পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 اهمين প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩১ .[ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড DD KS BBB DD BBBS BB BBBB DDD DDD DDS SBB BB BBBBDS B DD DDS DD D BB BBBBS শুধু পাঠশালায় ও বিদ্যালয়ে নয় ; সংস্কৃত বিদ্যালয়ে ও টােলে বর্ণের উচ্চারণ ক১ে ও কর্ণে না থাকিয়া ব্যাকরণেই থাকে। ফলে বাঙ্গালী পৰিতের সংস্কৃত উচ্চারণ ভারত জুড়িয়া অথ্যাতির বিষয় হইয়াছে । আমি জানি আমরা যেমন লিখি তেমন পড়ি না, যেমন বলি তেমন লিখি না। কিন্তু, শিক্ষা- ও সংসর্গ-ভেদে ইহার তারতম্য আছে । কিন্তু, কালীর আখরে তারতম্য করিলে চলে না, লিখনের প্রয়োজন ব্যর্থ হয় । অতএয যখন কোন মুসলমান লেখককে নোয়াব, cछाद्राद, प्रशिल, शप्श्र, cषांश्लभान शिथिएड cन१ि, उशन बूनि-श्ञ তিনি বাঙ্গালী ভাষা জানেন না, কিংবা পৃথক উচ্চারণ চালাইয় বজালী হিঙ্গু হইতে পৃথক থাকিতে চান । এইরূপ, যখন দেখি অনাতক আব-ফার্সী শব্দ বসাইতেছেন, তখন বুঝি,—তিনি তাহার ও সুস্থার সমশ্রেণীর জানা-শোনা শব্দের কদর করিতেছেন, সাধারণ বtaাল পাঠকের প্রতি নিদর্য হইতেছেন। আমি মোটরে চড়ি, কি গেরির গাড়ীতে চড়ি, নৌকায় যাই, কি ইটিয়া যাই, আমি যে, সেই থাকি। কিন্তু, ইটির যে পথ যাইতে পারি, কিংবা সন্তার বানে যাইতে পারি, সে পথ যাইতে যদি মোটরে চড়ি, তাহা হইলে অন্তে বুঝিবে, বাওয়া একটা উপলক্ষ, মোটর দেখান, ধন দেথান আমার উদেশ্ব। কিন্তু, সে কথা আমি মানিব কি ? সেইরপ. আমি এখন সহেৰী পোষাক পরিয়া বাহির হই, তখনও আমার ওজুহাতের অভাব হয় না। কিন্তু, যাহার চোখ আছে, তিনি বুঝিতে পারেন, আমি মনের সঙ্গে লুকাচুরি থেলিতেছি। চৌধুরী সাহেবের অনেক যুক্তিতে মনের এইবপ দ্বন্দ্ব আছে। তিনি বলেন, আtল্লা শব্দের পরিবতে ঈশ্বর বা ভগবান, নমাজের পরিবতে' উপাসনা, রোজার পরিবতে উপবাস, ইত্যাদি হইতে পারে না। “এক জাতির ভাষা ও পৰা অন্ত ভাষায় অনুবাদ করিলে সেই শব্দের তেজ অনেকটা ন হইয়া যার এবং অর্থ বিকৃত হইয়া যায়।” তিনি লিপিয়াছেন, “আমরা হিন্দু-মুসলমান-মিলনের প্রত্যাশী, কিন্তু মাথার টুপী ফেলিয়া কপালে দিলুর পরিয়া হিন্দুবেশে তাহদের সহিত মিলিতে পারি না। আমরা চাই মিলিতে নিজে মুসলমান থাকিয়া, নিজে ইসলামিক্‌ ভাব ও