পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] অরণ্যটা বিরিয়া কৃেলিতে আদেশ করিলেন। উহার যখন চক্রাকারে অগ্রসর হইতেছিল; তখন দেখিতে পাইল, অরণ্যের মধ্যস্থলে যে একুটা খোলা জায়গা ছিল, সেই জায়গাটা আলোকিত হইয়াছে। আরও একটু অগ্রসর হইলে উছারা মশালের আলো দেখিতে পাইল। সেই আলোকে সমস্ত পদাঙ্ক যখন স্পষ্ট হইয়া উঠিল, তখন একটা অদ্ভুত দুগু উহাদের নেত্রপথে পতিত হইল। . কতকগুলা প্রস্তরগুপে নির্মিত একটা বেদীর উপর দঁাড়াইর গ্রামের পাঞ্জী ধৰ্ম্ম-গ্রন্থের শ্লোক স্বর করিয়া পাঠ করিতেছেন। মশাল-হস্তে কতকগুলি বৃদ্ধ উহাকে ঘিরিয়া আছে, এবং তাঁহাদের কোলের কাছে বসিয়া স্ত্রীলোক ও শিশুর প্রার্থনা করিতেছে। রিপাব্লিকের দল ও এই দল— এই উভয়ের মধ্যে একসারি সৈনিক স্থাপিত হইয়াছে। স্পষ্টই দেখা বাইতেছে, রাজপক্ষ লোকের পূর্ব হইতেই সতর্ক হইয়াছিল। গোলাগুলি একটিও না ছড়িয়া নীরবে রিপারিকান সৈন্ত যেমূনি অগ্রসর হইল, রাজপক্ষীয় সৈন্তের আক্রমণের অপেক্ষ না করিয়াই উহাদের উপর গুলি-বর্ষণ করিতে লাগিল। তখনো পুরোহিত ধৰ্ম্মশ্লোক স্বর করিয়া পাঠ করিতেছিলেন। যখন রিপাব্লিকানরা উহাদের শক্ৰ হইতে তিন কদম দূরে ছিল,তখন উহাদের মধ্য হইতে প্রথম পংক্তির সৈন্ত নতজান্ত হইল। তিন পংক্তির বন্দুক নীচে নামানে হইল। বন্দুক হইতে সশব্দে গুলি-বর্ষণ হইল। রাজপক্ষীয় সৈন্ত-পংক্তির উপর একটা আলোকচ্ছটা বিকৃমিক্‌ করিয়া উঠিল। এবং বেদীর পাদদেশে যেসকল রমণী ও শিশু নতজানু হইয়াছিল, কতকগুলা গুলি তাহারে গায়ে লাগিল। মুহূৰ্ত্তের জন্ত একটা হাহাকার-ধ্বনি উত্থিত হইল। তখন পুরোহিত র্তাহার ক্রস তুলিয়া ধরিলেন, আবার সমস্ত নিস্তব্ধ হইল। রিপারিকানরা তখনও অগ্রসর হইতেছিল , অগ্রসর হইতে হইতে দ্বিতীয়বার গুলিবর্ষণ করিল। এখন কোন পক্ষেরই বন্ধুক গাদিবার আর স্বময় ছিল না। এখন হাতাহাত্তি সঙ্গিনের যুদ্ধ হইতে লাগিল । অস্ত্র-শস্ত্রে মুসজ্জিত রিপাব্লিকান পক্ষেরই জয় হইল। রাজকীয় সেস্ক ছড়িভঙ্গি হইয়া পড়িল, পংক্তির পর পংক্তি ভূতলশায়ী হইল। পুরোহিত ইহা লক্ষ্য করিয়া একটা ইসারা করিলেন। সমস্ত মশাল নির্বাপিত হইল, সমস্ত অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইল। তার পরেই একটু লওভও হত্যাকাণ্ড আরম্ভ হইল, রোষান্ধ হইয়া পরস্পরকে আঘাত করিতে লাগিল, কেহই প্রাণভিক্ষা করিল না, সকলেই যুদ্ধে প্রাণ দিল। মার্শে বখন মারিতে উদ্যত, হঠাৎ সেই সময়ে তাহার পদতলে একটা হৃদয়-বিদারক কণ্ঠস্বর শোনা গেল। কে-একজন বলিয়া উঠিল – “मग्र रूद्र ! भग्ना कद्र !” “कुंत्रप्द्रब cनाश३ चामाग्र ब्रक रूद्र !” 