পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$రిషి AeeAe eMAe AeeA AeeAMMASAMAMA MAeMA MMS সাহসের কাজ করিয়া, জেলে গিয়৷ নানা প্রকার দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ ও উৎপীড়ন সছ করিয়াছে। মুখোমুখি করিলেই যদি সাহস হয়, বালকের তাহাতেও কম নয়। দণ্ড দিতে সমর্থ ম্যাজিষ্ট্রেটকে অনেকেই বলিয়াছে, “আপনার আদালতের, আপনার গবর্ণমেণ্টের আমাদের বিচার করিবার কোন অধিকার আমরা স্বীকার করি না, এবং আপনার কোন কথার জবাবও আমরা দিব না।” বস্তুত, এক সময়ে এমন হইয়াছিল, ঠিকৃ যেন দণ্ড গ্রহণ করিবার কাড়াকড়ি পড়িয়া গিয়াছে । অতএব, বাঙালী এক্ট প্রথম সাহস দেখাইল, এমন নয় । শান্ত ও ধীর সাহসিকতা ষ্টজুক ও উত্তেজনার সময় এবং ব্যক্তিগত ব| জাতীয় অপমানের প্রতিশোধ দিবার ও প্রতিকার করিবার নিমিত্ত সাহস দেখান অপেক্ষাকৃত সহজ ; যদি ও সাধারণতঃ লোকে তাহা মনে করে না । কেননা, সব দেশেই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দেওয়াটাই সাহসের চূড়ান্ত নমুনা বলিয়৷ সচরাচর গঙ্গীত হয়। কিন্তু বাস্তবিক যেখানে উত্তেজন নাই, প্রতিশোধের ভাবও নাই, বাহব পাইবার সম্ভাবনা ও কম, সেখানে কেবল পরহিতার্থ প্রাণ দিতে প্রস্তুত হওয়া ও থাকাই সাইসের চূড়ান্ত আদর্শ ; এবং তাঙ্গ মানবের সৰ্ব্বাংশে কল্যাণকর । অনেক বাঙালী এই সাঙ্গস দেখ|ইয়াছে । কিছু দিন আগেও চাদপুরে বহুসংখ্যক কুলির সমাগমে ওলাউঠার মারা হয়। তখন প্রাণকে তুচ্ছ করিয়া অনেক বাঙালী ছেলে রোগীদের মলমূত্র বমন স্বহস্তে পরিষ্কার এবং সেবা করিয়াছিল । তাহাদের প্রত্যেকের নাম করিয়া কোন কাগজ জয়ঢাক বাজায় নাই । যে ছএকজন সেবা করিতে গিয় স্বয় পীড়িত হয় ও মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাহীদের ও নাম আমরা শুনি নাই, শুনিয়া থাকিলেও এখন ভুলিয়া গিয়াছি । অথচ ইহাদের চেয়ে বেশী সাহসের কাজ কয় জন করে ? আদর্শ কৃষিক্ষেত্র স্থাপনের প্রয়োজন আমাদের দেশে অল্পসংখ্যক স্থানে গবৰ্ণমেণ্ট পরীক্ষা করিয়। দেখেন ও দেখান, যে আধুনিক প্রণালী অহুসারে প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩ওe ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড কৃষিকাৰ্য্য করিলে কিরূপ ফল পাওয়া যাইতে পারে । কিন্তু ঠিক ব্যবসা হিসাবে এইরূপ কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রণালীতে চাষ করিয়৷ কিরূপ লাভ হইতে পারে, তাহ। বেসরকারী কোন লোক এখনও বিস্তৃতভাবে কাজ করিয়া দেখান নাই। অথচ ইহার খুব প্রয়োজন আছে। শ্ৰীযুক্ত পুলিনবিহারী দাস মানুষকে দলবদ্ধ ভাবে স্থপৃঙ্খলার সহিত কাজ করাইতে সুদক্ষ । দেশহিতার্থ খাটিবার ইচ্ছা এবং শক্তিও তাহার আছে । তিনি উক্ত প্রকার একটি রুষিক্ষেত্র চালাইবার মানসে বাংলা দেশের লোকের নিকট একটি “নিবেদন” হাতে লষ্টয় দাড়াইয়াছেন। তাহ আমরা নীচে মুদ্রিত করিলাম — নিবেদন . আমাদের এই কৃষি-প্রধান দেশে আধুনিক উন্নত প্রণালীর চাষলাসাদি প্ৰবৰ্ত্তন করার একৗস্তু প্রয়োজন হইয় পড়িয়ছে । বৈজ্ঞানিক উপায়ে কৃষিকাৰ্য্য আরম্ভ করিলে দেশের অর্থ-সমস্ত যে বস্থ পরিমাণে মিটিতে পারে, সে বিষয় এক প্রকার নিশ্চিত । আমাদের দেশের লোকের ইহাতে এখনও বিশ্বাস জন্মে নাই ; তাহার এ বিষয়ে মান্ধাতা আমলের পুরাতন পদ্ধতি ও সাধারণ কৃষককুলের উপরেই নির্ভর করিয়৷ রহিয়াছেন। সংঘবদ্ধতl. ব্যবসায়ের জ্ঞান ও সতক কন্মশীলতা দ্বারা যে আধুনিক জগতের প্রতিযোগিতায়ও লব্ধপ্রতিষ্ঠ এবং উন্নত হওয়া যায়, সে বিষয় এখনও কেহ বড় ভাবিয়া দেখেন না । ঐরাপ ভাবিয়াই আমি একটি কৃষি-সমবায় স্থাপন করিতে মনস্থ করিয়াছি, এবং সেইজস্ত কতকগুলি ( প্রায় ৩ হাজার বিঘা ) জমিও ংগ্ৰহ করিতেছি । যে অর্থের প্রয়োজন, তাহ আমার নাই ; দেশবাসীগণ অর্থদ্বারা আমুকুল্য করিলে এই অনুষ্ঠানটি সম্ভব হইতে পারে। আশা করি দেশবাসীগণ হইতে অর্থসাহায্য পাঙ্গতে বঞ্চিত হইব না । কৰিলর ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় আমাকে উৎসাহিত করিয়া ২৪শে ডিসেম্বর ১৯২২ তারিথে লিখিতেছেন :– “Realising the great importance of organising a large scale farm on a commercial basis, in order to prove to our countrymen the efficacy of improved methods of agriculture, and knowing for certain that Mr. Pulinbihari Das is one of the most rare of our workers, who has the disinterested spirit of service and marvellous power of organisation necessary for guiding such a work into success, 1 promise to pay Rs. 500 as my contribution to the fund for which he appeals to the country. RAIzı NiorA NATII TAaior E.” এ সম্বন্ধে অনুগ্রহপূর্বক কেহ কিছু বিস্তারিত জানিতে চাহিলে আমি সাগ্রহে জনাইব । ইতি— নিবেদক ঐ পুলিনবিহারী দাস, ৯•। ১ মেছুয়াবাজার স্ট্রট, কলিকাতা ।