পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q: Ay" SSD8O ছাদের মেয়েরা আলাপ-পরিচয় ও ভাবের আদান-প্রদান করিতে পারে, সেখানকার একটি কল্পনা-প্রস্থত কথোপকথন উদ্ধৃত করিতেছি, “দেখ বোন, অমুকের ছেলেটি কেবল যে পাস করল তা নয়, ২০< জলপানিও পেয়েছে, কিন্তু আমার কি পোড়াকপাল! ছেলেট এবার ফেল হয়েছে।” কিন্তু তখন তিনি ভুলিয়া যান যে অন্তরাল হইতে ছেলে কান পাতিয়া সব শুনিতেছে। আজ বহুদিন হইতে আমাদের সমাজের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল যে, যে-ছেলে পরীক্ষা পাস করিতে পারিল না তাহার জীবন বিফল ও নিরর্থক। এই ধারণার যে কি বিষময় ফল ফলিতেছে তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। এমন অনেক ছেলেও দেখা যায় যাহারা পরীক্ষায় অকৃতকাৰ্য্য হইয়া মুখ দেখাইতে লজ্জা পায়, এমন কি, আত্মহত্যাও করে। ইহার জন্য দায়ী মা-বাপ, অভিভাবকগণ ও সমাজ । জগতের ইতিহাস আলোচনা করিলে দেখা যায়, পাসকরা ছেলের দ্বারা বড় একটা মহৎ কিছু সম্পাদিত হয় নাই। কারণ তাহারা আটঘাট-বাধা ধারাবাহিক কাজ ভিন্ন অন্ত কিছু করিতে সক্ষম হয় না। পাস করা ছেলে ও টুলোপণ্ডিত অনেকটা এক ধরণের । একটি প্রচলিত কথা আছে, স্বামপঞ্চানন বা তর্করত্ন মহাশয় গাড় হাতে করিয়া মাঠে প্ৰাত:কৃত্য করিতে গিয়াছেন, কিন্তু ফিরিবার সময় দ্যায়শাস্ত্রের ফিকিরী আলোচনা করিতে করিতে তন্ময় ও অন্যমনস্ক হইয়া যখন গ্রামান্তরে চলিয়া গিয়াছেন, তখন তাহার চৈতন্য হুইল । পুথিগত বিদ্যা যথার্থই ভয়ঙ্করী। কতকগুলি গং মুখস্থ করিয়া আওড়াইতে পারাই যে বিদ্যাশিক্ষা, এ ভ্ৰমাত্মক ধারণা যতদিন না আমাদের সমাজ হইতে দূরীভূত হয় ততদিন বাঙালী জাতির উদ্ধার নাই। উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের ভূতপূৰ্ব্ব রাসায়নিক ডক্টর হানকিন একখানা পুস্তক লিখিয়াছেন। তিনি তাহাতে কেতাবী বিদ্যা বৈজ্ঞানিক ভাবে সমালোচনা করিয়াছেন। অর্থাৎ তিনি দেখাইয়াছেন যে, যদি ভবিষ্যৎ জীবনে উপার্জন করিয়া খাইতে হয় তাহা হইলে এই শিক্ষা জীবনসংগ্রামে সহায়ক না হইয়া পরিপন্থীই হয়। বিখ্যাত রবার্ট ক্লাইভ বাল্যকালে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করিতে না পারায় ডানপিটে ছেলেদের নেতা হইয়া নানা প্রকার লঙ্কাকাও কল্পিতেন, কখনও বা উচ্চ গির্জার শিখরে আরোহণ করিয়া ভয় দেখাইতেন যে, এইখান হইে পড়িয়া মরিবেন। তাহার পিতা এই ডানপিটে ছেলের হা হইতে পরিত্রাণ পাইবার নিমিত্ত লওনে ঈষ্ট ইণ্ডি কোম্পানীর কর্তৃপক্ষদের বলিয়া-কহিয়া পুত্রের জন্ত এক কেরাণীগিরি জুটাইয় তাহাকে মাত্রাজে প্রেরণ করেন। এ রবার্ট ক্লাইভ যে কি প্রকারে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখাই৷ ভারতে ইংরেজ-রাজত্বের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছেন তাঁহ এখানে বলা নিম্প্রয়োজন । ইদানীং সমগ্র আফ্রিকায় বৃটিশ সাম্রাজ্যের স্থাপনক সিসিল রোডস অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন ছিলে বটে, কিন্তু লেখাপড়ায় আদেী পারদর্শিতা লাভ করিে পারেন নাই । দ্বিতীয় চালসের সময়ের একজন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ধনী স্ত জোসাইয়া চাইলডস একটি আপিসের ঝাড়ুদার ছিলেন লেখাপড়ার বড় একটা ধার ধারিতেন না, কিন্তু স্বী প্রতিভাবলে উন্নতি লাভ করেন এবং সর্বশেষে ঈষ্ট ইণ্ডি কোম্পানীর প্রধান পরিচালকের পদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া প্রভূ ধনোপার্জন করেন । বাঙালী ছাত্র প্রায়ই নিজেকে বড় বুদ্ধিমান বলি গৰ্ব্বানুভব করে, কিন্তু কথায় বলে যত চতুর তত ফতুরকথা বেচিয়া খাওয়া কয়দিন চলে ? শুধু কথায় চিে ভেজে না । বাঙালী ছেলেদের শৈশবাবস্থা হইতে এইরূ চতুরতা অবলম্বন করা অর্থাৎ ফাকি দিয়া পাস করা এক চরিত্রগত দোষ হইয়া দাড়াইয়াছে। আমি অর্ধশতাৰ ধরিয়া এই অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি যে, বকৃত-প্রস:ে কোন বিষয় বিশদরূপে বুঝাইবার জন্ত নানারকম দৃষ্টাস্তে সহায়তায় যদি সেটুকু হৃদয়ঙ্গম করাইবার চেষ্টা করা যায়, তে ছেলেরা কখনও মনোযোগ দিবে না এবং ইহার দরুণ যা তাহাদিগকে ধমকৃ দেওয়া যায় তাহ হইলে নিলজি ভাবে বলে ‘মহাশয়, ও ত পরীক্ষা পাস করিতে লাগিবে না । গু কলেজের ছেলেদের দোষারোপ করিতে চাহি না, স্কুলে ছেলেদের মধ্যেও এই পাপ চুকিয়াছে। বাল্যকালে আমর मर्थन छूटलग्न निग्नteवंगैरङ अथाङ्गन कब्रिडांब ठशन जख्षिां দেখিয়া শব্দার্থ বাহির করিতাম, এমন কি সময়ে সম:ে ওয়েবষ্টার দেখিয়া শব্দের প্রমাণ ও প্রয়োগ জানিতাম