পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঙঙ্গর ইতিহাস Q& 8=րsiIալ করিয়া স্থির চিত্তে সংঘত ভাবে অশুভ নাশ করিতে হয় গড়িবার বাধা নাই। কিন্তু পুরাতনের রসে বিভোর চিত্তে সে তাহার সম্যক পরিচয় পাইবে । গড়িতে না বলিলে পুনরুজ্জীবন সম্ভব হইবে না। সেই রস এই চারিখানি মহিষমৰ্দ্দিনী মূৰ্ত্তি তুলনা করিলে দেখা যাইবে, হিন্দু শিল্পী স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়া মূৰ্ত্তি গড়িতে বসিতেন না । ধাহারা প্রাচীন শিল্প পুনরুজীবিত করিতে চাহেন তাহাদেরও স্বাধীন ভাবে রূপ পুরাতনে থাকিলেও চিরন্তন। সেই রস সঞ্চারিত করিতে না পারিলে রূপস্থষ্টি সার্থক হইবে না। আধুনিক কালের শিল্পিগণ মহিষমৰ্দ্দিনীর মুক্তিতে বাৎসল্য রস সঞ্চারিত করিতে গিয়া বিড়ম্বন করিতেছে । I আড়ার ইতিহাস ঐীখগেন্দ্রনাথ মিত্র কোন প্রত্নতাত্বিক গভীর গবেষণা নহে, একটি নিশীথের ঘটনামাত্র। তখন আমি পড়াশুনা;ছাড়িয়া গুহে বেকার বসিয়া আছি । আমাদের বাড়ির তিনখানি বাড়ি পরে রাধিক1. প্লারের বাড়ি । ছোট একখানি একতলা দালান—সম্মুখে : একটু মাঠ, তিন দিকে কয়েকটা বড় বড় ফলের গাছ। ঐ সঙ্গে জায়গাও খানিকটা করিয়া আছে। রাধিকাবাবু উকীল । বেশ দ্ব-পয়সা রোজগার করিয়া থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ষে তাহার সস্তান একটিও নাই এবং স্নেহ বা দয়াপরবশ কোন আপোগণ্ডকে তিনি পালনও করেন না । স্বয়ং তিনি, স্ত্রী অমলা, একটি চাকর ও একটি ঝি লইয়। তাহার সংসার। সখের মধ্যে কেবল দাবা খেল। সখ বলি কেন, তাহা তাহার একটি নেশা । তিনি ছুই দিন উপবাস করিতে পারেন, কিন্তু একদিনও দাবা না খেলিয়া স্থির থাকিতে পারেন না। তাহার মত আরও একজন আছেন—রেল-পাড়ার দামোদর ভট্টাচার্ষ্য । তিনিও উকীল। তাহারই ক্ষুদ্র বৈঠকখানাটিতে প্রতিসন্ধ্যায় দাবার আডড বসে, চার পয়সার তামাক পোড়ে এবং একটু বেশী রাজেই এক পক্ষ মাৎ হইয়া খেলা সাঙ্গ হয় । তারপর ষে যাহার মত ঘরে ফিরিয়া চলেন। সকলের অপেক্ষ রাধিকাবাবুকেই ইটিতে হয় অধিক। সেই কোথায় রেল-পাড়া আর কোথায় আমলা-পাড়া —মাঝে দেড় মাইল পথ। ছোট শহর। শহর না বলিয়া একখানি প্রকাও গ্রামকে শহরের ছাচে ঢালিবার মূৰ্ত্তিমান ব্যর্থ চেষ্টা বলাই ঠিক। পথের ছু-ধারে বড় বড় গাছ ও জলনিকাশের গভীর খানা। খানার ছুটি পাড়ে ছোট ছোট ঝোপ ঝাড় ও কাটাগাছের জঙ্গল। সন্ধ্যার ছায়াপাতের সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি ঝিল্পীমুখর হইয়া উঠে। পথের মাঝে মাঝে কেরোসিনের আলোকস্তম্ভও আছে। কিন্তু জ্যোৎস্নারাত্রে সেগুলি জলে না এবং অন্ধকার রাত্রেও পথিকের পথ-ভ্ৰান্তি দূর না করিয়া পতঙ্গদলের জন্ত চিতাৰহ্নি জালাইয়। দাড়াইয়া থাকে মাত্র। অবশ্য বাড়িঘরও আছে । কিন্তু রাত্রিকালে গৃহস্থ ত জাগিয়া বসিয়া থাকে না ; তাই গভীর রাত্রে পথ চলিবার কালে আপনার পদশৰে। আপনি চমকিত হইতে হয় । শীতকাল। রাধিকাবাবুর সেদিন আদালত হইতে ফিরিতে বেল গড়াইয়। সন্ধ্যা লাগিয়া গেল। তাই ভাল করিয়া জলযোগেরও সময় হইল না। ওদিকে হয়ত এতক্ষণে চন্দরবাবু ও ভটচাষ ছক পাতিয়া বসিয়া গেছে ; হৃদয় ঘোষ ও বিজয় দত্ত তাকিয়ার উপর উপুড় হইয় পড়িয়া তামাক টানিতে টানিতে তাহাদের চাল দেখিতেছে, আর তারিফ করিতেছে। কথাগুলি মনে করিয়া তিনি খাদ্যগুলির কয়েকটা কোনমতে গিলিয়া ফেলিলেন। তারপর তামাক সেবনেরও সময় হইল না,