পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sobo ধ্ৰুপ্রবাসী; SOBO প্ৰণাম করিল।•••ধীরে অজয়ের আত্মস্থতা ফিরিয়া জালিতেছে।---কিন্তু কি একটা তুচ্চ কারণে পুলিশের একজন লোক অজয়কে কঠোর কটুক্তি করিয়া উঠিল, চকিতে অক্ষয় নন্দের মুখের দিকে একবার তাকাইল,— না, তাহার পর জোড়াসাকোর কথা সত্যই অজয়ের মনে ञांझे । তারপর রাত নটা সাড়ে-নটায় লালবাজার । এবারে কালে কয়েদী গাড়ীতে চড়িয়া তাছাদের যাত্র । লালবাজার হাজতে গভীর রাত্ৰিতে মুড়ি থাইয়াছিল মনে আছে । হাজতে সেদিন বেশীর ভাগ হিন্দুস্থানী যুবকের ভিড়, তাহাদের প্রায় সকলেরই মাথায় গান্ধীটুপি । চীৎকার করিয়া তাহারা ঘর ফাটাইতেছে । যথারীতি সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করিয়া একপালা কংগ্রেসের বৈঠক হইল । দরজার তারের জালে মুড়ি গুজিয়া গুজিয়। কে একজন নাগরী হরপে গান্ধীকি জয় লিখিয়া দিল । অতঃপর বহুকষ্ঠের মিলিত জয়ধ্বনি, “মহাত্মা গান্ধীকি জয়, মহাত্মা গান্ধীকি জয়—” অজয় এই জয়ধ্বনির সঙ্গে প্রাণপণে নিজেয় মনের কণ্ঠ মিলাইতেছে, কিন্তু মুখ খুলিতে তাহার ভারি লজ্জা । দুই জান্থর মাঝখানে মাথা ও জিয়া স্তব্ধ নিঃম্পন্দ্ৰ হুইয়া সে বসিয়াছে । তাহাকে লইয়া ক্রমে আশেপাশে নানাপ্রকার মস্তব্যের গুঞ্জন ৷ কে একজন তাহার সঙ্গীকে বুঝাইতেছে, লোকটা বাঙালী, গান্ধীর নাম মুখে আনিবে না, দেশবন্ধুর জয় বলিলে এখনই গল। ছাড়িয়া চেচাইয়া উঠিবে। স্থতলার হাজতঘর হইতে নামিয়া দারোগার পশ্চাৎ পশ্চাৎ অজয় একতলার একটা ঘরে আসিয়া ঢুকিল । ছোট একটি টেবিল সম্মুখে কম্বিয়া বসিয়া বিশালকায় একজন সাহেব কৰ্মচারী। দুইজন সার্জেণ্ট হ্রস্তপদে এধার-ওধার টহলাইয়া বেড়াইতেছে । দৈত্যপুরীতে প্ৰহলাদের মত, সঙ্গের বাঙালী দারোগটিকে च्णप्ञ्चब्र ब८न श्हेण ८दन ऊाशब्र कङकारणब्र दङ्क, পরমাত্মীয় । লোকটিকে সহসা সে ভালৰাসিল । অজয়কে যেমনভাবে যাহা সে করিতে বলিল, পরম নির্ভরের সঙ্গে নির্বিচারে সে তাহা করিয়া গেল। কি একটা কাগজে সহি দিল, মুক্তি ! দারোগার নিকট হইতে বিদায় লইয়া বাহিরে আসিয়৷ ইহার পর কি তাহার করা কৰ্ত্তব্য ভাবিতেছে, অকস্মাৎ পাশ হইতে কে মৃদুকণ্ঠে ডাকিল, “অজয়দা—” দেখিল, নন্দও আসিয়া জুটিয়াছে । নন্দ কহিল, “কোথায় যাবেন এখন, বাড়ী ?” অজয় কহিল, “ন, সে-বাড়ী ছেড়ে দিয়ে এসেছি।” নন্দ কহিল, “সে কি, কেন ?” অজয় সত্য বলিতেছে মনে করিয়াই বলিল, “সেখানে খরচ বডড বেশী।” এইটুকু তাহার মনে আছে। তারপর অত্যন্ত অবাকু হইয়া নন্দ কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। অজয়কে তাহার অন্তরের বে স্বৰ্গলোকে সে স্থাপন করিয়া রাখিয়াছিল, তাহার সঙ্গে কোনও পার্থিবতার কিছুমাত্র সংস্পর্শ ছিল না। অজয়কেও যে টাকাকড়ির ভাবনা ভাবিতে হয় এই আকস্মিক উদ্ভাবনা তাহাকে অভিভূত করিয়া দিল । হঠাৎ কি ভাবিয়া ভাহার বিষাদ-করুণ চোখ দুইটি উজ্জ্বল হইয়া উঠিল । বলিল, “কোথায় যাবেন কিছু ঠিক করেননি ?” অজয় বলিল, “বিছানাটা আর একটা স্কটকেল হাওড়া ষ্টেশনে পড়ে আছে । সম্প্রতি সেগুলির পুনরুদ্ধার সম্ভব কিনা দেখতে যাব । ফিরে এসে বাড়ীর খোজ করব।” নন্দ কহিল, “সেগুলো কি আর আছে এভক্ষণ ? চলুন তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে ।” দেখা গেল, বিছানা সুটকেস অজয় যেখানে রাখিয়া গিয়াছিল সেখানে সেগুলি নাই বটে, কিন্তু দূরে আরএকটা কোণে ধূলিধূসরিত অবস্থায় সেগুলি পড়িয়া আছে। টানাটানি করিয়া বিছানাটাকে নন্দ কাধে তুলিয়া লইল, অজয় মুটে ডাকিতে চাহিল, কিছুতেই শুনিল না। স্কটকেলটাও হাতে লইতে চাহিয়াছিল, चजब cनञ्च नाहे । छूहेबटन दाश्ब्रि झहेब्रां यांनिब ७कल्ले ৰালে উঠিল। অজয় কছিল, “কোথায় যাচ্ছি ঠিক ন৷ ক’রে জাগে-ভাগেই ত বাসে চড়ে বসা গেল ”