মুসলমানিত্ব বজায় রাখিয়া " তিনি বাঙ্গাল সাহিত্য-সম্বন্ধে এক স্থানে লিখিয়াছেন, "মুসল মানৰণ বাঙ্গাল সাহিত্যের জন্মদাতা না হইলেও তাহারা বtঙ্গালt সহিত্যের প্রাণরক্ষা করিয়াছিলেন। কিন্তু মুসলমানগণ স্বীয় মুঢ়তাবশত: অনেক পিছনে পড়িয়া রহিলেন। তাহার রাজ্য হীরাইয়া ভেদ করিয়া ইংরেজী ও বাঙ্গল শিক্ষায় অবহেলা প্রদর্শন করিলেন, আর উহাদের প্রতিবেশী হিন্দু ভ্ৰাতাগণ ইংরেজী শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে স্বীয় মাতৃ-ভাষার শ্ৰীবৃদ্ধি-সাধনে যত্ন প্রকাশ করিলেন এবং আধুনিক সাহিত্যকে মুসলমানের হাত হইতে ছিনাইয়া লইয়া নিজে পুরাদস্তুর দখল করিয়া ফেলিলেন।" পরে লিখিয়াছেন, “উহাদের(মুসলমানদিগের) এই মোহ নিদ্রার হযোগে ছোট বড় হিন্দু সাহিত্যিকগণ উহাদের প্রাণে আঘাত দিতে বা উহাদের চরিত্র কলঙ্ক কালিমার লেপন করিয়া কালি-কলমের অপব্যবহার করিতে ক্রটি করেন নাই। তাহারা উঠিয় দেখিলেন, হিন্মুর বঙ্গ আগে পৌঁছিয়া কেল্লা দখল করিয়া ফেলিয়ছেন। মুসলমানের সেখানে গিয়া দেখিলেন, তাহাজের প্রতি স্থার রুদ্ধ । সমালোচক পাহারাওয়ালারা কড়া স্বরে প্রবেশ নিষেধ করিতেছে।" ইত্যাদি । সঙ্য হউক,মিথ্যা হউক, এখানে অসন্তোষের একটা কারণ পাওয়া গেল। আমার বোধ হয়, এখানেও তিনি ভাষাকে সাহিত্য মনে কোনও ভাষা কাহারও বলা বা লেখা কেহ বন্ধ করিতে পারে ? সমালোচক কোনও রচনা ভাল বা মন্দ বলিতে পারেন । বাঙ্গাল। ভাষায় যাহার অধিকার আছে, তিনি বলিতে পারেন, কোনূ রচনা তাঙ্গয় মাপে প্রমাণ দাড়াইয়ছে, কোন রচনা দাড়ায় নাই। ভাষার আদালৎ যদি বা ছোট, সাহিত্যের আদালৎ পৃখিবী-জোড়া । রবীন্দ্রনাথ যে নোবেল-প্রাইজ পাইয়াছেন, তাঁহা সাহিত্যের আদালৎ হইতে পাইয়াছেন, যে আদালতে তাহঁীর ভাষা কেন্স বোঝেন না। অবশ্য দেশ-কাল-পাত্র অতিক্রম করিয়া সাহিত্য-নিমণি সকলের সাধ্য নয়। অধিকাংশ সাহিত্যে এই তিন প্রায়ই থাকে। হিন্দুর সাহিত্যে হিন্দুয়ানি, মুসলমানের সাহিত্যে মুসলমানি থাকা আশ্চৰ্য্য নয়, এবং হিন্দুর লেখায় সংস্কৃঙ্গ, মুসলমানের লেখায় আবাঁফার্স শব্দ অধিক থাকাও স্বাভাবিক। কিন্তু, যদি শেন হিন্দু তাঙ্গার রচনা মুসলমানের পাঠ্য করিতে চান, তাইকে পাঠক বিবেচনা করিয়া লিখিতে হইবে। সেইরূপ মুসলমানের রচনা হিন্দুকে পড়িতে বলিলে হিন্দুর প্রমাণে লিখিতে