পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আষাঢ় দার্শনিকপ্রবরকে তর্কযুদ্ধে আহবান করিতে পশ্চাৎপদ হন নাই ; বিত্তপ্রদানেচ্ছুক পতিকে অবলীলায় প্রশ্ন করিয়া বসেন – “যেনাহং নামৃতাসাং কিমহং তেন কুৰ্য্যাং যদেব ভগবান বেদ তদেব কে ক্ৰবীহি ।” আবার আর একদিকে রাজপুতানার মিবার-রাজ্যের রাজরাজেন্দ্রানী ভক্তিমতী মীরার ভজনগানে বোধ করি পাষণ্ডেরও চিত্ত বিগলিত করে, পাষাণ হইতেও বুঝি তা জল ঝরায়। “.মরে জনম মরণকে সাথী তানে নাহি বিসর দিনরাতি" ইত্যাদি ভক্তিরসামৃতসিক্ত সঙ্গীতলহরী চিরযুগযুগান্তরাবধি যেন প্রাণের অমৃতরস নিঙড়াইয়া মৰ্ত্ত্যমানবীর অমরত্ব ঘোষণা করিতেছে. চিরযুগযুগান্তরাবধি ঘোষণা করিবে। মের চাকর রাপোঞ্জা”—— এই যে আরজি, এ বড় সোজা দাবি নয়। এই অধিকার স্থাপনার জোরেই স্কুধু সাধক-সেবক অদ্বৈতবাদীর অতি কঠিনসাধ্য সোহ্মকে অতি সহজসাধ্য, একমাত্র গভীর প্রেমসাধা দাসোহস্ৰ করিয়া লইতে পারে। ইহা অতি মধুর দ্বৈতাদ্বৈতবাদ । ভগবৎচরণ উপাসিক মীরাদাসী এ পথের বাৰ্ত্ত তার মধুর সঙ্গীতের দ্বারা আত্মাভিমানী মানুষকে ইঙ্গিত করিয়া গিয়াছেন। নামের তালিক লিপিব না, নামের শেষ নাই । খনা প্রোর্থল। ●8ማል লীলাবতীর উপমা ত আমরা কথায় কথায় দিয়া থাকি। কিন্তু দিই না র্যাদের তাদের মধ্যেও অসংখ্য শক্তিমতীর আবির্ভাব এ-জাতিকে ধন্ত করিয়াছিল। শুধু লেখাপড়ার মধ্য দিয়াই নয় ; কত জ্ঞানহীন নারীও কত কবিতা ছড়া গান রচনা করিয়াছেন তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। মুসলমান যুগেও শক্তিমতী নারী লেখিকার অভাব হয় নাই। বৈষ্ণব যুগের মাধবী দাসীর নাম সুপরিচিত। জেবউল্লিস, গুলবদন বেগম ইতিহাসপ্রসিদ্ধ, বিদুষী নারী। বৰ্ত্তমান যুগের কথা আমার আলোচ্য নহে। তবে এ যুগেও যে নারী-সাহিত্যিকের অভাব অনুভূত হইতেছে না তাহ বলাই বাহুল্য। সুযোগ এবং সহানুভূতি বৃদ্ধির সহিত মহিলালেখিকাদের সংখ্যাও দিন দিন বৰ্দ্ধিত হস্তবে, এ আশা কর। যায়। প্রাচীন যুগের মত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ যুগের লেখিকার বেদমন্ধের মতই কঠিন বিষয়ে মনোযোগিনী হইবেন, ইহাও আশা করি। মহিল-লেখিকাগণ যে যুগেই প্রাচুভূত হউন না কেন, সেই সুদূর অতীত হইতে আজিকার এই বস্তুতন্ত্রতার দিন অবধি তারা কোনভাবেঙ্গ অসং সাহিত্যের প্রচার চেষ্টা করেন নাই । এইটুকুষ্ট আমাদের মহিলাসমাজের সবিশেষ গৌরবের বিষয় ছিল X

  • চৰ্ম্মণনগর গু হ'গোপাল স্থা গুমন্দিরে জনসভায় পঠি ও ।

مــــــ --ای-میسس۔۔۔۔۔ প্রার্থনা শ্রীবিশ্বনাথ নাথ আমারে বঞ্চিত কর সর্ব মুখ হতে হে স্বামিন্‌! জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতে যে ব্যথা ফেলায়ে উঠে, যেই অশ্র ঝরে উছলিয়া ; তাই দাও পানপাত্র ভরে । ব্যর্থতায় শূন্ত করে দাও সব আশা রিক্ততায় পূর্ণ করে দাও ভালবাসা, প্রেম, প্রীতি, হৃদয়ের সব লহু হরে, নিঃসঙ্গ, নিষ্ঠুর কর, বন্ধুহীন করে দাও মোরে, গৃহহীন, পরিজনীন, কর মোরে সর্বহার দান, অতিদান. নির্যাতিত, নিঃসহায়, এক নিদারুণ, করে না’ক কোন দম্ন ওগো অকরুণ ! করে৷ নাক আশীৰ্ব্বাদ দিও না আশ্বাস, তবে যদি তোম। পরে রহে গো বিশ্বাস ।