পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 SO8O আমার দৃষ্টির সম্মুখে এক আশ্চর্ষ ইজজাল ঘটিল । ধূপের কাঠিগুলি হইতে যে ক্ষীণ ধূমরেখা উঠিতেছিল তাহ শূন্যে কুগুলী পাকাইতে পাকাইতে যেন একটা বিশিষ্ট আকার ধারণ করিতে লাগিল। অদৃগু কাচের শিশিতে রঙীন জল ঢালিলে যেমন তাহ শিশির আকারটি প্রকাশ করিয়া দেয়, আমার মনে হইল ঐ ধোয়া যেন তেমনি কোনো অদৃপ্ত আধারে প্রবেশ করিয়া ধীরে ধীরে ভদাকারত্ব প্রাপ্ত হইতেছে। আমি রুদ্ধনিঃশ্বাসে দেখিতে লাগিলাম । ক্রমে ধূসর রঙের একটি বস্ত্রের আভাস দেখা দিল । বস্ত্রের ভিতর মানুষের দেহ ঢাকা রহিয়াছে, বস্ত্রের ভাঞ্জে ভজে তাহার পরিচর পাইতে লাগিলাম।..খুমকুণ্ডলী মূৰ্ত্তি গড়িয়া চলিল, আবছায়া মূৰ্ত্তির ভিতর দিয়া ওপারের দেয়াল দেখিতে পাইতেছি, কিন্তু তবু তাহার ডৌল হইতে বেশ বুঝা যায় যে, একটা বিশেষ কিছু! ধূম পাকাইয়৷ পাকাইয়া উৰ্দ্ধে উঠিতে উঠিতে ক্রমে মূৰ্ত্তির গলা পৰ্য্যন্ত পৌছিল। এইবার তাহার মুখ দেখিতে পাইব ।--কি রকম সে মুখ ? বিকট, না জয়ানক ? কিন্তু ঠিক এই সময় সহসা সব ছত্রাকার হইয়া গেল । জানালা দিয়া একটা দমকা হাওয়া আসিয়া ঐ ধূমমূৰ্ত্তিকে ছিন্নভিন্ন कब्रिग्रां निल । भूथ cनथl झहेल ना । প্রতীক্ষা করিয়া ব্লছিলাম যদি আবার দেখিতে পাই । কিন্তু আর সে মূৰ্ত্তি গড়িয়া উঠিল না। ২০ ফেব্রুয়ারি । সে আছে, তাহাতে তিলমাত্র সন্দেহ নাই। ইহা আমার উষ্ণ মস্তিষ্কের কল্পনা নয়। দিনের বেলা সে কোথায় থাকে জানি না, কিন্তু সন্ধ্য হইলেই আমার পাশে আসিয়া দাড়ায়, আমার মুখের দিকে চোখ মেলিয়া চাহিয়া থাকে। আমি তাহাকে দেখিতে পাই বটে, কিন্তু যাহা দেখিতে পাওয়া যায় না তাহাই কি মিথ্যা ? বাতাস দেখিতে পাই না, বাতাস কি মিথ্যা ? শুনিয়াছি একপ্রকার भानि चाप्इ यांश ग्रंकशैन ७ चमूठ अष5 डांश श्राजांन করিলে মানুষ মরিয়া যায়। সে গ্যাস কি মিথ্যা ? না সে আছে । আমার মন জানিয়াছে সে আছে । ২১ ফ্রেব্রুয়ারি । কে সে ? তাহার স্পর্শ আমি অন্ধুভৰ করিয়াছি, কিন্তু তাহাকে স্পর্শ করিতে পারি না কেন ? দুইতে গেলেই সে মিলাইয়া যায় কেন, সে দেখা দিতে চেষ্টা করে জানি, কিন্তু দেখা দিতে পারে না কেন ? রক্তমাংসের চক্ষু দিয়া কি ইহাদের দেখা যায় না ? আমি এখন শয়নের পূৰ্ব্বে ডায়েরি লিখিতেছি, त्रांब्र ८न लैिक चाभांब्र शिझरन मैंाफ़ाहेग्नां श्राभाग्न ८लथा পড়িতেছে । আমি জানি। আমার শরীর রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু মুখ ফিরাইলে তাহাকে দেখিতে পাইব না—সে মিলাইয়া যাইবে । কেন এমন হয় ? তাহাকে কি দেখিতে পাইব না ? দেখিবার কী দুৰ্দ্দম আগ্রহ যে প্রাণে জাগিয়াছে তাহা কি বলিব। তাহার এই দেহহীন অদুগুতাকে বদি কোনো রকমে মূৰ্ত্ত করিয়া তুলিতে পারিতাম ! কোনো উপায় কি নাই ? ২২ ফেব্রুয়ারি । কাল রাত্রে সে আসে নাই । সমস্ত রাত্রি তার প্রতীক্ষা করিলাম, কিন্তু তবু সে আসিল না। কেন আসিল না ? তবে কি আর আসিবে না ? নিজেকে অত্যন্ত নিঃসঙ্গ মনে হইতেছে। অামার প্রতি রজনীর সহচর সহসা আমাকে ফেলিয়া চলিক্ষ = গিয়াছে । আর যদি না আসে ? ২৩ ফেব্রুয়ারি । জানিয়াছি—জানিয়াছি । সে নারী । এ কি অভাবনীয় ব্যাপার, যেন ধারণা করিতে পারিতেছি না। আজ সকালে স্নান করিয়া চুল আঁচড়াইতে গিয়া দেখি, একগাছি দীর্ঘ কাল চুল চিরুণীতে জড়ানো রহিয়াছে। এ চুল আমার চিরুণীতে কোথা হইতে আসিল ! বুঝিয়াছি—বুঝিয়াছি। এ তাহার চুল । সে নারী ! সে নারী ! কখন তুমি আমার চিরুণীতে কেশ প্রসাধন করিয়া এই অভিজ্ঞানখানি রাখিয়া গিয়াছ ? কি সুন্দর তোমার চুল ! তুমি জামায় ভালবাস তাই বুঝি আমার চিরুণীতে কেশ প্রসাধন করিয়াছিলে ? আমার আরঙ্গীতে মুখ দেখিয়াছিলে কি ? কেমন সে মুখ ? তাহার প্রতিবিম্ব কেন আরসীতে রাখিয়া যাও নাই ? তাহ হইলে ত আমি তোমাকে দেখিতে পাইতাম । ওগো রহস্যময়ি, দেখা দাও! এই স্বন্দর স্বকোমল | চুলগাছি ষে-তরুণ তন্ত্রর শোভাবৰ্দ্ধন করিয়াছিল সেট দেহখানি আমাকে একবার দেখাও । আমি ধে তোমায় |