পাতা:প্রবাসী (ত্রয়স্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

∞ከot আজ্ঞার ইতিহাস Vo2 দামোদর বলিলেন,—“ষদি একান্তই যাবে, চাকরটাকে একটা আলো দিয়ে সঙ্গে পাঠাই—” “দরকার নেই। তুমি একটা ছাতা, একটা লণ্ঠন আমাকে দাও—* বলিয়াই রাধিকাবাবু বাহিরের দরজাট খুলিয়া ফেলিলেন। কি গাঢ় অন্ধকার! উপরে নীচে কোথাও একটু আলো দেখা যাইতেছে না । দুই চারিট জোনাকী বৃষ্টি-বাতাস তুচ্ছ করিয়া সেই অন্ধকারসাগরে এদিক-ওদিক ভাসিয়া বেড়াইতেছে মাত্র। সহসা পথ হইতে সজল হিম বাতাসের একটা দমকা আসিয়৷ র্তাহার মুখে-চোখে বিধিয়া ঘরময় ছড়াইয়া গেল । তিনি তাড়াতাড়ি দরজাট বন্ধ করিয়া দিলেন । দামোদর বলিলেন,-“ভাই ত বলছি থাক—” *'না, না, না । আলে। ক্ষেপেছ ?” “ক্ষেপেছ তুমি । চাকরটাকে সঙ্গে—” • রাধিকাবাবু দামোদরের কথার কোন জবাব দিলেন না। দীর্ঘ আলেষ্টারের বোতাম আঁটিয়া, আলোয়ানখানি মাথায় গায়ে বেশ করিয়া জড়াইতে লাগিলেন । এবং তখনই ইত্য ছাতা আনিয়া দিলে ফরাসের উপর হইতে লণ্ঠনটি তুলিয়। দরজার বাহিরে আসিয়া ছাতাটি খুলিয়। পথে লামিয়া পড়িলেন । জনহীন অন্ধকার পথ। চারিদিক হইতে ভেক ও ঝিল্লীর একটানা চীৎকার ও হাকাইকিতে মুখর। বৃষ্টি ও বাতাসের বিরাম নাই। দু-পাশে গাছগুলির শাখা ও পল্লব হইতে জল ঝরিয়া নির্জনতা যেন আরও বাড়াইয়া তুলিতেছে। দাও—ছাত দাও । রাধিকাবাবুর ভয় বরাবরই কম। সে জন্য এই অবস্থার মধ্যে পড়িয়া কেবল আসোয়াস্তি বোধ করিতে লাগিলেন। চলিতে চলিতে র্তাহার জুতা, জামা, কাপড় ভিজিয়া উঠিল। শীতে পাজরাগুলি অবধি কাপিতেছে। লন্ঠনের আলোয় বেশীদূর দেখা যায় না। বাতাসের দমকায় डांश घन घन कtभाहेब डॉ*बा ठिभूमौछि भनैौभञ्च कब्रिग्रा ফেলিতেছে। পরিশেষে সে মান আলোটুকুও থাকিল ন-ভৈলাভাবে বার দুই শ্বাস টানিয়া নিবিয়া গেল। এবার চারিধারে পরিপূর্ণ অন্ধকার । রাধিকাবাবুর মনে o হইল, তিনি যেন সহসা মৃত্যুলোকের মাঝে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কিন্তু বাড়িও আর বেশী দূর নহে। মাখন ময়রার দোকানের বন্ধ ঝাপের ঈষৎ ফাকে সোনার দাগের মত একটু আলোক দেখা গেল। পরিচিত পথ হইলেও সেই গাঢ় তমিস্রা ঠেলিয়। তিনি দ্রুত অগ্রসর হইতে পারিলেন না । অমলা হয়ভ এভক্ষণে ঘুমাইয়। পড়িয়াছে। সে নিশ্চয় করিয়া জানে, তিনি আসিবেন না ; দামোদরের বাড়িতেই মহাম্মুৰ্বিতে রাত্রি কাটাইতেছেন । ইহাতে তাহার অভিমানের সীমা নাই। কিন্তু কোথায় দামোদরের বাড়ি, আর, কোথায় এই শীতের রাত্রে জলকাদা ভরা অন্ধকার পথ। তাহার বেশভূষার অবস্থা দেখিয়া অভিমান গলিয়। গিয়৷ আমগার মন কিরূপ অনুকম্প ও শঙ্কায় ভরিয়া উঠিবে। স্ত্রীর তখনকার অবস্থ। কল্পনা করিয়। রাৰিকবাৰু অস্তরে অন্তরে পুলকিত হইয়। উঠিয়৷ সেই দুঙ্গয় শীতেও একটু আরাম বোধ করিলেন। কিন্তু অমল যে ভয়তরাসে! কিছুতেই একাকী ঘুমাইতে পারে না । কিন্তু না ঘুমাইয়াই বা এত রাত্রে জাগিয়া বসিয়া করিতেছে কি ? তিনি ত আর আসিতেছেন না। আর, ভয়েরই বা কি আছে ? বাহিরের একখানি ঘরে চাকর থাকে, চারিধারে লোকজনের বাস, পাড়ার মাঝখানে বাড়ি । একট। ইকি দিলে দশট। লোক ছুটিয়া আসিবে । কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় তবুও মাছুষের ভয় করে । অল্পক্ষণের মধ্যেই তিনি রথতলার মোড় ঘুরিয়া, পোড়া-ভিটার পাশ দিয়া চলিতে লাগিলেন। পথের দক্ষিণে খানকয়েক বাড়ি, তারপরই সান্তালদের পুষ্করিণী । তাহার খানতিনেক বাড়ি পরেই তাহার একতলা দালান । চোখ দুটিতে অন্ধকার সহিয়া যাওয়ায় পথটা একটু স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। বাড়িঘরও যেন একটু চেনা যায়। অমনি রাধিকাবাবুর হাতে-পায়ে বল ও গভীর রাত্রে নিদ্রার মাঝখানে অতর্কিতে দেখা দিয়া স্ত্রীকে কিরূপ আশ্চৰ্য্যস্থিত করিয়া ফেলিবেন এই চিস্তায় মনে আনন্দের সঞ্চার হইল। এবার তিনি দ্রুত চলিতে লাগিলেন । বৃষ্টিও তৎক্ষণাৎ চাপিয়া আসিল, বাতাসও দাপটে জাগিয়া