পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাত্র . খোলাটাকে সরাইয়া রাখিয়া গেল না, কাছার জন্ত রাখিবে ? একটি স্ত্রীলোক বাইতেছে, কাহারও বাড়ীর কি হইবে, একটি পাতলা শাড়ী মাত্র পরিয়াছে, রোদটা ওপাশে... কলিকাতা ! মনে মনে কালীঘাট হুইতে বরানগর পয্যন্ত নিত্যকার দেখা পথঘাট, লোকজন, তাহদের স্থখদুঃখ আশ|ভয়সম্বলিত জীবনযাত্রাকে বারম্বার মনের মধ্যে উণ্টাইম পাল্টাইয়া সে ভাবিতে লাগিল। ইহার সমগ্রতায় কোথায় বহুযুগের ভারতবর্ষের তপসার রূপ, ইহার কোন স্তরে আর্য্য সভ্যতা, বৌদ্ধ সভ্যতা, ইসলামীয় সভ্যতার অবশেষ প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে, বিংশ শতাব্দীর ইউরোপই বা ইহার মধ্যে কোথায় ? অপরাপর দেশের মানুষ আজ অতি-মানুষ হইয়। বিবৰ্ত্তিত হইবার সাধন করিতেছে, কলিকাতার কদর্যাতায় ব্যাধজীৰ্ণতায় যথেচ্ছাচারে এ কি জিনিস মূৰ্ত্তি ধরিয়া উঠতেছে ? অতি-মানুষ ? মাকুম ? না তদপেক্ষ নিকৃষ্টতর কোনও জীব ? অথবা কিছুই কি মূৰ্ত্তি ধরিয়া উঠিতেছে ? ঘে বাসে যাইতেছিল, আশান্বিত হৃদয়ে তাহার মধ্যে তাকাইল। একজন স্থূলকায় ঘাড়ের চুল চামড় ঘেঁসিয়া ছাট, হাটবুট শোভিত বাঙালী ভদ্রলোক সম্ভবতঃ তাহার আফিসের ছোট সাহেবের মত নাক উচানো মুখভঙ্গি করিয়া বসিয়া আছেন, থৰ্ব্ব নাসিক তে ভঙ্গিটা মানাইতেছে ন। তাহার পাশে এক দরিদ্র মুসলমান বসিয়াছে, সতর্ক হইয় তাহার ছেমি বঁাচাইতেছেন। ঠিক সম্মুখেই একপাল ছেলেমেয়ে লইয়া একটি মহিলা জড়সড় হুইয়া বসিয়া আছেন, মনে হইতেছে তিনি ভদ্রলোকের কেহ নহেন, কেননা ঠিক র্তাহার পাশেই একজন মাড়োয়ারী হাটুর উপরে কাপড় তুলিয়৷ প৷ উঠাইয়া বসিয়া একমনে র্তাহাকে নিরীক্ষণ করিতেছে। বিরক্তিতে অজস্তুের দাতে দাত বসিয়া যাইতেছিল, কিন্তু ক্রমে দেখ্রিজ, ইহার কেহ শারীরিক স্বস্থ নহে, সজীব নহে, স্বাভাবিক নহে, কেহ যে পেট ভরিয়া খাইতে পাইয়াছে এমন মনে হয় না, ইহাদের সকলেরই চোখে কি অব্যক্ত ভয়ের ভাব, যেন প্রত্যেকের জীবনের মর্থস্থানটিতে কোন পুলিসের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আসিয়া পৌঁছিয়াছে। কেবল সেইখানে ইহাৱা সকলেই যেন পরম নিরিপ্ততায় বিমানের ধরণে ঠোঁট টিপিয়া হাদিতেছে। চরমতম স্বৰ্গতির মধ্যেও বিদ্রোহ করা कांशटक कण देशबा बांटन न । श्रृंचण

একটি বৃদ্ধ গাড়ীর এক প্রাপ্ত হইতে প্রায় অপর প্রান্তে উপবিষ্ট জঙ্ক একটি ভদ্রলোককে বলিতেছেন, “একটা দিন ছাড়া পাবার জো আছে ? বাড়ীতে হাসপাতাল সেছে। গিল্লির হৃদরোগ, এখনতখন বললেই হয়, মেজো মেয়ের স্থতিক, ছোট ছেলের আমাশা, যে ছেলেট বি-এ দেবে এবারে লে আবার সম্ভবতঃ কালাজর বাধিয়েছে, সকালে বিকালে জয় উঠছে, জানি না কি আছে অদুষ্টে । একটা ত গেল বছর কলেরাতে গেল।” অপর ভদ্রলোকটি একটা পান লষ্টয়া মুখে পুরিতে পূরিতে বলিলেন, “ আমায় আর কি শোনাচ্ছেন মশাই ? সব ময়েঝ’রে ত দুটি নাখনীতে ঠেকেছে। বড়টির এবার বিয়ের সম্বন্ধবাদ করব ভাবছিলাম, ভাক্তারর টিবি সন্দেহ করছেন।" ঘুণ ক্রোধ এবং গ্লানি করুণায় রূপান্তরিত হইয়া যাইতেছে। : -- - * - প্রথম ভদ্রলোকটি একটু পরে আবার কছিলেন, “মনে করে শীগগির টিকে দেওয়াবেন । এবারে মড়কের বৎসর।" দ্বিতীয় ভদ্রলোক একটু হাসিয়া যেন নিজের মনেই কহিলেন, “আর মশায়, সব বৎসল্পষ্ট মড়কের বৎসর।” ঐ হার্সিটি অজয় কিছুতে ভুলিতে পারিতেছে না। সে নিজে মাঝে মাঝে ঠোঁট টিপিয়া বিমানের পূরণে হাসে, সেও · কি ঐ একই জাতের হাসি ? ভালে, ভারতবর্ণ ছাড়া আর কোনও দেশের মানুষ এই হাসি ঠিক এমনষ্ট করিয়া কি হাসিতে পারে ? ভাবে, এষ্ট রোগ-শোক-দুঃখ-দারিদ্র্য, এই দুর্ভিক্ষ, মহামারী, অজ্ঞান, অস্বাস্থা, পরাধীনত, ইহার মধ্যে কোথায় আমাদের গৰ্ব্ব ? নীরবে নতমস্তকে পুরান পোড়ো বাড়ীটাতে ঢুৰিতে যাইতেছিল, সহসা বিছাংস্পষ্টের মত ফিরিয়া দাড়াইল । মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় দ্রুত পথ অতিবাহিত করিতে করিতে অৰ্দ্ধকূট স্বরে বলিতে লাগিল, আমি সত্যের সাক্ষাংকার লাভ করিয়াছি। যে-সত্যের প্রতীক্ষা ছিল আমার জীবনে, সেই সত্যকে আমি আজ প্রত্যক্ষ করিয়াছি । ষ্টকাষ্ট সত্য, এই সত্য । शृथळांबैौ cनाक छू-७कजन अबांगू हझेछ। मैंiज्जाड़ेब्र फांशदक ফিরিয়া দেখিল । -