4 একজন নিরস্ত্র বালক। সেনাপতি নত হইয়া, ঐ হাঙ্গামার জায়গা হইতে তাহাকে টানিয়া কয়েক কদম দূরে সরাইয়া দিলেন। কিন্তু তখন সে মুচ্ছিত হইয়া পড়িয়াছিল। একজন সৈনিকের এতটা ভয় দেখিয় মাশে বিস্মিত हश्रजन : किरू ठथांनि, यांशंप्ठ वानकछे नां एग्र ७झेखछ ठिनि তাহার গলবন্ধ শিখিল করিয়া দিলেন। তার বন্দী একজন বালিকা ৷ আর একমুহূৰ্ত্তও সময় নষ্ট করিলে চলিবে না। কত্ত্ব-সভার হুকুম यजज्वनौब्र : निब्रट्स कि म°द्ध ब्रांछनक्रौञ्च cणां८कब्र श्वब्री शक्लिप्लडे झैौপুরুষ বা বয়স-নিৰ্ব্বিশেষে সকলৰেই ফঁাসি দেওয়া হইবে। সেনাপতি একটা গাছের তলায়, বালিকাকে রাখির আবার যুদ্ধস্থানে ছুটয়া আসিলেন। স্থতদিগের মধ্যে তিনি একজন তরুণবয়স্ক রিপাব্লিকান সেনা-নায়ককে দেখিতে পাইলেন—উহার দৈহিক গঠনু অনেকটা তার বন্দিনীর মতো। সেনাপতি চটুপই তার কোর্তা ও টুপি তার দেহ হইতে খুলিয়া লইয়া, জাবার সেই বালিকার নিকট ফিরিয়া “মাৰ্শো’র বন্দী Ե-Զ ծ অসিলেন । আসিয়াছিল । সে প্রথমেই বলিয়া উঠিল, “আমার বাবা | আমার বাবা । আমি তাকে ছেড়ে এসেছি, উনি যুদ্ধে নিশ্চয়ই নিহত হবেন।” ঠিক্ এই সময়ে ঐ গাছের পিছম হইতে, হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর ফিসৃফিস করিয়া বলিল, “কুমারী ব্লাশ । বোরালোর মার্কিস্ বেঁচে আছেন ; তিনি রক্ষা পেয়েছেন।" যে-লোক এই কথা বলিয়াছিল, সে ছায়ার স্থায় অন্তর্হিত হইল। সেই লোকটি যেখানে দাড়াইয়াছিল, সেই দিকে হাত বাড়াইয়া বালিকা বলিয়া উঠিল “তিঙ্গি, ভিঙ্গি !” মার্শে বলিলেন, “চুপ, একটা কথা বললেই তুমি অপরাধী বলে’ সাব্যস্ত হবে। আমি তোমাকে বঁচিয়ে দিতে চাই। এই কোর্তা ও টুপি পরে এইখানে অপেক্ষা কর।” সেনাপতি মার্শে উাহীর সৈনিকদিগের নিকট ফিরিয়া গিয়া উহাদিগকে “সোলে" গ্রামে চলিয়া যাইতে হুকুম দিলেন এবং উহার সঙ্গীকে সেনাপতির কাজ করিতে বলিয়া তিনি আবার উীর বন্দিনীয় নিকট ফিরিয়া আসিলেন। বালিকা উীর সঙ্গে যাইবার জন্ত প্রস্তুত