পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] রাবণ শুক ও সারণ-নামক অমাত্যদ্বয় ও নিজ পরিবার সহ পুষ্পকরণে বুদ্ধের নিকট আসিয়া তাহাকে তিনবার প্রদক্ষিণ করিয়া লঙ্কার লইয়া যাইতে আগ্রহ প্রকাশ করিলেন । রাবণ বলিলেন—”এই লঙ্কাপুরী দিব্যরত্বে তৃষিত , ইন্দ্ৰনীলমণি স্বারা উদ্ভাসিত। iমরা যক্ষ-রক্ষগণ এখানে বাস করিতেছি । কুম্ভকৰ্ণপ্রমুখ রাক্ষসগণ মহাযান-ধৰ্ম্ম শ্রবণ করিবার জন্য উৎসক রহিয়াছেন। অতএয, হে মুনে, আমাদিগের প্রতি অনুকম্প করিয়া নিজ পুত্ৰগণের সহিত গমুন করুন। আমি বুদ্ধগণের ও নিজ পুত্ৰগণের অtজ্ঞাকারী...” ♠ বুদ্ধদেব রাবণের প্রতি অনুকম্প প্রদর্শন করিয়া জিনপুত্ৰগণ সঙ্গ লঙ্কাপুরে প্রবেশ করিলেন এবং তথায় ভগবান জিনপুত্ৰগণ সহ পঙ্গ। গ্রহণ করিয়া “প্রত্যাক্সগতিগোচর ধৰ্ম্ম’ বাপা করিলেন । দশানন ( দশমুগু নহে । বুদ্ধের স্বমধুর ব্যাখ্যা শ্রবণ করিয়া তাহার শরণাগত হইলেন এবং বৃদ্ধধৰ্ম্ম এবং সংঘের আশ্রয় লক্টলেন। রাবণ বুদ্ধের নিকট ১৯৮টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন । বুদ্ধ সেই প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়াছিলেন । প্রশ্নগুলির মধ্যে দর্শন, লিন্দান, গণিত, ধৰ্ম্মনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি সকল বিষয়ই ছিল। বৌদ্ধগণ এই গ্ৰন্থকে পরম ভক্তির চক্ষে দেখিয়া থাকেন । প্তাহীদের বিশ্বাস, ভগবান বৃদ্ধ রাবণকে যেসকল উপদেশ দিয়াছিলেন, তাহা লক্টয়াই লঙ্কাকতার সুত্র বিরচিত হইয়াছিল । এই গ্ৰন্থ খ্ৰীষ্টীয় ৪৪৩, ৫১৩ ও ৭•৭.ঙ্গাব্দ চীন ভাষায় পুনঃ পুনঃ অনুদিত হইয়াছিল। এই গ্রন্থের মত শঙ্করাচার্য র্তাহার বেদান্ত ভামো BB B BBBS BBBB BBBBB S BBBBB BBB BBBBBS সংগ্রঙ্গে উল্লেখ কবিয়াছেন । এই লঙ্কাবশাল সৱেল আলোচনায় এমন ধারণাও যদি পাঠকের মনে জন্মিয় থাকে, যে বৌদ্ধযুগের ভারতীয় জনগণ ও ভারত মহাসাগরের বক্ষঃস্থিত লঙ্কাদ্বীপে বালণ নামে যে একজন নরপতি ছিল, তাহার কথা জানিত, লা শুনিয়াছিল, তবেই এস্থলে এই পুস্তকের বিবরণ সঙ্কলনের চেষ্টা সার্থক হইল, মনে করিব । “দশবথ-জাতক” রামায়ণ-সম্পর্কিত দ্বিতীয় বৌদ্ধগ্রন্থ । জাতকগুলি বৃদ্ধের মূপে প্রকাশিত—ষ্ঠাহীর পূর্ব-জন্মের কাহিনী বলিয়া প্রচারিত। বৃদ্ধ যে পূৰ্ব্ব জন্মে দশরথের পত্র রাম-রূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, দশরথ-জাতকের গল্পটি দ্বীব তাঙ্গ তিনি বিবুত করিয়াছেন। রামায়ণের গল্পেব সহিত এই জগতকের গল্পের অনেক স্থলেই ঐক্য নাই . গল্পটি নিয়ে সংক্ষেপে বিস্তুত হইল । বারাণসীর রাজা দশরথের ষোল হাজার পত্নী ছিল । তাহীদের মধ্যে যিনি রাজমহিষী ছিলেন. তাহার গর্ভে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল--দুইটি পুত্র একটি কষ্ঠ । তাহদের নাম ছিল যথাক্রমে—রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা । জ্যেষ্ঠ রাম সুপণ্ডিত ছিলেন, সেইজন্ত লোকে উহাকে রাম-পণ্ডিত বলিত । হঠাৎ একদিন রাজার জ্যেষ্ঠ মহিষী পুত্রকস্তাদিগকে মাতৃহীন করিয়া চলিয়া গেলেন ; রাঙ্গ দুঃখিত অস্তরে র্তাগর অক্টোষ্টি-ক্রিয়াদি সমাপন করিয়া অঙ্গ এক রাণীকে মহিনী মনোনীত করিলেন । নুতন মহিষী রাজাকে খুব বাধা করিলেন। রাজা তাহার আচরণে মুগ্ধ হইয় তাহকে বর দিতে ইচ্ছা করিলে, রাণী বলিলেন—“যদি আমাকে ভালই বাস, বেশ ; আমার বর আমার প্রয়োজন-মত চাহিয়৷ লইব । তখন অস্বীকার করিবে না ত ?” রাঙ্গ বলিলেন—“সে কি কয় ? নিশ্চয় দিব।” কিছুদিন পরে এই মহিষীর পুত্র ভরত একটু বড় হইলে রাণী রাজার নিকট র্তাহার অঙ্গীকৃত বরাট চাহিলেন। لا لا دسـدوانية কষ্টিপাথর—রামায়ণী কথার প্রচার (?)