পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ایران با انتخارترین تیم No. o |

  • , o, o os 鸥

è ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রকৃতি—আদি ব্রাহ্ম সমাজের ও তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক স্ত্রীযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর তত্ত্বনিধি, বি-এ কর্তৃক বিরচিত এবং ‘আলো ও ছায়া" প্রভৃতি গ্ৰন্থরচয়িত্ৰী শ্ৰীমতী কামিনী ब्रांद्र. वि-७ भरशमग्ना लिथिठ छूभिक अषजिठ। १: J+७+२०+ ১৬• । মূল্য এক টাকা । এই গ্রন্থে ১৫টি অধ্যার ; আলোচ্য বিষয়-(১) ভগবানের আশ্বাসবাণী, (২) ব্রাহ্মধর্থের বাণী, (৩) ব্রাহ্মধর্মের অসাম্প্রদায়িকতা, (৪) সত্যধৰ্ম্ম ও উপধৰ্ম্ম, (৭) ব্রাহ্মধর্থের ভিত্তি, (৬) ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-বীজ, (৭) ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ ( অস্তরে ), (৮) ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ (বাহিরে ), (৯) সঙ্কটমোচন, (১) মামেকং শরণং ব্রজ, ( ১১ ) ঈশ্বর ও মানব, ( ১২ ) अवब्र यत्रलभन्न, ( २७ ) श्रेचद्र विश्वविषाठी, ( २s ) भाङ्थूखl. (२५ ) ঈশ্বর অস্তুধামী । গ্রন্থ স্বলিখিত। গ্রন্থকার উদার ও অসাম্প্রদায়িক ভাবে নিজ মত ব্যক্ত করিয়াছেন। যাহার এই গ্রন্থ পাঠ করিবেন, তাহারাই উপকৃত হইবেন। কিন্তু সৰ্ব্ববিষয়ে গ্রন্থকারের সহিত একমত হইতে পারি নাই । প্রথমত: ভিনি গীতার দুইটি শ্লোক উদ্ধার করিয়া বলিতেছেন. "যখনই এবং যেখানেই ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয়, অধৰ্ম্ম সগৰ্ব্বে মাথা তুলিয়া দাড়াইতে চাহে, তখনই এবং সেখানেই সাধুদিগের রক্ষার জন্ত এবং অসাধুদিগকে বিনাশ করিয়া ধৰ্ম্মকে স্বপ্রতিষ্ঠিত করিবার জষ্ঠ ভগবানু প্রয়োজন-মত সময়ে সময়ে আত্মপ্রকাশ করেন " পৃঃ ১ । ভগবান অসাধুদিগকে বিনাশ করেন। এ মতকে উচ্চাদর্শদম্মত বলিতে পারি না। আর তিনি ‘সময়ে সময়ে আত্মপ্রকাশ করেন এমতও সত্য নহে। সৰ্ব্বকালে তাহার প্রকাশ । বীজমন্ত্র—ত্ৰান্ধ ধর্মের বীজ মন্ত্র বিষয়ে গ্রন্থকার এই প্রকার লিথিয়াছেন “ঋষির যে-সকল সত্য ব্যক্ত করিয়াছেন, সেইসকলের মূলবীজ হইতেছে—বিশ্বজগতের হষ্টি-স্থিতি-প্রলয়-কৰ্ত্তা, নিরবয়ব, সত্যস্বরূপ, জ্ঞানস্বরূপ, অনগুস্বরূপ, আনন্দময়, অমৃতময়, শান্ত, মঙ্গল, অদ্বিতীয়, শুদ্ধ ও অপাপবিদ্ধ পরব্রহ্মে প্রীতি ও র্তাহার প্রিয় কায্য সাধনরূপ একমাত্র তাহারই উপাসনা দ্বারা ঐহিক ও পরিত্রিক মঙ্গল হয়। এই বীজমস্ত্ৰেৰ উপরই অসাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম দণ্ডায়মাণ।" (৫৩-৫৪) গ্রন্থকার যাহা বলিয়াছেন তাহ ঠিকই। কিন্তু অপর স্থলে বলিয়াছেন, "ব্রাহ্মধর্মের মূল প্রকৃতি হইল একেশ্বর-বাদ।” (পৃ ২, নিবেদন ) । - ভারতবর্ষে বহু লোকে বহু দেবতার উপাসনা করিয়া থাকে ; এইজন্যই ব্রাহ্মগণ একেশ্ব বাদের দিকে বেশী ঝোক দিয়াছেন। কিন্তু একেশ্বরবাদকে ব্রাহ্মধৰ্ম্মর মূল প্রকৃতি বলিলে ভুল করা হয়। জগতে বহু শ্রেণীর একেশ্বরবাদ আছে—সে-সমুদয় একেশ্বরবাদকে আমরা গ্রহণের উপযুক্ত বলিয়া মনে করি না। যদি দেখি কোন একেশ্বর বাদের ঈশ্বর ক্ৰোধ-হিংসা-বিদ্বেষাদিতে পূর্ণ এবং অশুদ্ধ ও পাপবিদ্ধ, তাহা হইলে এইপ্রকার একেশ্বরবাদকে আমরা বর্জন করি। এই প্রকার একেশ্বর অপেক্ষ প্ৰেম-পবিত্রতা-পূর্ণ বহু দেবতাও শ্রেষ্ঠতর। ব্রাহ্মধর্মের ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবিষয়ে কোন সন্দেহ নাই, ইহা একটি নিতান্ত সাধারণ সত্য। কিন্তু যদি বলা হয় ইহাই ব্ৰাহ্মধর্মের মূল প্রকৃতি, তাহা হইলে প্রকৃত কথা বলা হয় না। ঈশ্বয়ের যাহা স্ব-রূপ, তাহার অপরাপর দিকেও দৃষ্টিপাত করিতে হইবে। ঈশ্বর সংখ্যায় এক, কেবল এই দিকে ঝোক দিলে ব্রাহ্মধর্মের প্রকৃতি প্রকৃত ভাবে বর্ণনা করা হয় না । লক্ষ্য—ব্রাহ্মধর্মের লক্ষ্য কি ? কি উদ্দেগু সিদ্ধ করিবার জন্ত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম আবিভূত হইয়াছে ? গ্ৰন্থকার বলেন— "সৰ্ব্বাঙ্গীন পরাধীনতা হইতে অধৰ্ম্মের করাল কবল হইতে মুক্তি দিবার জন্ত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রেরিত হইয়াছে” ( ১৩ ) ।

