পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سر سیاه যেখান দিয়ে গেল প্রিয় সেথায় নিবিড় কুশের বন, সাপের খোলস-ত্যাগের মত ত্যজল আমায় আপন জন । ধান কাটা হয়ত শেষ হয়েছে। ধানের বোঝা মাথায় করে পথ চলতে-চলতে তারা আবার গান ধরেছে— জেঠরে বৈশাখে পূত শুতি বৈঠি রহলে, ভরলে ভদোইয়া বেটা কৈসন বরদোংগব । বাংল,— বৈশাখ আর জ্যৈষ্ঠে বাছ। শুয়ে বসে’ থাকৃলি হায়, ভাত্র এল এখন তবে বউ আনবি কোন উপায় ? মনে করুন অনেকখানি পথ তাদের হার্টুতে হবে। হর-ফের্তায় আবার আর-একটা বড় গান তারা আরম্ভ করলে— রতিকে সপনবা ববুয়৷ কহকে শুনবা ভেলহি বিহান ববুয়৷ ভেল বল মলিয়া | বৈঠি গেল। বৰুয়া অস্বাকে টেহনবা অস্ব এহি সপনলিয়ে— রাণী সি দুরমতী মাগে হে গবনব । ংল,— (ম যেন ছেলেকে বলছে). রাত্রিকালের স্বপ্ন বাছ বলে আমায় শোনাও ঠিক,— প্রভাত হ’ল দ্যাথরে যাদু ঝলমলিয়ে উঠল দিক্ । । বসূল ছেলে মায়ের কোলে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ২৪শ ভাগ, ১ম খণ্ড বললে—স্বপন শোনরে শোন @ —রাজার-রাণী সি দুরমতীর আসতে ঘরে চাচ্ছে মন। সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। রাস্তার দুই পাশে শাল-বনে শিয়াল ডাকৃছে। মেয়ের দল গল! আরো চড়িয়ে দিলে,— কেতনে কহলে মাতা একোন সমৃঝলে রাজবা নারায়ণ সিংঘ চললে গবনবা । বাংলা.– কতই মাতা বলেন তারে --“কিছুই নাহি বুঝিস্ হায়’ – নারায়ণ সিং রাজা তবু বধূরে তার আনতে যায়। এসব মেয়েদের পথ-চলার গান । আমাদের যেমন ভাই-ফোট, ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য ওদেশের মেয়ের তেম্নি করম’-উৎসব করে । সন্ধ্য-বেলা ছেলে-মেয়েদের বাড়ীতে ঘুম পাড়িয়ে রেখে সবাই এসে করমা-উৎসবে যোগ দিয়েছে, আর স্বর করে’ গান ধরেছে – - করম পূজানে গেলে গোই সাবকে বেরি – শুতা বালক ছোড়ি আইলি গো সাঝকে বেরি । বাংল,— সাঝের বেলা গেলাম মোর করম-উৎসবে—. রেখে এলাম সস্তানদের ঘুম পাড়িয়ে সবে । এলাম মোরা সন্ধ্যা যখন নামতেছিল নভে । মেয়ের দল বেঁধে নদী কিম্বা দীঘিতে জল আনতে যায়। পায়ে বাকী মল আর হাতের কাচের চুড়ি বাজে ঝনাংঝন্‌-ঝিনিক্‌ ঝিন । করুণ স্বরে তারা গান ধরে— হো নদীয়া নাহলে হেরা গেলে কাল না— হেরা গেলে কাঙ্গন-হের গেলে কাজ না- . কে হো যে খোজি দেতে ভাইক্টে কাঙ্গনয়া, উসকে ইলাম দেব এ নব যৌবনয় ।