গুলির উপর। অর্থাৎ রেলযাত্রী ও রেলে যাহারা মাল পাঠায় তাহাদের উপর । তাহারা প্রধানতঃ কাহারা তাহা লিখিয়া বলিতে হইবে नः । ইস্পাতের উপর নূতন সংরক্ষণ নিয়োগের ফলে “বীম” “এঙ্গল” ও “চ্যানেল”এর উপর শতকরা ২০, “প্লেটের” এর উপর শতকরা ৩০ এবং“কবৃগেটেড” ও গ্যালভ্যানাইজড"এর উপর শতকরা ১৫ শুষ্ক বসিল । ইহা ব্যতীত”রেল” ও “ফিশপ্লেটু” প্রস্তুত-কারক টন প্রতি ৩২২ টাকা (১৯২৪— ২৫ খৃঃ অঃ-তে ) হইতে নামিয়া টন প্রতি ২০ টাকা ( ১৯২৬–২৭-এ ) অবধি সাক্ষাৎ সাহায্য লাভ করিবেন। যে-ভাবেই হউক টাকাটা দিবে হয় উক্ত দ্রব্যসকলের ক্রেতা, অথবা “গবর্ণমেন্ট” অর্থাৎ জনসাধারণ। পাটকল ও চা-বাগান আরামে অর্থোপার্জন করিতে থাকিবে এবং তাহাদের মালিকরাও শেষ জীবনে বহু অর্থ সঙ্গে করিয়া “হোমে” গমন করিতে থাকিবে । আ সমুদ্রের চিঠি আজ ৭ দিন থেকে আমরা সমুদ্রে ভাসছি। এমন চমৎকাব আরামে সমুদ্রযাত্রা আর কোনো দিন করিনি । দুপ-দুপ, করে জলের আওয়াজ হচ্ছে আর তার তালে তালে নৌকাখানা নাচতে নাচতে চলেছে। সামুদ্রিক হাসেরা আগে পিছে চারিদিকে আমাদের বারংবার প্রদক্ষিণ করে’ গান গেয়ে বেড়াচ্ছে, কখনও ক্লাস্ত হ’য়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের উপর গিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসছে এবং একটা বড় ঢেউ এলে উড়ে সেটা পার হয়ে আর একটা ঢেউয়ের খাজের মধ্যে গিয়ে বসছে। ঝাকে বাকে উড় কু মাছ জাহাজের জলের তাড়নায় জাহাজের নিকট থেকে দুরে উড়ে উড়ে চলে যাচ্ছে, তাদের ডানাগুলো বেশ স্বন্দর সাদায় কালোয় মেশানো চমৎকার দেখাচ্ছে । মাঝে মাঝে দল বেঁধে গুণ্ডকেরাও ডুব খাচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় বা রাণীকৃত স্পঞ্জ, ভেসে ভেসে আসছে—এটা এই লোহিত সাগরেরই বিশেষত্ব চারিদিকৃ জলে জলময়— গাঢ় নীল জল। এই গাঢ় নীল জলের উপর রোজস্ট চন্দ্র-স্থধ্যের উদয়-অস্তের খেলা চলছে, গ্রহ-তারকার খেল চলছে। উপরে অনন্ত আকাশে অস্তহীন জ্যোতিষ্কদের আনন্দ-বিহার চলছে, আর নীচে দিগন্তপ্রসারিত সমুদ্রের বক্ষে আলোকের ঝলকে ঝলকে শুভ্রফেন-মালা নাচতে নাচতে চলেছে। সমুদ্রের কথা ভাবলে মানুষের মন অবশ ও নিম্পন্দ হয়ে আসে ; এইরকম নিম্পন্দ্ৰ হ’য়ে আসবার সময় মনে যে ভাব হয় তাকে ইংরেজীতে বলে sublimity ; একথাটার কেন যে ভ:ল বাঙ্গল নেই ত! বলতে পারিনে, কারণ ভাব টা আমাদেব মনে যথেষ্টই আসে। একে ঠিক স্বন্দর বলা যায় না ; একে বলা যায় মহান, উদার, বৃহৎ-অনন্ত ; অথচ এ কথাগুলির কোনওটিতেই ভাবটি প্রকাশ হয় না। সৌন্দর্ঘ্য বলি তখনই যখন আমাদের মন মুগ্ধ হয় কিন্তু অভিভূত হয় না, চিত্ত-বৃত্তি উত্তেজিত ছুয় কিন্তু অবশ অসাড় হয় না। কিন্তু যাকে sublimity বলা যায় সেটা موج - به جی-یه چgra