  • “প্রাচীন পন্থাকে সংস্কৃত করিয়া তাহাতে নবীনযুগের নবীন আলোক, নবীম ভাব প্রবেশ করাইয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম মুক্তির নবতর পস্থা দেখাইতে চাহেন” ( dà ) l

“একদিকে স্বাধীনতার পথ দেখাইবার জন্য, অপর দিকে সংশয়সন্দেহ হইতে মুক্তি দিবার জন্তই বৰ্ত্তমান যুগে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের আবির্ভাব” (२२ ) "ভগবান সমগ্ৰ জগতকে পরাধীনতা হইতে মুক্তি দিবার ਭਛੋ. ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে......পাঠাইয়াছেন” ( )। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কেন আসিয়াছে ? "মুক্তি দিবার জন্যই” । ইহার অর্থ মুক্তি দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য”। কিন্তু আমাদিগের মনে হয় মুক্তিই ব্রাহ্মধৰ্ম্মেব শেষ কথা নহে। যাহারা মনে করেন “মানবাত্মাই ব্ৰহ্ম”—তাহারা অবস্থাই বলিবেন মুক্তিই একমাত্র লক্ষ্য! তাহদের মতে সংসারাবস্থ বন্ধনের অবস্থা ; বন্ধন মোচন কর, মানব আবার ব্রহ্মই হইবে ; মুক্তির অবস্থাই ব্ৰহ্মাবস্থ। । কিন্তু গ্ৰন্থকার এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রায় সকলেই বলেন, মানবীয়া স্বঃ এবং অনন্ত উন্নতিশীল । মানবাত্মা ব্ৰহ্মত্বের অভিমুগে অগ্রসর হইবে, কিন্তু কখনই 'স্বরূপ বর্জন করিয়া ব্ৰহ্মত্ব লাভ করিবে না এবং ব্রহ্মে লীন হইবে না। এই মানবাত্মা নানাপ্রকার বন্ধনে আবদ্ধ রক্রিয়াছে ; এসমুদায় বন্ধন হইতে মুক্তিলা করিতেই হইবে। কিন্তু বাধা-বিঘ্ন, শোক-তাপ, দুর্গত দুৰ্ম্মতি প্রভূত হইতে মুক্তি লাভ কংিলেই যে মানবাত্মার পূর্ণ বিকাশ হইল তাহা নহে। মুক্তিলাভের পর অগ্রসর, আরও অগ্রসব। মুক্তায় প্রীতি ও ভক্তিতে, কৰ্ম্মে ও জ্ঞানে দিন দিনই অগ্রসর হইতে থাকেন। তিনি নিজের কেন্দ্রকে ত্ৰক্ষে কেন্দ্রর সহিত একীভূত করেন এবং দিন-দিনই আস্থার পরিধিকে বিস্তুত করেন। ব্ৰহ্ম যেচক্ষুতে জগৎকে দর্শন করেন, তাহার লক্ষ্য তিনিও যথাসম্ভব সেই চক্ষুতে জগৎকে দর্শন করিবেন। ব্ৰহ্ম যে-ভাবে জগতের কল্যাণ সাধন করেন তাহার লক্ষা, তিনিও যথাসস্তব সেই-ভাবে জগতের কল্যাণ সাধন করিবেন । তাহার লক্ষ্য তিনি সৰ্ব্বাবস্থাতে ব্ৰহ্মকে