পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ় পুস্তক-পরিচয় 8SS একেবারে মাতিয়া উঠে। মাৰে মাৰে ক্লিন্তনগুলিও উপরে যদিও হয়ত জায়গায় জায়গায় একটু খাট হইলে আরও ভাল হইত। এই-সব বাদ দিয়া কিন্তু বইখানিতে নিরাশ হইতে হইল। মাতৃভক্তি বনাম পত্নীপ্রেম—এই দ্বন্দ্বযুদ্ধে লেপক কাহাকে জয়মাল দিলেন পরিষ্কার হইল না যদিও বইয়ের নামকরণের দিক দিয়া মনে হয় মাতার দাবিষ্ট প্রবলতর বলিয়া স্বীকৃত হইয়াছে। হয়ত বা লেখক ওদিক দিয়াই যান নাই –কর্তৃব্যের নামে দুইয়ের মধ্যে একটা সামঞ্জস্ত রচনা করাই ক্টাহার উদেপ্ত। যদি তাহাই হয় তো সে উদেণ্ঠও তাহার বার্থ হক্টয়াছে—শেলের দিকে মায়ের সঙ্গে রঙ্গলালের কদৰ্য্য প্রবঞ্চনায় । যে দিক দিয়াই দেখা যাক মা-রাজলক্ষ্মীকে শেষের দিকে স্থানে স্থানে অন্ত উৎকটভাবে নীচ করিয়া চিত্রিত করিবার কোন সার্থকতাই লাষ্ট । এককথায় বলিঙে গেলে গল্পাংশের দিক দিয়া বইখানি যেন হইয়াছে, মা তুমি মাথায় থাক , কিন্তু তফাৎ থেকে । বইয়ের চাপা, বাধাই ভাল । শ্ৰীবিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় ভারতের সভ্যতা I– সতীশচন্দ দাসগুপ্ত মুল্য - বাধাঠ রারোআন সাধারণ আট আনা । 'রাষ্ট্ৰবাণী’তে নানা সময়ে সতীশবাবুর কতকগুলি প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল। বস্তুমান বইখানি সেইগুলির সমষ্টি । খুব গভীর তত্ত্বকথা না থাকিলেও সহজ সরল ভাষায় সাধারণ পাঠকের জন্ত অনেক কথাই বলা হইয়াছে এবং আমাদের মনে হয় ইহা পড়িলে তাহারা যথেষ্ট লাভবান হইবেন। কেবল দু-একটি প্রবন্ধে ইউরোপীয় সভ্যতার প্রতি ঠিক সুবিচার করা হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না । ভারতের সহিত সংঘাতে আমরা ইউরোপের যে রাপ দেখি তাহা শাশ্বত রূপ নহে ইউরোপেরও একটি শাশ্বত রূপ আছে । অঙ্গুষ্ঠত দেখিয়া যেমন হিন্দুধৰ্ম্মের বিচার চলে না ইউরোপের একটা দিক মাত্র দেখিলে তেমনি ভুল হইবার সম্ভাবনা থাকিয় যায় । পাঠকের মনে ইউরোপ সম্বন্ধে ভুল ধারণা থাকিয়া যাইতে পারে বলিয়াই একথা বলা সরকার বষ্টপানির ক্রটি দেখাইবার জন্য নহে ! শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার বসু পরলোকের কথা—ঞ্জযুক্ত মৃণালকাপ্ত ঘোম ভক্তিভূষণ প্রশস্ত। প্রকাশক ইমচারকান্তি দোষ ২নং আনন্দ চাটুধের গলি, বাগবাজার, কলিকাতা : ১৮• +২৭৪ পৃঃ । মূল্য ২\ দুই টাকা মাত্র। এই গ্রন্থে লেখক কয়েকটি আধ্যাত্মিক ঘটনার বিবরণ দিয়াছেন এবং নিজেদের অধ্যাক্স-চর্চার ইতিহাসও সংক্ষেপে বর্ণনা করিয়াছেন। মিডিয়মের সাহায্যে প্রেভাক্সার আনয়ন এবং তাহার সহিত নানা প্রকার কথোপকথন প্রভূতি কয়েকটি রোমাঞ্চকর আশ্চৰ্য্যজনক ব্যাপার এই বইয়ের মূল উপাদান। বাংলা ভাষায় একেবারে নুতন ন হইলেণ্ড এই প্রকার বষ্ট খুব বেশ নাই । পরলোকের কথা যে-পরিমাণে মনোরম সেক্ট পরিমাণেই প্রমাণসাপেক্ষ। এখনও পৃথিবীতে এমন লোক অনেক আছেন যাহারা “অয়ং লোকো নাস্তি পর ইতি মানী” । এই বই পড়িয়াও ঠাহীদের সকল সঙ্গেহ যে ভঞ্জন হইবে না তাহা অনুমান করা কঠিন নহে। যাহারা বিশ্বাসী, তাহারা শুধু পরলোক আছে ইহা জানিয়াই সন্তুষ্ট নছেন সেখানে প্রেতাঞ্জারা কি ভাবে বাস করে তাহাও জানিতে চাছেন । আলোচ্য গ্রন্থের লেখক এবং উাহার সহকৰ্ম্মীরাও আবিষ্ট ব্যক্তির দেছে আবিভূর্ত