পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা] टप्रख्च (Rసె দেখিতে না পাইয়া, কিংবা অস্ত্রের গতি এবং বেগ ইচ্ছামত নিয়ন্ত্রিত না করিতে পারায়, মূল্যবান অভ্রের স্তবক কাটিয়া বা অন্তপ্রকারে নষ্ট করিয়া ফেলে। সার টমাস হল্যাও, ও অন্য অনেক ভূতত্ত্ব ও খনিতত্ত্ববিদগণ বলেন, যে, এদেশে এইরূপে নষ্ট অভ্রের পরিমাণ শতকরা ৭৫ হইতে ৮• । অর্থাৎ খননের যথাযথ বিধান হইলে যেস্থলে অন্ততঃপক্ষে ৮০মণ উত্তোলিত হইত, সেস্থলে এইরূপ কাৰ্য্য-প্রণালীতে ২৫ মণ মাত্র অভ্র পাওয়া যায় । খনির অধিকারীর দ্বিতীয়প্রকার ক্ষতির কারণও ঐরূপ অন্ধকার এবং সঙ্কীর্ণ স্বভূঙ্গ । থনকের কার্য্যস্থল অন্ধকার এবং আবর্জনাপূর্ণ হওয়ায় অনেক সময় সে খনিজপূর্ণ প্রস্তরশির হারাইয়া ফেলে এবং পরে বৃথা চারিদিকে খনন করিয়া বেড়ায় । খনির অধিকারী বা তাহার কোনও কৰ্ম্মচারী প্রায়ই বিশেষ শিক্ষিত না হওয়ায় শিরা পুনরাবিষ্কৃত হয় না এবং খনি অভ্রশূন্য এইরূপ বিবেচিত হইয়া পরিত্যক্ত হয় । পনিজবাহক প্রস্তরশিরার অভিমুখ (strike) এবং ভুবকোণ (angle of dip) নিরূপণ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ ভূতত্ত্ববিদের প্রথম কাৰ্য্য। এই দুইটি নিরূপণ না করায় অনেক স্থলে বৃথা পরিশ্রম করিয়া খনির কর্তৃপক্ষ অনর্থক বহু অর্থ ব্যয় করিয়া থাকেন। কোডামাতে এক খনির এইরূপ বৃত্তাস্ত স্যার টমাস হল্যাণ্ড লিথিয়া গিয়াছেন । এই খনিটি একটি পাহাড়ের উপর স্থিত। প্রথমে অভ্রের নিদর্শন পাওয়া যায় প্রায় শিখরদেশের নিকটে । সেখানে অভ্রবাহক শিরার বহিঃপ্রকাশ (out-crop) ছিল । খনির কর্তৃপক্ষ সেইখানেই খনিমুখ করিয়া শিরা অমুসরণ করিয়া মুড়ঙ্গ কাটিয়া চলেন । সঙ্কীর্ণ স্থড়ঙ্গে ধাপ কাটিয়া, মজুর ও মজুরানী (প্রায় ১• • জন) দ্বারা “মাল” ( অভ্র-স্তবকাদি ), আবর্জনা, এবং ঘড়া পূর্ণ করিয়া জল খনিমুখে তুলিয়া পরে নীচে আনিতে হয়। ক্রমে মুড়ঙ্গ যতই গভীর হইতে থাকে, ততই অভ্র খনন এবং উত্তোলনের খরচ বৃদ্ধি পায় । শেষে বায়ুচলাচলের অভাব, খনি পরিস্কার রাখার পরচ বুদ্ধি ইত্যাদি কারণে খনির কার্য্য প্রায় বন্ধ হইয়া আসে। অথচ কর্তৃপক্ষ কোনও বিশেষজ্ঞ ভূতত্ত্ববিদ নিয়োগ Sve --سے یbوه SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAASASASS করিলে অনেক বাধা-বিল্প হইতে পরিত্রাণ পাইতেন। এইক্ষেত্রে অভ্রবাহক শিরা পৰ্ব্বতশিখরের দুইপাশ্বেই পৰ্ব্বতগাত্রের সমান্তরাল হইয়। নীচে চলিয়া গিয়াছে, এবং অধিকাংশ স্থলেই পৰ্ব্বতগাত্র হইতে শিরা অল্প .দূরেই স্থিত। স্বতরাং অভিমুখ এবং ডুবকোণ নিরূপণ করিয়া শিরা পরীক্ষা করিলে কর্তৃপক্ষ সহজেই বুঝিতেন, পৰ্ব্বতগাত্র হুবিধামত স্থলে স্থলে ভেদ করিয়া ঢালু পথ করিয়া দিলে খনকের সহজেই কাৰ্য্যস্থলে যাইতে পারিত। বায়ু-চলাচল সহজ, ঠেলা গাড়িতে জল নিষ্কাশন আবর্জন বহিষ্কার এবং আনয়ন এইসকলপ্রকার স্থবিধা হইত। খনকেরা পিচ্ছিল সঙ্কীর্ণ অন্ধকার জায়গায় খনন করার অস্ববিধা হইতে উদ্ধার পাইয়া অভ্র খনন অধিক যত্বের সহিত করিতে পারিত । বিশেষে শিরা নীচে হইতে উপরদিকে কাটিয়া যাইলে অশ্বের ক্ষেপণ উৰ্দ্ধমুখ হইত। তাহাতে অস্ত্রাঘাত ইচ্ছামত মৃদু বা প্রবল করিতে পারায়, এবং ভগ্ন প্রস্তরাদি আবর্জনা খননস্থল আচ্ছাদন করিয়া না থাকায়, অভ্রস্তবক অস্ত্রাঘাতে নষ্ট হইবার সম্ভাবনা অনেক কম হইত। অভ্ৰখনন-সম্বন্ধে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই এইরূপ উর্দুমুখ আঘাতের অমুকুল মত দেন । নিম্নমুখ আঘাতের দোষ এই, যে, আঘাতে ভগ্ন প্রস্তর-খণ্ড ও-চুর্ণ খনন স্থলেই পড়িয়া থাকে। প্রত্যেক কোপের পরে আবর্জনা পরিষ্কার করা সম্ভব নহে, অথচ আবর্জনায় আচ্ছাদিত অনেক অভ্রস্তবক আঘাত লাগিয়া নষ্ট হইয়া যায়। উৰ্দ্ধমুখ আঘাতে ভগ্ন আবর্জন নীচে পড়িয়া যাওয়ায় থননস্থল সৰ্ব্বদাই পরিষ্কার থাকে । অবশ্য সকল খনিই যে কুপ খনন, যন্ত্রাদি স্থাপন, এইসকলের উপযুক্ত, তাহা নহে । কোন কোন ক্ষেত্রে খনিতে অভ্রের পরিমাণ অল্প থাকে । সেখানে মৃত অল্প পরচে কার্য্যোদ্ধার হয়, ততই ভাল। তবে বিশেষজ্ঞ ভিন্ন অন্য কেহ তাহী স্থির করিতে পারেন अl ! পনিজশির মধ্যে অভ্র সৰ্ব্বত্রব্যাপী হইয়া থাকে না । অধিকাংশ স্থলেই দেখা যায়, যে, শিরামধ্যে অভ্রস্তবকসকল পৃথক পৃথকৃ কোষ (lons) মধ্যে আবদ্ধ থাকে ।