পাতা:প্রবাসী (চতুর্বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Q Հ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩১ [ ૨8ન છfજ, >મ શાહ কারীরা স্থির করিয়াছে, যে, কেবল বাক্যের দ্বারাই তাহার দেশের নগ্নতা দূর করিবেন। যাহা হউক, চীৎকারকারীরা যে নিপুণ খেলোয়াড় ও চালিয়াং, এ তারিফ টা করিতেই হইবে । কিন্তু সেই সঙ্গে-সঙ্গে এই আফসোসের কথাও বলিতে হইবে, যে, বাংলাদেশে গডডলিকা-প্রবাহে যোগদান-পরায়ণ স্মৃতিশক্তিহীন লোকের সংখ্যাও কম নয়। . “স্বরাজ্য” দেশের কোন-কোন নেতার মতটা যে কি, তাহা জানা ও বুঝা কঠিন। যৌবন হইতে বাৰ্দ্ধক্য পৰ্য্যস্ত মানুষের সব বিষয়ে মত একই থাকে না, থাকিতে পারে না ; স্বতরাং একবার কেহ একটা মত প্রকাশ করিয়াছে বলিয়া চিরকালই তাহার মত তাহাই থাকিবে, অন্য মত সে প্রকাশ করিলে তাহার নিন্দা করিতে হইবে, আমরা এরূপ মনে করি না। কিন্তু তাই বলিয়া ঘনঘন ডিগ বাজী খাওয়াটাও সত্যনিষ্ঠ, স্থিরবুদ্ধি ও চিন্তাশীল লোকের উপযুক্ত নহে । আমরা ভয়ে-ভয়ে কোন কোন রাজনৈতিক মত-সম্বন্ধে কিছু বলিতেছি। ভয়ে-ভয়ে এইজন্য, যে হয়ত আমাদের কথাগুলা ছাপা হইবার আগেই ঐ মতগুলা বদলাইয় যাইবে । : স্বরাজীরা যখন খুব লম্বাচোঁড়া অঙ্গীকারের জোরে দলে পুরু হইয়া ব্যবস্থাপক সভাসমূহে প্রবেশ করিলেন, তখন তাঁহাদের মত ও কাৰ্য্যপ্রণালী যাহা ছিল, তাহার অনেক পরিবর্তন হইয়াছে। অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে-সঙ্গে মতের ও কাৰ্য্যপ্রণালীর পরিবর্তন হইতে পারে, স্বীকার করি । কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞাস্য এই যে, স্বরাজ্যদলের নেতার বর্তমান মত। অবশু যদি এখনও তাহা বৰ্ত্তমান থাকে ) এবং মডারেটুদলের মতের পার্থক্য কি ? উভয়দলই প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্ব চায়, উভয়দলই ভারতগুবৰ্ণমেণ্টের দেশরক্ষা এবং রাজনৈতিকও বৈদেশিক বিভাগ ছাড়া আর-সব বিভাগে লোকপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্ব চায়। বরং মডারেটুদের মধ্যে অনেকে r আর-একটু অগ্রসর। র্তাহারা ( যেমন মিসেস বেসান্ট ) বলেন, যে সামরিক, রাজনৈতিক ও বৈদেশিক বিভাগ কেবল নির্দিষ্ট কয়েক বৎসরের জন্য বড়লাটের হাতে থাকিবে ; তাহার শেষে ঐ গুলিও ব্যবস্থাপক সভার অধীন হইবে, এবং যতদিন ঐগুলি বড়লাটের হাতে থাকিবে ততদিন সেগুলিকে দেশের লোকের প্রতিনিধিদের হস্তে নির্দিষ্ট কালাস্তে অৰ্পণ করিবার জন্ত দেশকে প্রস্তুত করিতে হইবে। অর্থাৎ প্রতিবৎসরই বহুসংখ্যক গোককে সামরিক শিক্ষা দিতে হইবে এবং সেনাদলে লেফটেন্যান্ট হইতে আরম্ভ করিয়া সামরিক অফিসারের পদে এরূপভাবে নিযুক্ত করিয়া যাইতে হইবে, যাহাতে পূৰ্ব্বোক্ত নিদিষ্ট কালাস্তে ভারতীয় লোকের সিপাহী ও সেনানায়ক উভয়ৰূপেই দেশরক্ষায় সমর্থ হয়। রাজ নৈতিক ও বৈদেশিক বিভাগ-সম্বন্ধেও এইরূপ করিতে হুইবে । এখন আমরা স্বরাজ্যদলের ও মডারেটুদলের মতে, লক্ষ্যে ও কাৰ্য্য-প্রণালীতে কোন মৌলিক প্রভেদ দেখিতেছি না। অথচ স্বরাজ্য দল প্রথম হইতে মডারেটুদলকে অপদস্থ করিবার চেষ্টা করিয়াছে ও তাহীদের নিন্দা করিয়াছে। কিন্তু,একদিকে তাহাদের লিটনবিজয়-নিনাদে । আকাশ বিদীর্ণ হইলেও অন্যদিকে তাহাদিগকে “পুনমূৰ্ষিকে ভব” অভিশাপ লাগিয়াছে। চিত্তরঞ্জন-বাৰু একটা ইণ্টারভিউয়ে অর্থাৎ সাক্ষাৎ-সংবাদে নাকি বলিয়া ছেন, যে, তিনি কনষ্টিটিউশ্বন্যাল অর্থাৎ বৈধ বা আইনসঙ্গত উপায়েই স্বরাজলাভ করিতে চান । এবুলিটাও বরাবর মডারেটুদলের বুলি ছিল ও আছে। যাহার “দাসমনোভাব” ( দাশ-মনোভাব নহে ) কথাটা চালাইয়াছেন, র্তাহাদের ভাষায় ইহারই নাম আবেদন-নিবেদন-মার্গ। আর-এক রিষয়ে চিত্তরঞ্জন-বাবুর সহিত মডারেটু দলের মিল হইয়াছে। মডারেট্রা বরাবর গবর্ণমেণ্ট কে ও ইংরেজজাতিকে এই-ধাচের কথা বলিষ্ণু আসিতেছেন, যে, যদি তোমরা আমাদের কথা না শুন, যদি আমাদের প্রার্থিত অধিকার ও ক্ষমতা ( কেহ-কেহ ইহাকে নাম দিয়া আত্মপ্রতারণা করেন ) না দাও, তাহা হইলে দেশে ভীষণ একটা-কিছু হুইবে ; অতএব সময় থাকিতে