পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ sjöt צף8 পুরন্দর, আমি এ গ্রামে এসেই মায়ার ভীষণ আত্মহত্যার কাহিনী লোকমুখে শুনেছিলাম। মায়াকে কখনও দেখিনি, তার মূৰ্ত্তি আমি যেন বেশ কল্পনা করতে পারি। পুরন্দর মাধবাচার্যের মুখে তাহার দিদির নাম শুনিয়া চম্বকাষ্টয় উঠিল। মাধবাচাৰ্য্য তাহ বুঝিম বলিল, মায়াকে আমি কেমন করে চিনলাম এই তো তোমার বিস্ময়, পুরন্দর ? আজ আমি মাধবাচাৰ্য্য বলেষ্ট পরিচিত, কিন্তু একদিন আমি এই গ্রামেরষ্ট বনমালী ছিলাম। আজ কিন্তু কেউ আমাকে বনমালী ব’লে আর চিনতেই পারে না । তারপরে মাধবাচাৰ্য নিজের জীবদের যতদূর মনে পড়ে সকলই পুরন্দরের কাছে প্রকাশ করিয়৷ বলিল। এমন কি যোগাচার্য্যের আশ্রমে থাকিতে যেদিন ভিক্ষায় বাহির হইয় একটি অপরিচিত বধুর নিকট তাঙ্গাদের জাতিচু্যতির কাহিনী শুনিয়াছিল সেদিন যে কোন কথা সৰ্ব্বাগ্রে তাঙ্গর স্মরণ হষ্টয়াছিল তাহাও বলিতে ভূলিল না। মাধবাচায্য যখন থামিল তপন ভোরের প্রথম আসিয় তাহাদের মুগে পড়িয়াছে। আলে। ছাত্রের শুনিল, মাপবাচাৰ্মা গুরু-সন্দর্শনে ও তীর্থ-পগাটনে বাহির হইবে। দেখিতে দেপিতে গ্ৰামময় সে-কথা রাষ্ট্র হইয়৷ গেল । সকলে আসিয়া ঘটা করিয় তাহার কাছে বিদায় লইল এবং অচির শুভ-প্রত্যাবর্তন কামনা করিয়া গেল। মাধবাচাধা কবে ফিরিবে, কি আদেী ফিরিবে না, কিছুষ্ট বলিয়া তাহাদের ঔংস্থক্য বাড়াইতে বা কমাইতে পারিল না। শুধু যাহা ন-বলিলেক্ট নম্ন তাহাই বলিয় সকলকে বিদায় দিল । বিদায়ের দিন সেদিন আসিয়া পড়িল সেদিন মাধবাচার্য্য পুরন্দরকে একাস্তে ডাকিয়া লঙ্গয় বলিল, তুমি আমার পথের সাথী হবে কিন্তু ভাঙ্গ । আমর। দু-জনে পথ চলব, ভাগ করে দুঃগ বষ্টব, আর দিন গুণব কেমন, পারবে তে পুরন্দর ? পুরন্দর জানিত, এ ছাক তাহার পড়িবেই এবং একপ্রকার প্রস্থত স্টয়াই ছিল। শুধু মাথা নাড়িয়া বলিল, খুব । উভয়ে বিদায় লইয়৷ চলিয় গেল । বনমালীও একদিন এ গ্রাম হইতে বিদায় লষ্টয়াছিল, আবার ফিরিয়াঃ আসিয়াছিল, কিন্তু কেহু তাহাকে চিনিতে পারে নাই । মাধবাচার্য্যও বিদায় লঙ্গল, কিন্তু আর কখনও ফিরিয়া আসে নাই । এষ্টঢ়কুষ্ট তফাং... ব্যর্থ শ্ৰীসুধীন্দ্রনারায়ণ নিয়োগী তোমার ত এত বুদ্ধি ! চোখ দেখে তাই মনে হয় ; তুমিও নিজের মনে সেই গৰ্ব্বে আছ ভরপুর। তোমার ত এত রূপ! যত হেরি ততই বিস্ময় দিনে দিনে বেড়ে যায়, কানে বাজে মরণের স্বর । কত তুমি রঙ্গ জান, মন নিয়ে খেল ছিনিমিনি, দলিত করিবে জেনে প্রাণখানি সঁপে দিই পায়, তোমার হাতের বিষ অমৃতের মূল্য দিয়ে কিনি - মরণের বিভীষিকা ঢাক তুমি হাসির আভায়। তোমার ত এত বুদ্ধি একথাটি তবু বুঝিলেন। স্নেহ যদি নাহি দাও, কার স্নেহ কর তুমি আশা ? রূপ দিয়ে, রঙ্গ দিয়ে কারু প্রেম নাহি যায় কেন ; অভিনয়ে, বুদ্ধিমতি! জানিও পাবে না ভালবাসা। মমতাবিহীন রূপ তার মত আছে কি বালাই ? সবারে করিতে দগ্ধ তুমিও কি দগ্ধ হও নাই ?