পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86 २ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড ১২ । শত পঞ্চ চৌপাষ্ট্র –১০৫ টি চৌপাঈ সংগ্ৰহ । ভক্তিমার্গের গীত । ১৩ . বিনয় পত্রিক —গীত বা প্রার্থনা সংগ্ৰহ । ইহাতে নানা বিষয়ক ২৭৯টি পদ্য আছে। ইহাতে কবির জীবনের কথা, সে-সময়ের সমাজের ও দেশের কথা, কাশীর মন্দির বর্ণন। ইত্যাদি নানা কথ। আছে । ১৪। রাম সতসঈ :–সাত শত অপেক্ষা বেশী দোঙ্গাবলী সংগ্ৰহ । এই পুস্তক-সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞদের মতভেদ আছে। কেহ বলেন অধিকাংশ তুলসীদাসেব লেখা, দুই-চারিটি প্রক্ষিপ্ত, আবার কাহারও মতে প্রায় সকলগুলিই তুলসী নাম-ধারা অন্য কোন কবির লেপা । পুস্তকে আছে যে, ১৬৪২ সম্বং বৈশাখ শুক্ল-নবমী গুরুবার শেষ হইয়াছে। ১৬৫৫ সম্বং ( ১৫৯৮ খৃ: ) জাহাঙ্গীর একজন জয়পুরী চিত্রকর পাঠাইয়া গোস্বামী তুলসীদাসের এক চিত্র প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। বোধ হয়, তুলসীদাসের ইহাই একমাত্র চিত্র । শুনিয়াছি আদং চিত্ৰখানি কাশীর গঙ্গারাম যোশীর উত্তরাধিকারীর কাছে আছে। উপস্থিত উত্তরাধিকারীর সহিত আমার ১৯১৫ খৃঃ আলাপ হয়, তখন তিনি বলিয়ছিলেন যে, প্ৰহলাদ ঘটে যে-ঘরে তুলসীদাস থাকিতেন, তাহাতে ঐ চিত্র দেখিয়া তিনি একটি শ্বেত প্রস্তরের মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিবেন । কিন্তু তিনি সফল হইয়াছেন কি না সংবাদ পাই নাই । বেজায় খরচ শ্ৰী নিশিকান্ত সেন, বি-এ (টলষ্টয় অবলম্বনে ) মনাকে ক্ষুদ্র রাজ্য, ফান্স ও ইটালির সীমাস্ত প্রদেশে অবস্থিত। রাজ্যটি খুবই ছোট । অনেক ছোট সহরেও এর চেয়ে বেশী লোকের বাস । রাজ্যে লোকসংখ্য মোট সাত হাজার । আর রাজ্যটা যদি এই সাত হাজাৰ অধিবাসীর মধ্যে ভাগ করা যায়, তবে মাথা পিছু এক একর জমিও পড়ে নাম যেমনি ছোট রাজ্য, তেমূনি তার একজন ছোট রাজা । তার প্রাসাদ সভাসদ মন্ত্রিবর্গ সেনাপতি সৈন্তদল সবই আছে ; তবে ছোট রাজার ছোটধরণের সব । সৈন্তদলে মোট ষাট জন সৈন্ত ; তবু সৈন্যদল ত বটে । রাজার অভিষেক, উৎসব, আইন-আদালত, মন্ত্রিসভা, আলোচনা, বিচার, শাস্তি, পুরস্কার সবই আছে ; ছোট রাজার যেমন থাকৃতে হয়। রাজ্যের আয় ছিল রাজকর এবং মদ্য, তামাক প্রভৃতি মাদক দ্রব্যের উপর শুষ্ক । সে আয় সীমান্তই ; কারণ বেশী লোকে মাদক দ্রব্য ব্যবহার ককৃত না। রাজার মন্ত্রিগণ, সভাসদ ও অস্তান্ত কৰ্ম্মচারীদের বেতনেই সে জায় ফুরিয়ে যেত। রাজার আর-একটা নতুন আয় হ’ল, জুয়ার আডডার খাজনা । ধারা জুয়া খেলত তাদের হারজিত যা হোক ন! আডডাধারীকে কতক টাকা দিতেই হ’ত। জাডডtধারী তার লাভ থেকে একটা মোটা-রকমের টাকা রাজসরকারে দিত। ইউরোপে অন্তান্ত রাজ্যে জুয়-খেলার প্রচলন বন্ধ হওয়ায় আডডাধারী এই আডডাটা অনেক টাকা খাজনা দিয়ে রেখেছিল । ঘর জুয়৷ খেস্ত তারা মনাকে রাজ্য ছাড়া আর খেলবার জায়গা পেত না । কাজেই জুয়াড়ীর দল সব এখানে খেলুতে আসবেই । হার হোকৃ, জিত হোক রাজার লাভের বাধা নেই। রাজা বুঝেন, জুয়া খেলাটা ভাল নয়, তবু কি করেন ব্যয় কুলাইবার জন্ত আয় ত চাই। তাই এই জুয়ার আডঞ্জ রাখা । একবার রাজ্যে একটা খুন হ’ল । সে-aাজ্যের অধিবাসীরা সব শান্তিপ্রিয় ; এমন ধটন রাজ্যে কখনো আtর হয়নি । আদালতে মামল৷ হ’ল । জজ, উকিল, ব্যারিষ্টার, জুরি সবই আছে। তার নানা যুক্তিতকের অবতারণা করলেন। নিয়মমত বিচার হ’ল। বিচারে আসামী দোষী সাব্যস্ত হ’ল । হুকুম হ’ল, তার মাথা কেটে ফেলা হবে । জজের রায় রীতিমতন রাজ-দরবারে দাখিল হ’ল ; রাজা মঞ্জুর করলেন । কিন্তু মুস্কিল হ’ল এই—রাজ্যে ঘাতকও নেই, মাথা কেটে ফেলুবার উপযুক্ত অস্ত্রও নেই। মন্ত্রীরা অনেক পরামর্শ করে স্থির করলেন, ফরাসী গবর্ণমেণ্টের নিকট অস্ত্র ও ঘাতক প্রার্থনা করা হবে। সেখানে সংবাদ গেল । ফরাসী গবর্ণমেণ্ট উত্তর দিলেন—তারা অস্ত্র ও ঘাতক দিতে পারেন, ব্যয় পড়বে ষোল হাজার টাকা । রাজার কাছে খবর গেল, রাজা বললেন, “উহু, এ-যে বেজায় খরচ ! ষোল হাজার টাকা । রাজ্যের প্রজার উপর মাথা পিছু ছু টাকারও বেশী ! না, এ হতে পারে না । ওখুনেটার জন্ত এত খরচ করা যায় না । এতে রাজ্যে বিদ্রোহ হ’তে পারে। দেখ, কম খরচে হয় কি না ।” আবার মন্ত্রীর পরামশে বসলেন । স্থির হ’ল, ইটালি রাজ্যে খোজ নেওয়া হোক । ফ্রান্স সাধারণ-তন্ত্র দেশ, রাজার সন্মান তার বোঝে ন । ইটালীর রাজার রাজার সম্মান রাখবেন। ইটালী রাজ্যে খবর গেল । সেখান থেকে উত্তর এল, তারাও দিতে পারেন, তবে খরচ বার হাজার টাকা ।