পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. Se SనDBO স্থলত কছিলেন, “বইটা ত পালিয়ে যাচ্ছে না।” স্বলতা এবারে একটু ক্ষুণ্ণ হইয়াই মুছম্বরে কহিলেন, রমাপ্রসাদ কছিল, “রিহাসালে সবটাত এমনিতেই “না-হয় নিজের ইচ্ছেতেই একদিন এলি ইলু,এটা ত ক্লাৰই শুনতে পাবেন, পড়ার চেয়ে সে বরং আরো ভালোই কেবল নয়, আমার বাড়ীও ত বটে " লাগবে ।” তাহার কথায় কান না দিয়া ঐঞ্জিলা কহিল, “বই না পালাক, দিদি এই রকম করতে থাকৃলে মানুষগুলো এরপর পালাবে i* স্বলতা কহিলেন, “অন্ততঃ অভিনয়ের দিনে শুনতে যারা জাসবে তারা যে পালাবে, তা আমি দিব্যচক্ষে দেখতে পাচ্ছি।” . বইয়ের পাতা হইতে চোখ না তুলিয়াই বীণা কহিল, “মন্তব্য শেষ হ’ল তোমাদের ? এইবার থামো। আমি ত বলেইছি, আমার জাজ ভালো লাগছে না কিছু कब्राउ " স্বলতা কহিলেন, "বেহরো গানগুলো শুনতে আমাদের ষে আরও ভালো লাগছে না বীণ !” বীণা কহিল, “স্বভত্রবাবু ত ব’লেই রেখেছেন, কোরাসের গানগুলো বেস্থবো হলেই realistic হবে বেশী।” স্বলতা কহিলেন, “সে তোকে সাত্বনা দেবার কথা, তাও বুঝতে পারিস নি ?” বীণা কছিল, “আম্পৰ্ধা! আমাকে সাম্বন কিসেব জন্তে শুনি ? গাধা পিটিয়ে ঘোড়া সত্যি সত্যি হয়ত খানিকটা করা যায়, কোকিল করা যায় না। গোড়া থেকে তোমাদের বলছি, একজন কেউ গাইয়ে ছেলে lead করতে সঙ্গে না থাকলে এই সব জানাড়িদের দিয়ে কোনোকালে কিছু হবে না, তা তোমরা কেউ কানেই নিলে না, এখন আমাকে দোষ দিলে কি হবে শুনি ?” স্বলতা একটি গালে রসনা-সন্নিবেশ করিয়া একটুখানি অর্থপূর্ণ হাসি হাসিলেন। বীণা আচল ঘুরাইয়া উঠিয় পড়িল, কহিল, ”আহ, আবার হাসি হচ্ছে। তা বেশ, ষত পারে হালো, আমি চললাম। ইলু যাচ্ছিস ।” ঐজিলা বলিল, “আমাকে আর জিজ্ঞেস করা কেন মিছে । ধ’রে নিয়ে এলে তুমিই, আবার ভূমি যেতে বললেই যাব।” নিতাস্ত কথাটাকে চাপা দিবার জন্তই ঐশ্রিল কহিল, “আসতে ইচ্ছে আমার করে জ্বলতাদি, কদিনই ত এসেছি। আজকে শরীরটা ভালো ছিল না, আজকের কথাই বলছিলাম।” সিড়ি নামিতে নামিতে অক্ষুভব করিল, স্বলতাকে ফাকি সে দিতে পারে নাই। পাছে এ-বিষয়ে' আর-কিছু বলিতে গেলে ঐজিলা আরও বেশী করিয়া ধরা পড়ে, এই ভয়ে স্বভাব-স্থলভ সৌজন্ত বশতঃই তিনি চুপ করিয়া গেলেন। কিন্তু বাড়ী ফিরিবার পথে ইহাই সে ভাবিতে ভাবিতে চলিল, যে, আসল ফাকি তাহায় কোনটা এবং সেই ফাকি কাহাকে সে দিতে চেষ্টা করিতেছে। সত্যই কি কেবল বীণারই ইচ্ছাতে সে আজ ক্লাবে আসিয়াছিল ? অজয়কে হয়ত দেখিতে পাইবে সেই সম্ভাবনা মনে পড়িয়া একবারও কি তাহার বুক ছুরু ছুরু করিয়া কাপে নাই ? সে ছুরু দুঙ্ক ভয়ের, তাহ সে জানে। অজয়কে সে ভয় করে, ভয় করে। অত্যন্ত গভীর করিয়া ভয় কয়ে । সে এমন ভয় যাহার কথা কাহাকেও বলিতে গেলে নিজেরই কর্ণমূল আতপ্ত হইয়া উঠে। এই কিছুদিন জাগে পৰ্য্যন্ত অজয়কে তাহার ভালও লাগিত, কিন্তু জাজ তাছার জন্ত ভয় ছাড়। কিছু অার মনের মধ্যে অবশিষ্ট নাই। তবু এই ভয়াবহতারই এ কি নিদারুণ প্রলোভন ? একদও কেন তাহাকে সে ভুলিয়া থাকিতে পারে না। গভীর রাত্রিতে প্রেতের মত যাহাকে দূর হইতে সে দেখিয়াছিল, চকিতে তাহার চোখে ষে-দৃষ্টি সে কল্পনা করিয়াছিল, আবছায়া স্থতির পটে জঙ্কিত সে-মূৰ্ত্তি সে-দৃষ্টিকে আসল মানুষটার সঙ্গে মিলাইয়া দেখিয়া লইবার এ কি প্রচও কৌতুহল তাহাৰু মনে । যে মানুষটা সসম্রমে কাছে আলিয়া বসে, বৌদ্ধধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আলোচনা করে, ভাল করিয়া চোখের দিকে চোখ তুলিয়া চাহিয়া কথা বলে ন, তাহার সঙ্গে এই নিশাচর বুভুস্থ গোপনচার মাছৰটার সত্যই কোথাও মিল আছে ৰিনা জানিতে পাইলে সে