পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢8२ প্রাচীন জাতিরা এ ভাষা বুঝিতে পারে না, দুই-একটি শব্দ মাত্র বুঝিতে পারে। বৰ্ত্তমানে এ ভাষা অচল এবং অজ্ঞাত ভাষায় পরিণত হইয়াছে। সম্ভবতঃ এই প্রকারের কয়েকটি ভাষা লোপ পাইয়াছে। প্রাচীন প্রাদেশিক ভাষা পরিবর্তনের কারণগুলি অনুসন্ধান করিলে দেখা যায়. রাষ্ট্রীয় পরিবর্তন ইহার বিশেষ কারণ-মধ্যে গণ্য হয়। রাষ্ট্রীয় ভাষা জাতিগত ভাবে দেশবাসীর উপর প্রভাব বিস্তার করে। নাগপুর প্রাচীনকালে একটি জেলা মাত্র ছিল না, সমগ্র সেন্ট্রাল বিভাগটি স্ববিখ্যাত নাগ-রাজ্য ছিল। নাগদেশ বহুকাল স্বাধীন রাজ্যরূপে খ্যাতিও লাভ করিয়াছিল। বড় বড় মগধ রাজবংশ নাগ রাজধারা হইতে উৎপন্ন হইয়া যশ কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছে। মগধরাজ শিগুনাগ প্রভৃতি বংশ আদৌ নাগরাজবংশীয় । মগধরাজ-শাসনে বহুদিন নাগরাজ্য শাসিত হইয়াছিল। নাগপুর পাৰ্ব্বত্য অঞ্চলে এখন কয়েক স্থানে প্রাচীন দুর্গ নগরাদির ধ্বংসাবশেষ-চিহ্ন রহিয়াছে। রাজপুত জাতীয় প্রভাবে নাগপুর প্রভাবিত হইয়াছিল। সময়ে সময়ে গুপ্ত, পাল, সেন রাজন্যগণের রাষ্ট্র অন্তর্গতও হইয়াছিল। নাগপুরের প্রাচীন অধিবাসী এবং বৈদেশিক শিক্ষিত লোকেদের বংশ অধিকাংশই নাগপুর ত্যাগ করিয়া অন্যত্র চলিয়া গিয়াছে। অধিকাংশ নিয়শ্রেণীর রাজপুতানাবাসী, মারহাট, উৎকলী, বাংগালী, খোট্ট মাগধী প্রভৃতি পার্বত্য জাতিসহ বাস করিয়া পাহাড়ী নাগপুরিয়া ভাষার বিকাশ করিয়াছে। স্বপ্রাচীন নাগ ভাষা এখন বিদ্যমান নাই। বৈদিক, জৈন, বৌদ্ধ প্রভৃতি সাহিত্যে নাগগণের যে-সকল বিবরণ উল্লিখিত আছে, তাহাতে নাগজাতির শৌর্যবীর্য্যের কথাই ব্যক্ত করে। বিত্রাস্বর প্রভৃতি নাগ বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। নাগ আহি বা সর্প নহে, বোধ হয় স্বভাবট সরল ছিল না এবং নাগ-কবলে পতিত হইলে আর উদ্ধারেরও উপায় থাকিত না। নাগপুর রাঢ়ের ন্যায় পারিপার্থিক অতি প্রাচীন রাজ্য, নাগ জাতিও স্বপ্রাচীন। ইহাদের আদি ভাষা কালপ্রভাবে, বিবিধ রাষ্ট্রীয় জাতি-প্রাধান্তে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হইয়া অভিনব ভাষার বিকাশ করিয়াছে, সেই ভাষাগত কালস্রোতের অন্তর্গত কোন ভাষার স্মৃতিচিহ্ন বিক্রমখোল লেখমালায় আবদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। ইহা সম্ভবতঃ পরিবর্তন প্রণালীগত কোন এক অবস্থার ভাষা। এই প্রকার প্রবাসী ;r SSOBO খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথম শতকে অবগু বিদ্যমান ছিল। বৰ্ত্তমানে বাংলা, পশ্চিম, উড়িয়া, দক্ষিণী এবং কয়েক প্রকার প্রাচীন পাহাড়ীয়া জাতির ব্যবহৃত ভাষার শব্দে নাগপুর মুখরিত হইয়া রহিয়াছে । বাংলা ভাষাও বহু রাষ্ট্রবিপ্লবের ফলে বৈদেশিক জনগণের সংঘট্রের হেতু এতাদৃশ সঙ্কর ভাষায় রূপান্তরিত হইয়াছে যে, প্রকৃত আদি বাংলা ভাষা কোনটি বলা যায় না। অথচ বর্তমান কাল প্রচলিত ভাষাই বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্ত কিছু নয়। বিশুদ্ধ বাংলা ভাষা, বোধ হয় সকল দেশের সকল ভাষাই-—বিরুত হইয়াছে, তদ্রপ পরিবর্তিত এবং বিরুত হইয়াছে। এই কারণে শুদ্ধি মানসে সংস্কৃত পণ্ডিত বাঙালীরা বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতজাত বলিয়া থাকেন। বাংলা ভাষা মিশ্রভাষা হইলেও কৃত্রিম ভাষাজাত নয়। অন্তান্ত ভাষার প্রভাব যেমন বাংলা ভাষায় বিদ্যমান, তদ্রপ সংস্কৃত প্রাধান্তও ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতগণের শাস্ত্রীয় প্রাধান্তে বিদ্যমান রহিয়াছে। প্রাকৃত বাংলা ভাষার শব্দ যথেষ্ট সংস্কৃত শব্দে বিদ্যমান রহিয়াছে। মূলের একতা হেতু বাংলা ভাষা সংস্কৃতজ বলিয়া বোধ হয়। সেইরূপ সংস্কৃতের দিক দিয়া দেখিলে দেখা যায়, সংস্কৃত দ্বিবিধ প্রাকৃত ভাষা হইতে জন্মলাভ করিয়াছে। মৃতরাং সংস্কৃত প্রাকৃতজ ভাষা রুত্রিম উপায়ে গ্রথিত । বিক্রমখোল-লিপি বিবুতি আক্ষরিক পাঠ জ (ত) ল (জউ)-ই (অ)-ছন্দ (ন)-ম-ল-জং-ট র-জ ( ব)-ই-ত-ল-ঈ-অ-স-জ-ই (জ ) দ-ন-শ-ল-ই-স-জজ-জজ-জঙ্ক-অ-র-গ (গং ) অং-ব-গ্র-প্র-জ-গং-অ (গাং-গংক্স)-ই-ল-ই-জ-স-ল-জ অ-জ-ঝ-গ{ গা )-লা (লি )-গু-ল-র-ল্প-স-সি-র-ই-লুল । শব্দগত পাঠ छल ( उल) झेइक् भलयझे ब्रछ ठालौग्रन् ३छ्न नल ऐन ( नि) छछ छख छझ (य) ब्रश (१९) वर गण &छशर (शां२) ইল ( লি ) ইজ (জি) সলজ অজ যগ ( গা ) ল। (লি) অ, ( যগা ইআংণ পরতি ? ) ইঅংশ পরতি মং (ই)ল (লি) গুল ই (অই=অং) (ই: ) ঈম্বং পতি ( মূ) মজ (মং বা মাং)ইল (লি ? ) গুলর রস সিরঞ্জ ইলুল...

  • রস সিয়-রস—৬, সির—স্বৰ্ষ ১, ১৬ রাজাঙ্কের সঙ্কেত বলিয়: মনে হয়। এখন নিশ্চয় বলা যায় না।