পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আত্মা ; সেই-জন্ত তুমি সন্ততি ও ধনে বহুল হইয়াছ । • * * * * * * * * কিন্তু এই আকাশ আত্মার মধ্য-দেহ ।” (৫।১৫). বুড়িল আশ্বতরাশ্বি রাজার সেই প্রশ্নের উত্তরে বুড়িল বলিলেন—“হে ভগবন! হে র জন্‌! জলকেই আমি আত্মারূপে উপাসনা করি।” রাজা বুলিলেন -“তুমি যাহাকে আত্মা বলিয়া উপাসনা কর, তিনি রধি ( = ধন ) নামক বৈশ্বানরআত্ম সেষ্ট-জন্ত তুমি রঞ্জুিমান ও পুষ্টমান ।. কিন্তু এই জল আত্মার বস্তি-দেশ ।” উদালক আরুণি অনন্তর অশ্ব পতি উদালক আরুণিকে জিজ্ঞাস। করিলেন- “হে গৌতম । তুমি কfঙ্গাকে আত্মা বলিয়। উপাসন কর ?” *球 ( ৫ ॥১৬ ) উদালক বলিলেন, “ হে ভগবন্‌ ! হে পৃথিবীকেই আমি আত্মা বলিয়। উপাসনা করি।” রাজ। বলিলেন —“তুমি যাহাকে আত্মরূপে উপাসনা কর, তিনি প্রতিষ্ঠা-নামক বৈশ্বানর-আত্ম । সেই-জন্য তু ম সন্ততি ও পশু লাভ করিয়া প্রতিষ্ঠা প্রাপ্ত হইয়ােছ।. কিন্তু এই পৃথিবী আত্মার পাদদ্বয় মাত্র । (৫।১৭) অশ্বপতির মীমাংসা ক রাজন! -& محي ইহার পরে অশ্বপতি ঐ ছয়জনকেই সম্বোধন করির। বলিলেন— এই বৈশ্বানর-আত্ম পৃথক পৃথক নহেন কিন্তু ) তোমরা ইহাকে পৃথক পৃথক কল্পনা করিয়া অন্নভোজন করিতেছ। ধিনি এইরূপে এই বৈশ্বানর আত্মাকে *প্রদেশ মাত্র ও অভিবিমান'-রূপে উপাসনা করেন, তিনি সৰ্ব্বলোকে, সৰ্ব্বভূতে, ও সৰ্ব্ব-আত্মাতে অন্নভোজন করেন।” (৫।১৮।১) தி) απ"ποια অর্থ এই “তিনি সকলের সহিত একত্ব অনুভব করেন । স্বতরাং তাহার ভোগে সকলের ভোগ ও সকলের ভোগে তাহার ভোগ হইয়া থাকে।” ইহার পরে অশ্বপতি আরও বলিলেন—‘স্বতেজা এই অশ্বপতির ব্রহ্মবাদ ৭২৩ বৈশ্বানর-আত্মার মৃদ্ধ ; বিশ্বরূপ ইহার চক্ষু , পৃথগ বত্মত্মিা ইহার প্রাণ ; বহুল’ ইহার শরীরের মধ্যভাগ ; রয়ি ইহার বন্তি এবং পৃথিবী ইহার পাদদ্বয় ( ছন্দোগ্য । (ISbrારે ) | . প্রাচীন শালা-প্রমুখ ছয়জন ব্রাহ্মণ যথাক্রমে দেn, আদিত্য, বায়ু, আকাশ, জল, পৃথিবী এই ছয়টিকে বৈশ্বানর বলিয়া জানিতেন। অশ্বপতি বলিলেন, |সমুদয়ই আংশিকভাবে সত্য ; কিন্তু এই ছয়টির কোনটিই পূর্ণ বৈশ্বানর-আত্মা নহে ; এসমুদয় বৈশ্বানর আত্মার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মাত্র। ইহাঙ্গ আরও স্পষ্ট করিয়া বুঝাইবার জন্য তিনি বলিলেন দৌ ইহার মস্তক, আদিত্য ইহার চক্ষু, বায়ু হার প্রাণ, আকাশ ঈহার মধ্য-দেহ, জল ইহার বস্তি এবং পৃথিবী ইহার পাদ । পরমাত্মাকে এক বিরাট, পুরুষরূপে কল্পনা করা হইয়াছে। বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে যাহা-কিছু আছে, সমুদয়ই এষ্ট আত্মার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। আত্মা জগৎ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক নহেন, আfবার পৃথক পৃথক বস্তুও আত্মা মহে । র্যfহাভে এই সমুদয় সম্মিলিত হইয়াছে, তিনিই আত্মা, তিনিই পরমাত্মা, তিনিষ্ট ব্রহ্ম । ইহাকে প্রদেশ মাত্র ও “অঙিবিমান’ বল। ইয়াস্থে । এই দুইটি কথা দুৰ্ব্বোধ্য, সেই-জন্য কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন । প্রাদেশ মাত্ৰম্ ‘প্রদেশ মাত্র’-শব্দের প্রকৃত অর্থ কি, সে বিষয়ে আতি প্রাচীন কাল হইতেই মতভেদ চলিয়া আসিতেছে । আমরা নিম্নে কয়েকজন আচার্য্যের মত উদ্ধৃত করিতেছি । আশ্মরথ্যের মত বুদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী বিস্তুত করিলে একের অগ্রভাগ হুইতে অপরের অগ্রভাগ পর্য্যস্ত যে পরিমাণ, সেই পরিমাণের নাম “প্রদেশ”। আশ্নরথ্য-মুনি বলেন –হৃদয়, প্রাদেশ-পরিমিত । পরমাত্ম। এই হৃদয়ে বাস করেন, এই-জন্য র্তাহাকে প্রাদেশ মাত্র বলা হইয়াছে ( বেদান্ত স্বত্র, ১২:২৯, শঙ্কর-ভাষ্য ) { s