প্রেতাত্মাদের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া এ-বিষয়ে সত্য-নিৰ্দ্ধারণের চেষ্টা করিয়াছেন। বৈজ্ঞানিকের নিঞ্জিতে এ সব আবিষ্কার ওজন করিলে হয়ত একেবারে সন্দেহের অতীত বলিয়া প্রতীয়মান না-ও হইতে পারে। তথাপি অবিশ্বাসীও এ-সব পড়িয়া আনন্দ পাইবেন আর যিনি বিশ্বাণী ষ্টার ত কথাই নাই । গ্রন্থকার একজন লব্ধপ্রতিস্ত প্রবীণু ব্যক্তি । তাহার কাছে যে-সব ঘটনার বিবরণ পাওয়া যাইতেছে সেগুলি একেবারে ফুৎকারে উড়াইয়া দেওয়ার উপায় নাই। তবে, আর অলিভার লজের মত বৈজ্ঞানিকদের সাক্ষ্য সত্ত্বেও পরলোকে অনাস্তা অনেকের মন হইতে দূর হয় নাই : সুতরাং মৃণালবাবুর সাক্ষাও যে সকলের মনের সনো অপনোদিত করিতে সমর্থ হইবে না ইঙ্গ ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে। ঐউমেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য পারিজাত--ইমারদমোহিনী বহূ প্রণীত এবং ৮১ সাউথ রোড ইন্টালি হইতে অনিলকুমার বস্থকর্তৃক প্রকাশিত । এই গ্রন্থের কবি স্বর্গগত এক বিদুষী নারী । বাল্যকাল হইতেই এই নারী কাব্যলক্ষ্মীর কুপা লাভ করেন। গ্রন্থকত্রীর বাল্য কৈশোর এবং সমগ্র জীবনেরই বহু কবিতা এই গ্রন্থে আছে । প্রাচীন চন্দে কবিতাগুলি লিপিত হইলেও ইহা পাঠে এক পবিত্র আনন্দ পাওয়া যায় উচ্চাক্ট এক্ট গ্রন্থের বৈশিষ্ট্র । ছাপা ও বাধাই সৈন্যর । শ্রীশৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য বিশ্ব-রাষ্ট্র-সঙ্ঘ { বিশ্বরাষ্ট্রের দপ্তরধান হটতে প্রকাশিত ) প্রাপ্তিস্থান :--দি বুক কোম্পানী লিমিটেড কলিকাতা । মূল্য ছয় আনা । কিছু দিন পূৰ্ব্বে বিশ্বরাষ্ট্র-সঙ্ঘ স্থির করেন যে নানা ভাষায় সঙ্ঘের উদেষ্ঠ গঠনপদ্ধতি ও কাৰ্য্যপ্রণালী সম্বন্ধে এঞ্চপানি পুস্তক রচনা করা ইইবে । তদনুসারে ইংরেজীতে একপানি |laud-look লিপিত হয় । "বিশ্ব-রাষ্ট্র সঙ্ঘ” এই ইংরেজী পুস্তিকার বঙ্গানুবাদ। অনুবাদ যতদূর সম্ভব সরস ও প্রাঞ্জল হইয়াছে । অনুবাদকের কৃতিত্ব আরও বেশী প্রকাশ পাইয়াছে ঠাহার নানা ইংরেজী শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ বাছাই করাতে । প্রতিশব্দগুলি যেমন শুনিতে ভাল ইয়াছে অর্থপ্রকাশেও তেমনি নিখুত হইয়াছে বলিয়া মনে হয়। প্রতি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষয়ী এই বইখানি পাঠ করিয়া বিশ্বরাষ্ট্র-সঙ্ঘ সম্বন্ধে অনেক জ্ঞাতব্য বিলয় ছাত্র-ছাত্রীদের বলিতে পারবেন। আমরা পুস্তিকাপানির বড়ল প্রচার কামনা করি । শ্ৰীনরেশচন্দ্র রায় মায়াবাদ—সাধু শাস্তিন্যপ বিরচিত। বাঙালী সাধু শাস্তিনাথ “নাথজী” বলিয়৷ উত্তর-ভারতের বহুস্থানে সুপরিচিত। তিনি বেদাস্তুমতের অর্থাৎ অদ্বৈতভাবের সাধক। প্রাচীন শাস্ত্রসমূহ হইতে মায়াবাদের মূল বিষয় উদ্ধার করিয়া বাঙালী পাঠকের জন্ত বাংলা ভাষায় তাহ মুজিত করিয়াছেন । কিন্তু গ্রন্থপনি এত সংস্কৃত-পরিভাববহুল যে, সাধারণ পাঠকগণের নিকট ইহা ছুবোধ্য। নাথজী এই পুস্তক বিনামূল্যে ও বিনামাণ্ডলে দিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। উদ্দেশ্ব---বাংলা দেশে বেদাস্তু-প্রচার। কিন্তু উপরোক্ত কারণে র্তাহার উদ্দেস্ত কতদূর সফল হইবে তাহ অনিশ্চিত। বেদান্ত শাস্ত্রে ধাহারা অনেকটা ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন মায়াবাদ” ঠাঁহাদের উপকারে আদিবে। স্বামী চশ্রেশ্বরানন্দ