পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ-8 গেরেন চন্দননগরের সেণ্ট লুই ( St. Louis) গির্জার রোহিত (Vicar) ছিলেন । তিনি একজন জ্যোতিষIাস্ত্রবিশারদ পণ্ডিত ছিলেন এবং জ্যোতিষ-শাস্ত্রের এক{ানি পুস্তকও প্রকাশ করিয়াছিলেন । * কৃপাশাস্ত্রের

  • সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা, ১৩২২ সাল : Bengal

প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড অর্থভেদ গ্রন্থে চন্দননগর ও ফরাশডাঙ্গার কথা কয়েক স্থানে লেখা আছে । aiitl Present, Vol, IX ; Bengali Literatuue in tho – — Ninetoonth Century ও মানসী ও মর্শ্ববাণী, ১৩২৩, প্রভূতিতে l'ast এই গ্রন্থের বিষয় লেখা আছে। চীন-জাপানের চিঠি শ্রদ্ধাস্পদেষু, আপনাকে পিকিং হতে পত্র দিয়েছি ও কতকগুলি পিকিঙের দৃপ্ত পাঠিয়েছি । পেলেন কি ন জানি না । পিকিং বেশ পুরাতন শহর, তবে বড় শুকুনা, মরুভূমির নিকট রাত-দিন ধূলা ; এখানকার আর্টিষ্টর কি করে’ কাজ করে ভেবে অস্থির হয়েছি। দক্ষিণ চীনে বেশ সরস বড়-বড় নদী গঙ্গার মত, চতুর্দিকে সবুজ পাহাড় । খোজ নিয়ে জানলাম দক্ষিণেই বড়বড় আর্টিষ্ট, জন্মেছেন । পিকিঙে কতকগুলি আর্টিষ্টের সঙ্গে দেখা হ’ল-জুই-একজন ভাল আর্টিষ্ট আছেন, তারা পাগল । আর্টিষ্ট, কারো সঙ্গে বেশী কথা বলেন না, যদিও বা অনেক কষ্টে কথা কওয়ান যায়, সে যাকথা দোভাষীরাও বুঝে না ; ইসারায় যা বুঝা গেল পাগলামি চাই ও হাতেরও কসরৎ চাই। তবে বেশীর ভাগ আর্টিষ্ট কসরৎই করেন । এরা আর্টিষ্টদের এই কয় ভাগে ভাগ করেছেন— (১) আর্টিষ্ট কারিগর ; ইহারা বহু পুরাতন ; হাতের অদ্ভুত কুশলতা দেখিয়ে আসছে। (২) পাগলা আর্টিষ্ট—এরা cultured, বড় সাধু, বড় সেনাপতি, বড় বাদশাহ, বড় ফকির ; এদের পয়সার বা নামের জন্য ভাবতে হয় না। এরা খেয়ালী লোক । (৩) অ-পাগল (sane) আর্টিষ্ট বা পেশাদার আর্টিষ্ট –এরা শিল্পে দক্ষ, শিল্পের আইন-কানুন জানে , কখন কখন এরাও পাগল আর্টিষ্টের পর্য্যায়ে গিয়ে পড়ে। এরা বড় লোক, বাদশাহ প্রভৃতির অধীনে থেকে কাজ করে । (৪) চোর আর্টিষ্ট । (৫) পোটে ! প্রথম নম্বর আর্টিষ্ট রা শিল্পের যুগ বদলে দেন । আর এদের ছবি নকল করা যায় না। দ্বিতীয়-তৃতীয় নম্বর আর্টিষ্টদের ছবি নকল করা যেতেও পারে। চতুর্থ নম্বর আর্টিষ্টর দ্বিতীয়-তৃতীয় নম্বর আর্টিষ্টদের ছবি নকল করে, জাল করে, কেবল মাত্র পয়সার জন্য । পাচ নম্বর পোটো চিরকালই আছে । একজন আর্টিঃ একটি কাগজে তার বক্তব্য কিছু লিখে দিয়েছেন। চীনা ভাষার লেখা অনুবাদ করবার চেষ্টা করছি । গুরুদেব যে মৈত্রীর কথা বলতে আজ চীনে এসেছেন, এরা তাতে কর্ণপাতও করে না, একেবারে গোয়ারগোবিন্দ হয়ে বসে আছে। এরা মিটিং, লেকচার ইত্যাদি বড় ভালবাসে। স্বরেন বাড়ুধ্যে বা বিপিন পালরা এখানে এসে বেশ তোলপাড় কবৃতে পাৰ্বতেন । যাকৃ শীঘ্ৰ-শীঘ্র ঘরে ফিরলে বাচি ; গুরুদেবের কতকগুলো ভাল-ভাল লেখা হ’য়ে গেল ! সেই সকলের লাভ ; আর্ট সম্বন্ধেও অনেক আলোচনা করে লিখেছেন ; আপনার সেখানে বসেই সব দেখবেন। ১২ই এপ্রিল চীনে এসেছি, আর আজ ৩০শে মে