পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ শুভঙ্গ 6839 করার স্বযোগ যদি সে পায়। এদিকে পীর কৃষকও কারখানার সংশ্রবে এসে পল্লীর সঙ্গে যোগ রক্ষার সুযোগ পেলে তার অধিকতর কল্যাণ সাধিত হবে। অর্থ উপার্জনের পক্ষেও এই দুটি জীবনের সহযোগ বিশেষ ফলপ্রস্থ হবে। চাষী সারাবছর জমির কাজে নিযুক্ত থাকে না। অবসর সময় তার বৃথা নষ্ট হয়। উচ্চতর সামাজিক মর্ধ্যাদার দরুণ অনেক ক্ষেত্রে জমিহীন মজুরদের মত সব কাজেই সে হাত দিতে পারে না । তারপর বন্যা, অজন্মা ইত্যাদি কারণে ছুর্ভিক্ষের প্রকোপে তাকে মাঝে মাঝে পড়তে হয়। সঞ্চিত অর্থের অনাধিকা-হেতু এ সময় তার বড় কষ্ট হয়। এদিকে পৈত্রিক সম্পত্তি একাধিক ভাইয়ের মধ্যে বিভক্ত হয়ে, জমির আয়ে হয় তো একজনেরও পারিবারিক ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হয় না। এসব কারণে পল্লীর গৃহস্থকে চাকরি, ব্যবসা বা কারখানার কাজে নিযুক্ত হয়ে জমির আয়ের উপরেও স্বতন্ত্র উপার্জন করে সংসার চালাতে হয়। আবার, কলকারখানা, ব্যবসা বা চাকুরিই ধাদের উপার্জনের একমাত্র পন্থা সঞ্চিত ধন দিয়ে জমি খরিদ করা এবং বেকার বা অবসরপ্রাপ্ত অবস্থায় একটি শান্ত পঞ্জীর কোলে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করার আকাঙ্ক্ষা তাদেরও হওয়া স্বাভাবিক। এই উভয় অবস্থায় জমির উপর তার স্বত্ব থাকা আবশ্যক। আমাদের বর্তমান প্রজাস্বত্ব আইনের ধারা এবং এদেশের কোন কোন অর্থনীতিজ্ঞের আধুনিক আন্দোলন ঠিক এই পথে নয়। শহরের সঙ্গে পল্লীর, কারখানার সঙ্গে জমির এবং সমষ্টির সঙ্গে ব্যষ্টির যোগ সাধন করে ভারতীয় চিত্তের বৈশিষ্ট্যকে রক্ষা করে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিধিব্যবস্থার প্রবর্তন করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। শৃঙ্খল শ্ৰীমুখীরকুমার চৌধুরী J এবারেও নন্দের খোজ কেহ করিল না । সমস্তটা দিন অজয় আশায় আশায় রহিল, নিজে হইতেই সে ফিরিয়া আসিবে। একাকী এত বড় ভূতুড়ে বাড়ীটাতে সমস্ত রাত্রি ভম্বের উদ্বেগে তাহার ঘুম আসিল না। হয়ত এখনই নন্দ আসিয়া পড়িবে ; ঐ হয়ত বাহিরের উঠানে তাহার পায়ের শব্দ শোনা যাইতেছে ; সে যা ছেলে, হয়ত অজয়ের ঘুম ভাঙাইতে চাহে না বলিয়া বারান্দায় পড়িয়াই নাক ডাকাইতেছে ; এমনই ধারা সব আশাও সেইসঙ্গে-জাগিয়া রহিল। কিন্তু নন্দ ফিরিল না। পরের দিন রবিবার, আফিস-আদালত সব বন্ধ, খবর লইবার ইচ্ছা থাকিলেও খবর পাইবার উপায় নাই । সোমবারে উপযুপিরি উপবাস ও অনিত্রার ক্লাস্তিতে অজয়ের চলচ্ছক্তি লোপ পাইয়াছে। মনকে বুঝাইল, এই অবস্থায় *फिरण ननe fठेक ठांशंब्रहे भङ शकशब्र कब्रिड । चाकरी, এই বিপুল পৃথিবীতে মুখে দুঃখে দীর্ঘ আঠারোটা বৎসর অতিবাহিত করিয়াও এই প্রিয়দর্শন স্বল্পভাষী নিরহস্কার বালক নিজের জীবন দিয়া কাহারও জীবনকে গভীর ভাবে স্পর্শ কয়ে নাই। নন্দের কেহ বন্ধু নাই।--অবগু ভাবিয়া দেখিতে গেলে অজয়েরও কেহ বন্ধু নাই। এই ত স্বভদ্র । অজয়কে সে ষে এত ভালবাসিত, পক্ষীমাতার মত ডানা মেলিয় তাহাকে সারাক্ষণ সমস্ত-প্রকার আঘাত-অবমাননা হইতে আবৃত্ত করিত, আজ সেই স্বভদ্র অজয়ের এই নিদারুণ দুখের দিনে তাহার কথা একবারও কি মনে করে ? কিন্তু বন্ধু বলিতে পৃথিবীতে স্বভদ্রেরই বা কে আছে ? বীণার কথা ক্রমাগত কানে বাজিতে থাকে— ‘কোনো মানুষের কথাই কি ভাবেন একবারও...কেউ কারুর ভালোমদেও নেই আপনার ” ...কিন্তু এমন যে বীণা, সেও কি অজয়ের কথা আজি একবার ভাবে ? লে কোথায় আছে, কেমন আছে, বাচিয়া