পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যাবর্তন শ্ৰীকেদারনাথ চট্টোপাধ্যায় বাগদাদে আমাদের প্রথম কাজ হ’ল জিরোনো। পারস্ত ভ্রমণের ঔৎসুক্য এবং উত্তেজনা যতদিন ছিল ততদিন শ্রান্তিক্লাস্তি মনে বিশেষ স্থান পায়নি। ক্রমাগত একের পর এক নূতন দৃশু, প্রাচীন কথাকাহিনীর রঙ্গভূমির প্রত্যক্ষ দর্শনের রূপ, অন্য নানাপ্রকারের নূতন অভিজ্ঞতা এই সকলের প্রতিক্রিয়ায় অনেককিছু নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ক্রমাগতষ্ট বাদ পড়ে যাওয়া সত্ত্বেও কোন রকম শারীরিক বা মানসিক বিকার হয়নি। হঠাৎ সে সব দিনকক্ষেকের মত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্ত শ্রান্তিক্লাস্তি যেন পুঞ্জীভূত হয়ে এসে উপস্থিত হ’ল। কাজেই প্রথম দিনের সন্ধা এবং পরের দিনের বিকাল পর্য্যন্ত একরকম গড়িয়ে-বসেই কাটিয়ে দেওয়া গেল । মাঝে মাঝে কেবল সোডা, লেমনেড, চা ইত্যাদি খেয়ে মরুভূমির গ্রীষ্মের কিছু প্রতিকার করার চেষ্টা করা গেল । --> -- 6:३--->S 8 কিন্তু এদেশও নূতন, তা ছাড়। এ শুধু ঐতিহাসিক দেশ নয়, এ হ’ল আরব্য উপন্যাসের দেশ । হারুণ-অল-রসাদ অনেক দিন হ’ল তার মর্ত্যজগতের লীলাখেলা শেষ ক’রে গিয়েছেন, শাহরিয়র ও শাহারজাদির এক হাজার এক রাত্রির পর আরও অনেক শত সহস্র রাত্রি কেটে গেছে, কিন্তু দেশও সেই আছে, দেশের লোকও প্রায় সেই রকমই আছে । এখনও পুরানো শহরের আঁকাবাক গলি, নীচু অলিন্দ, রুদ্ধ বাতান দেখলে, জীর্ণ কুটারের পাশেই বিরাট প্রাসাদের অদ্ভূত সমাবেশ দেখলে মনে হয় এই বুঝি সিদ্ধবাদের প্রাসাদ, ঐ বুঝি আবু হোসেনের ঘর। বড় রাস্তায় যার হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে তাদের দেখলে বিংশ শতাব্দটা বড়ষ্ট স্পষ্ট হয়ে ওঠে, কিন্তু সঙ্কীর্ণ গলির ভিতরে বা পুরাণো বাজারে যার ঘুরে ফিরে যাচ্ছে তাদের