○ - سہمی ہسماع-- ~ -------۔ রাণী বলিলেন—“তুমি যদি আমাকে ভালই বাস, আমার ছেলে ভরতকে রাজা করিয়া দাও।” রাজা দশরথ ইহা শুনিয়া ভয়ানক রাগ করিলেন। কিছুতেই এরূপ বর দেওয়া যাইতে পারে না । আমার উপযুক্ত পুত্র রাম-পণ্ডিত বৰ্ত্তমান থাকিতে আমি অস্ত কাহাকেও রাজা করিতে পারিব না। রাজার মনের অবস্থা বুঝিয়। রাণী সে-যাত্র। নীরব হইয়া রছিলেন। কিছুদিন এইরূপে 5निल । * আর-একদিন যখন রাজা রাণীর সহিত ভালবাস দেখাইতে আরম্ভ করিলেন, অবস্থা বুঝিয়া রাণী তাহার বরটি পুনরায় প্রার্থনা করিল। রাজ৷ এবার কিছুই বলিলেন না ; কিন্তু মনে-মনে চিস্থা করিলেন“বিমাতার সংসার, উপায় কি ?” রাজা দৈবজ্ঞ ডাকিয় দেখিলেন, তাহার পবমায়ু আর মাত্র বার বৎসর। তিনি বিমাতার চক্রাস্ত হইতে ছেলে-দুটিকে রক্ষা করিবার জষ্ঠ তাহাদিগকে স্থানান্তরে যাইয় আত্মগোপন করিয়া থাকিতে এবং এই বার বৎসর পরে আসিয়৷ পিতৃ-সিংহাসন অধিকার করিয়া বসিতে উপদেশ দিলেন । o পিতৃ-উপদেশে রাম লক্ষ্মণ বনে চলিলেন। ভ্রাতাদিগকে চলিয়া যাইতে দেখিয়া ভগ্নী সীতাও কঁদিয়া অস্থির হইলেন। অবশেষে তিনি ভ্রাতৃদ্বয়ের অনুগমন করিলেন । এদিকে রাজা দশরথ পুত্ৰশোকে কিছু অগ্ৰেই মরিয়া গেলেন । উপযুক্ত সময় বুঝির রাণী বলিলেন—“এখন আমার পুত্রই রাজ ।” পত্রিমিত্ৰগণ বলিলেন—“তাই। কেমন করিয়া হয় : জ্যেষ্ঠাধিকারী বৰ্ত্তমান থাকিতে কনিষ্ঠের সিংহাসনে অধিকার হইতে পারে না।” ভরত বুদ্ধিমান ছিলেন, তিনি বলিলেন—“তাঁহাই হইবে, দাদাকেই খুজিয়া আনিতে হইবে।” - ভরত পৌরজন লইয়। জ্যেষ্ঠ রাম-পণ্ডিতকে আনয়ন করিতে বনে গেলেন । রাম আসিলেন না ; তিনি বলিলেন,—পিতৃ-আদেশ–“দ্বাদশবন্ধ পরে রাজধানীতে যাইতে ; এখনও যে তাহার তিন বৎসর বাকী। তুমি লক্ষ্মণ ও সীতাকে লইয়া যাও ; আমি পিতৃ-আদেশ কথনও লঙ্ঘন কবি ন৷ ” ভরত বলিলেন—“আমর। তবে কাহার মস্তকে রাজছত্র ধারণ করিব ?" রাম বলিলেন—“কেন ? তোমার ।" ভরত স্বীকৃত হইলেন না । তখন রাম স্বীয় পাছক যুগল দেখাইয়৷ বলিলেন—“লইয়৷ যাও আমার এই পাদুকাদ্বর ।” ভরত, লক্ষ্মণ, সীতা ও পাছুকাদ্বয় সহ রাজধানীতে ফিরিয়া আসিয়৷ রাজসিংহাসনে রামের পাদুকা স্থাপন করিয়া সেই পাদুকার ইঙ্গিতে রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন । অনন্তর তিন বৎসর পরে রাম কাশীতে ফিরিয়া আসিয়া সহোদর ভগ্নী সীতাকে বিবাহ করিলেন এবং উভয়ে সিংহাসনে উপবিষ্ট হইলেন । এইরূপে রাম ষোল হাজার বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন । বুদ্ধদেব গল্পটি শেষ করিয়া বলিলেন—“এই রামই আমি, দশরথ আমার পিত। শুদ্ধোধন, সীতা আমার পত্নী গোপ, আর ভরত আমার শিষ্য আনন্দ ।” বুদ্ধদেবের সমসাময়িক যুগে রামায়ণ কথা কিরূপভাবে প্রচলিত ছিল, তাহা দশরথঞ্জাতক পাঠ করিয়া সিদ্ধাস্ত করা যাইতে পারে না । জাতকগুলি বুদ্ধদেবের তিরোভাবের,পরে রচিত হইয়াছিল। মোটামুটি লিঙ্কা এই করা যাইতে পারে যে-যে-স্বাকারেই ইউক-বৌদ্ধযুগে ঐসময়ের লোক রামায়ণের ঘটনা জানিতেন । এই জাতকটি দ্বারা আর-একটি ঐতিহাসিক তত্ব পাওয়া যাইতেছে এই