হইল, ষ্ঠার বড় রাস্তার দিকে অগ্রসর হইলেন। মার্শেীর ভূত্য সেইখানে ঘোড়া লইবা অপেক্ষা করিতেছিল । অভ্যস্থ অশ্বারোহীর মতো বেশ শোভনভাবে বালিকা জিনের উপর একলাফে উঠিয়া পড়িল। ঘোড়া খুব ছটাইয়া দিয়া আধঘণ্টার মধ্যেই উহার "সোলে"-গ্রামে আসিয়া পৌঁছিল। মার্শে কতকগুলি শরীর-রক্ষী সৈনিকের সহিত “সী-কুলেই”হোটেলে গিয়া উপস্থিত হইলেন । তিনি দুইটা কামরা ভাড়া করিয়া একটা কামুরায় বালিকাকে লইয়া গেলেন এবং তাঁহাকে বলিলেন, “সেই ভীষণ রাত্রির কষ্টের পর, আজ এইখানে একটু তুমি বিশ্রাম कब्र ।” বালিকা ঘুমাইয় পড়িলে, মার্শে বালিকাকে কি করিয়া বচাইবেন, সেই মৎলব আঁটিতে লাগিলেন । র্তার মা যেখানে আছেন সেই নাৎনগরে তিনি নিজেই বালিকাকে লইয়া যাইবেন, স্থির করিলেন। মার্শে তিন বৎসর তার মাকে দেখেন নাই, তাই ছুটির জন্ম অনুমতি চাওর। তার পক্ষে খুবই স্বাভাবিক। প্রায় ভোর হইয়াছে এই সময় মার্শে বড় সেনাপতি ওয়েষ্টারম্যানের গৃহে প্রবেশ করিলেন। তাহার প্রার্থন তৎক্ষণাৎ মঞ্জুর হইল, কিন্তু হুকুম হইল, অনুমতি পাইবার পূর্বে “দেলমারের" স্বাক্ষর চাই। বড় সেনাপতি, স্বপারিশ-পত্রসহ তাহাকে “দেলমারের" নিকট পাঠাইবেন বলির অঙ্গীকার করিলেন। মার্শে হোটেলে ফিরিয়া গিয়া কয়েক মুহূৰ্ত্ত একটু বিশ্রাম করিয়া লইলেন । মার্শে ও রাশ, আহার করিবার নিমিত্ত খাবার-টেবিলে বসিতে যাইতেছেন, এমন সময় দেলমার দ্বারদেশে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি রবসপিয়ের একজন প্রতিনিধি কৰ্ম্মচারী, ইহার হাতেই “গিলটন" নামক মৃত্যুদণ্ডের যন্ত্ৰ বেণী কাৰ্য্যকারী ; কিন্তু কাজট প্রায়ই স্ববিচারের সহিত হয় না। তিনি মার্শোকে যলিলেন “রাষ্ট্র ভাই (citizen) তুমি আমাদের ছেড়ে এখন চলুলে। কিন্তু তুমি রাত্রের कांछछे 4भन ভালরকম করেছিলে যে, তোমার কোন প্রার্থনাই আমি অগ্রাহ্য করতে পারিনে। আমার কেবল একমাত্র আক্ষেপ, বোয়ালের মার্কিস পালিয়েছে। আমি তার মাথাটা পাঠাব বলে কত্ত্ব/মণ্ডলীর কাছে অঙ্গীকার করেছিলুম।”e * > ব্লাশ, ভয়ে পাষাণ মূৰ্ত্তির মতো স্থিরভাবে দাড়াইয়াছিল। মার্শে তাহার সম্মুখে আপনাকে স্থাপন করিলেন। দেলমার আরও বলিলেন, “জামরা মার্কিসের পদচিহ্ন অনুসরণ করব। এই নেও তোমার ছুটির রাত্রির শীতল তাজা বাতাসে বালিকার চৈতন্থ ফিরিয়া