পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so বস্ত স্বগ নিজেই সে ব্যবস্থায় তৎপর হইয় ওঠে। লিকাতায় থাকা চলিবে না, কোনমতেই নয়। শ্বশুরকে বলে—“আমি বলছিলাম বাবা...” “হঁ্য মা, বল ।” - "এই বলছিলাম - মাস তিনেক পরেই তে আপনি কাজ নিয়ে কমাসের জন্তে ঢাকা চলে যাবেন ? এর মধ্যে আমাদের আর নতুন বাস করে কাজ নেই। আপনারও অল্পবিধে বাবা, আর বাস-বদলির একটা হিড়িকও তো কম নয় --খরচও এতগুলি, এই মাগগি গণ্ডার দিন...“ শ্বশুর নিজের চিকিৎসার এক রকম আগু সাফল্যে উল্লসিত হইয় ওঠেন-শুধু পাড়াগায়ের নেশ কাটিয়া যাওয়া নয়, সঙ্গে সঙ্গে গৃহিণীপনার গাম্ভীধা আসিয়া পড়া। বধুর মাথাটি নিজের বুকে চাপিয় বলেন- “ঠিকই তো মা। দেখ ত, কথাটা আমার মাথায়ই ঢোকেনি!...আর বুড়ে হতে চললাম, এইবার মই আমাদের বুদ্ধি দেবে কি-না। আমি তাহলে ওদের খোঁজাখুঁজি করতে বারণ করে দোব। ঢাকা থেকে ফিরে আসি, তখন বরং একটা পাকা রকম ব্যবস্থা করা যাবে, কি বল ?” “ইr "– বলিয়৷ শ্বশুরের বুকে মাথাটি আরও গুজিয় দেয়। ক্ষণেকের জন্ত বোধ হয় একটু দ্বিধ আসে, সেটুকু কাটাইয়া ধীরে ধীরে আরম্ভ করে—“তাই বলছিলাম বাবা. ” “ই্য। মা, বল, ৰল—” “এই বলছিলাম ততদিন পর্য্যস্ত না-হয় আমাকে একেবারে বেলপুকুরেই রেখে আস্কন না.. ” রোগটা মজ্জাগত ; এমনভাবে নিরাশ হুইয়া চিকিৎসক হালিবেন কি কাদিবেন স্থির করিতে পারেন না। চিকিৎসার নূতন নূতন প্রণালী আবিষ্কার করিতে হয়। এই করিয়া দিন চলে। শ্বশুরের পাঠানর যে সে-রকম গা নাই একথাটা ক্রমেই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হইয় উঠে। শাশুড়ীর কাছে চালাকি করিতে সাহস করে না ; কারণ শাশুড়ী বেটাছেলে নয়, এবং সেই জন্ত তাহার মতে, বোকা নয়। সোজাই কথাটা পাড়ে—বাপ, মা, ভাই, ছোট বোনটি এদের অনেক দিন দেখে নাই, তাই... শাশুড়ী চোখ কপালে তুলিয়া বলেন—“ওম, অমন কথা বলে না, বৌমা ! এই তো মোটে কপট মাল এসেচ...আমি SనD8O সেই মোটে ন বছরের মেয়েটি শ্বশুরঘর করতে এলাম—জার ঝাড় তিনটি বছর কাটিয়ে...” চপলারও আশ্চর্য্যের সীমা থাকে না । কলকাতায় মা ?” “পোড়া কপাল!--কলকাতা কোথায় ?—তাহলে তো বঁচিতাম। শ্বশুর থাকতেন ডাহা পাড়াগ, মাঝের পাড়া— নাইবে--সেই আধক্রোশ ভেঙে ইচ্ছেমতী, খাবার জল চাই— সেই আধ ক্রোশ ভেঙে ইচ্ছেমতী, গা ধোবে—সেই অধিক্রোশ . ." “ঐঃ, বেরালটা বুঝি কি ফেললে গে।"--বলিয়া হয়ত হঠাৎ সে স্থান ত্যাগ করে। স্বামীর উপর উপদ্রব হয়। সে বেচারী জর্জরিত হইয়া অভিমান করিম্ব বলে-“বেশ তো বাবাকে মাকে রাজী করাও ; আমার রেখে আসতে কি ?.. আমায় যখন ভালই বাস না, মিছিমিছি এখানে থেকে কষ্ট পাও কেন ?” অবাধে মিথ্য চলে, একেবারে নির্জলা মিথ্যা “বাবা ম ভে খুবই রাজী । বাবা বলেন--“আমার তো ছুটি নেই অজিতকে বললেই বলবে পড়ার ক্ষতি হবে ; না-হয় আল্পৰ না রেখে’...ম বলেন - “আমার আর কি অমত মা - আহ এতদিন এসেচ -—তবে আজকালকার ছেলের মত আগে । তা তুমি ঠিক এই রকম করে মাকে বলে তো, বলো-‘ম অত ঘ্যান ঘ্যান করচে যখন, রেখেই আসি নয়, দিনকতকে জন্যে ; বাবাকে বলে দিও আমার কলেজের ক্ষতি হবে না...” স্বামী অতটা বোকা নয়, এ-ফন্দি খাটে না । কয়েক দিন আবার মুখ অন্ধকার হইয়া থাকে ; কথাবার্তা বন্ধ... যত সব বেয়াড়া আব্দার ভাবিয়া স্বামীও কয়েক দি বেপরোয়া ভাবটা জাগাইয় রাখে, তাহার পর তাহাকেই মা নোয়াইতে হয়। বলে--"ষ হবার নয় তাই ধরে বসে থাকা চলবে কেন । বরং চল দক্ষিণেশ্বর দেখিয়ে নিয়ে আসিপাড়াগকে পাড়াগ-ও, কলকাতা থেকে অনেক দূরও ; বা হয়ে গেলে বরং নৌকেও চড়া হবে। রাজী ?” পরাম স্বাট হয় —দুপুরে ক্ষান্ত যখন স্কুলে থাকিবে, চপল গি *ांलएँड्सौब्र चांzनर्ण कांश्ब्रि आहे¥य-भिडेछिबांध cगर्षियांब्र ब्र করিয়া । - বন্ধু জিজ্ঞাসা করে—“তোমারও তো কলেজ আছে ?” বলে,—*