হইবে । মুসলমানের সহিত মিশিতে গেলে মুসলমানের আদব-কায়দা শিথিয়া ও মানিয়া হিন্দুকে চলিতে হইবে ; হিন্দুর সহিত মিশিতে গেলে হিন্দুর আচার-ব্যবহার শিথিয়া মানিয়া মুসলমানকে চলিতে হইবে। ইহা সামান্ত শিষ্টাচার। নইলে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। অথচ এই জ্ঞানের অভাবে সংসারে যে কত অনর্থ ঘটিতেছে, তাহার ইয়ত্ত নাই। চৌধুৰী সাহেব যে বলিয়াছেন, হিন্দুর অনুগ্রহ করিয়া কতকগুলি আী-ফার্সী শব্দ লইয়াছেন, তাহা ঠিক নয়। অনুগ্রহ করির নয়, গরজে পড়িয়া। এখনকার বাঙ্গালী নয়, পুব কালের বাঙ্গালী। মুসলমান রাজত্বের সময় এই-সকল শব্দ আমূদানি হইয়াছিল, বাঙ্গালী ভাষায় অনেক রহিয়া গিয়াছে, কিছু বাদও পড়িয়ছে। কালের ধৰ্ম’ই এই ৷ এখন আমরা অনেক ইংরেজী শব্দ লইতেছি, তাহাও দায়ে ঠেকিয় । বাঙ্গালী জ্ঞাতসারে ইচ্ছা করিয়া, মিটি বসাইয়া, রিজোলিউশান পাস করিয়া এ-সকল শব্দ গ্রহণ করে নাই। ইংরেজীর ধমকেও নগরবাসী সংবাদপত্রের জ্ঞানের অভাবে কত পুরাতন বহু প্রচলিত বাঙ্গাল শব্দ বাহি ত্ৰাহি ডাক ছাড়িয়া দূর গ্রামের নিরাল কোণে লুকাইয়াছে । কলিকাতা শহরে হিন্দুস্থানী লোকের সংসর্গে কত হিন্দী কথা কলিকাতায় বাঙ্গালীর অক্সরে পর্য্যন্ত ঢুকিয়া পড়িয়াছে। কোথাও অনুগ্রহ-নিগ্ৰহ নাই । বাঙ্গালী ভাষা বাঙ্গালীর হইলেও যার ইচ্ছ। সেই ইহাকে নিজের করিয়া যেমন ইচ্ছা তেমন সাজাইয়া ব্যবহার করিতে পারে। ইংরেজী ভাষা ইংরেজের। কোথাকার কে আমরা স্বচ্ছনে এই ভাষা পড়িতেছি, লিখিতেছি, বলিতেছি। কিন্তু, যদি ইংরেজী লিখিয়া ইংরেজ পণ্ডিতের কাছে যাই, তিনি বলেন. এই শব্দটা তাঙ্গারা এমন বসান না, এই বাক্যট। তাইদের মতন হয় নাই, এইরপ প্রয়োগ এখন তহঁদের মধ্যে চলে না, ইত্যাদি । কেহ বলিলেন, আমাদের ইংরেজী Baboo English । আমরা গজার সেক্স্পীয়রের দোহাই দিই, তিনি ঘাড় নাড়েন। আমদিগের কাছে এই সমালোচনা অপ্রিয় বটে, কিন্তু, নাচার। ইংরেজী ভাষায় ইংরেজই প্রমাণ। অবঙ্গ যে-সে ইংরেজ নয়। যিনি নিজের ভাষা উত্তমরপ জানেন, তিনিই প্রমাণ। যদি আমরা ইংরেজী ভাষা পরখ করাইতে ন। যাই, কোন বালাই থাকে না, আমি যাহা লিখি তাহাতে আমার মন তুষ্ট হইলেই হইল। * চৌধুরী সাহেব একথান বহির সমালোচনা উপলক্ষে লিখিয়াছেন, “যাহারা বাঙ্গাল দেশে বাস করে—হিন্দুই হউক আর মুসলমানই হউক,