পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳԵ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩১ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড শিবাজীর সমাধি মন্দির--রায়গড় প্রাসাদের উত্তৰ-পূৰ্ব্ব ৪০ ফুট প্রশস্ত একট। রাস্ত সটান সোজা চলে গিয়েছে। রাস্তাটির দুইধারে প্রায় ৭০০ফুট লম্বা জায়গা পাথর দিয়ে উচ করে বাধানে । এখানে এখনও ৪টি দোকান-পরের ধু [বে ভগ্নাবশেষ পড়ে” রয়েছে। এইখানেই তখনকার দিনে বাজার বস্ত এবং জনসাধারণ ঘোড়ার পিঠ থেকে সওগাদের কেনাবেচা করত । এখান থেকে একটা রাস্তা তকমকে এসে শেষ হয়েছে। খাড়া সোজা পাগড়-একবার প। পিছলে গেলে হাজার ফুট নীচে কোন গুহার অন্তরালে যে গড়িয়ে পড়তে হ’বে তার ঠিক ঠিকান নেই। যাদেব প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হ’ত—এই ‘তকমক থেকেই তাদের ঠেলে’ ফেলে’ দেওয়া হ’ত । এখানে দাড়িয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলে মাথা ঘুরে যায় । অস্ত্র-তৈবার কারখানাট। এখান থেকে বেশ স্পষ্ট দেপ; যায়। কারখানাটি এখন ভগ্ন, চর্ণ পাথরের স্তপে পরিণত কারখানাটি দৈঘ্যে ছিল ৯৯ দেওয়ালগুলো ছিল ৩ ফুট চওড়া । কারপনার কাছে ১২টি জলাশয় পাহাড় খুঁড়ে তৈরী করা হয়েছিল । যে-কোন একটিতে ঢ়িল ছুড়লে ঢেউয়ের দোলানি । জেগে ওঠে । 乏び羽な5 」 ফুট এবং এব এদের সব গুলোর জলে কারণ নীচের ছিদ্র পথ দিযে এদের প্রত্যেকটিকে প্রত্যেকটির সঙ্গে যুক্ত করে’ রাখা হয়েছে। এই কারখানা থেকে প্রায় মাইলথানেক দূরে জগদীশ্ববের মন্দির প্রতিষ্ঠিত । চা িদিকে দেওয়াল দিয়ে ঘেরা মন্দিরটি এখনও অল্প অটুট অবস্থায় আছে । মন্দিরের মহাদ্বার-তলে শিবাজীকে সমাহিত করা হয়েছে । শিবাজীর সমাধি-স্তম্ভটি অতি সাধারণ—-সমস্তরকমের বাহুল্যবর্জিত কালে রংএর পাথরে তৈরী । শিবাজীর সমাধির পাশে তার প্রিয় কুকুরটিকে ও গোর দিয়ে তার উপরেও একটি ছোটখাট স্তম্ভ গড়ে শেলা হয়েছে । রায়গড়ের পশ্চিম দিকের গড় চূড়াটার নাম হিরকণী । এই নামের ইতিহাসটি ভারি হিরকণী একজন আভীর রমণীর নাম । সে রোজ রাজপ্রাসাদে দুধ জোগাত। এক সন্ধ্যায় তার বেরিয়ে যেতে দেরী ই ওয়ায় তাকে ভেতরে রেখেই সদর দরজা বন্ধ করা হয় । গুহে সে শিশু-পুত্রকে রেপে এসেছিল, সুতরাং রাত্রিতে বাড়ী ছেড়ে থাকাও তার পক্ষে সম্ভব ছিল না । অবশেষে চমৎকার । আর- প্ৰকান উপায় ন দেগে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে” সে খাড়া পাহাড় বেয়ে নেমে বাড়ী পৌছেছিল, ছেলেকে বুকে তুলে নেবার জন্যে । পরের দিন ঘটনাট শিবাজীর