পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ম্যাদাম কুরির হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন। ইহা ল্যাস্তিত্যুত, দ্যু রাডিয়ম্ নামক পারি নগরের এক বিজ্ঞানমন্দিরে আছে । সেখানে অতি যত্বের সহিত রেডিয়মের গুণাবলী পরীক্ষণ হইতেছে ; এবং কি উপারে জীবনহানি হইবার আশঙ্কা ব্যতিরেকে রেডিয়ম্ দ্বারা রোগের প্রতিকার হইতে পারে, সে-সম্বন্ধেও চেষ্টা গোয়ালিয়র-প্রান্তে প্রাচীন নগর চলিতেছে । ইহার ঔষধরূপে প্রয়োগ "পাভিলন পাস্তুর” নামক চিকিৎস গারে হয় । এখনও রেডিযমেব পরীক্ষ্ম চলিয়াছে । ইহা হইতে অনেকে অনেক-কিছু প্রত্যাশা করিয়াছিলেন এবং এখনও করেন । আশা সফল হুইবে কি না, সে-বিষয়ে কোনদিকেই অধিক লক্ষণ দৃষ্ট হয় না। হয়ত ইহাই ল্যাস্তিত্যুত ডু রাডিয়ম্ কিংবা এতৎসং ক্রান্ত কোন ও পদার্থ ই স্পশমণি, আবার অন্য অনেক আবিষ্কারের ন্যায় গন্তব্য পথের একটি যোজনস্তম্ভ হয়ত বা ইহ রসায়ন-শাস্ত্রের মাত্র । গোয়ালিয়র-প্রান্তে প্রাচীন নগর (পদ্মাবতী ) o শ্ৰী ফণীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ালিয়র প্রান্তে যে-সব প্রাচীন নগর আছে, তাহা একদিন ভূতলের স্বর্গ বলিয়া কীর্তিত হইয়াছিল। আজও সেই গৌরবের কথা পুরাণাদিতে লিখিত আছে । একদিন উজ্জয়িনীর ( অবন্তীনগর ) কীৰ্বি স্থৰ্য্যের দীপ্তির ষ্ঠায় সমস্ত ভারতে প্রভাসিত ছিল। মহাভাবতের চেদীরাজের চান্দেরীর প্রশংসায় সৰ্ব্বত্রই মুখরিত ছিল। প্রসিদ্ধ রাজা নলের নরবর দুর্গ গোয়ালিয়র রাজ্যের বুকে এখনও নীরবে অশ বিসর্জন করিতেছে। বিদিশা নগরী গোয়ালিয়র রাজ্যের অন্তর্গত। পূর্বের ন্যায় ইহার আর উন্নতির শিখরে নাই, কিন্তু ইহাদের বৈভবের কথা ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরস্মরণীয় থাকিবে । কালের পেষণে দলিত নগরের মধ্যে পদ্মাবতীও একটি । আমাদের বর্তমান প্রবন্ধের আলোচনার বিষয় এই পদ্মাবতী নগর । ইহা আর এখন নগর নাম ধারণ করিবার উপযুক্ত নয়। সে শুধু অতীতের পুরাতন স্মৃতি নিজের বক্ষে ধারণ করিধ। কালের বিচিত্র লীলা সনদর্শন করিতেছে । নাগরাজদিগের্ব সময় পদ্মাবতী একটি প্রভাবশালী