পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ fאאה וא AAAAAA AAAA AAAA AAAAMAMAMAMAMeMMAMAMAMAMMAMAMM MMM পথ। গৌরীশঙ্কর গিয়া হাতিমের সেনাপতির সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি র্তাহাকে সঙ্গে করিয়া শাহজাদার নিকট লইয়া গেলেন। শাহজাদা মোসাহেবদিগকে একেবারে ত্যাগ করিতে পারেন নাই। এখনও তাহাকে কয়েকজন ঘিরিয়া ছিল । সেনাপতি কহিলেন, “ইনি শাহজাদ রুস্তমের নিকট হইতে আসিয়াছেন।” শাহজাদ কহিলেন, “কি উদ্দেশ্যে ?” গৌরীশঙ্কর কহিলেন, “শাহজাদা রুস্তমের ইচ্ছা যাহাতে ভ্রাতৃবিরোধ না হয়। আপনার দুই জনই সম্রাটু হইতে পারেন না। তবে সন্ধি করিলে যুদ্ধ বিগ্রহ নিবারিত হয়।” “তিনি সন্ধি করিতে চান ?” “আপনি রাজি হইলে । যুদ্ধে ও সন্ধিতে দুই পক্ষের প্রয়োজন ।” “র্তাহার প্রস্তাব কি শুনি ?” يوه “তিনি আপনাকে দক্ষিণাত্যের প্রতিনিধি রাজা স্বীকার করিতে প্রস্তুত আছেন।” “আর তিনি সম্রাটু হইবেন ?” মোসাহেবর হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল । একজন বলিল, “এই ত সহজ মীমাংস ! শাহজাদা, আপনি দক্ষিণে ফিরিয়া চলুন !” শাহজাদা বলিলেন, “যে প্রস্তাব রুস্তম্ করিয়াছেন মনে করুন সেই প্রস্তাব আমার পক্ষ হইতে করা হইল। র্তাহাকে আমি একটা স্থব ছাড়িয়া দিব।" “এমন করিয়া সন্ধি হয় না।” “সন্ধির কথা আমি তুলি নাই। আমি জ্যেষ্ঠ, সিংহাসন আমার ।” “যে বলবান সিংহাসন তাহার। শাঙ্গজাদ রুস্তম্ আপনার অপেক্ষা বলবান ।” একজন মোসাহেব বলিল, “গুস্তাকি !” হাতিম কহিলেন, “কে বলবান যুদ্ধক্ষেত্রে প্রমাণিত হইবে। সন্ধিতে ছল থাকিতে পারে, বল নাই।" “এই আপনার শেষ কথা ?” “আমার আর কিছুই বলিবার নাই ।” গৌরীশঙ্কর ফিরিয়া আসিলেন । बंझड़ौ---; AMAAA SAAAAA AAASA SAAAAS MMM AM AM eM MAMAM MeM MMM eM MMM MM MM MM MMMM MMM MM MM MAM S \to ാ শাহজাদ রুস্তম্ সকল কথা শুনিয়া হাসিয়া বলিলেন, “আমি ত আপনাকে বলিয়াছিলাম।” অষ্টাবিংশ পরিচ্ছেদ মনসবদার কি স্থির করিলেন মনসবদার কেল্লাতে ফিরিতেই একটা তুমুল আন্দোলন আরম্ভ হইল। মনসবদার একটা দেশের শাসনকৰ্ত্ত, এমন কি বাদশাহের সমান বলিলেই হয়। র্তাহাকে কিনা দুই বিঘার আসামী একটা হিন্দু গ্রেপ্তার করে, তাহার সওয়ারদের ঘেরাও করে : সৈন্তের আস্ফালন করিয়া চীৎকার করিতে লাগিল, “হুকুম পাইলে আমরা এখনি গিয়া সেই দুইটা লোকের মুণ্ড বর্শায় গাথিয়া আনি আর তাদের লাশু শকুনি দিয়া খাওয়াই ।” শুনিয়া মনসবদার মক্কুম শাহকে ডাকিয়া বলিলেন, “উহাদের গোলমাল করিতে বারণ কর । বুঝাইয়া বল যে গোলমাল করিলে সব ফাসিয়া যাইতে পারে। বল যে আমি সব ঠিক করিয়া, সময় বুঝিয়া পূরা বদলা লইব, ওই হিন্দুট ও তাহার বানরটাকে টুকুর টুকরা করিব, সৈন্যেরা বাড়ীর অওরতদের বেইজ্জত করিবে, বাড়ীর একখানা ইট থাকিবে না । কিন্তু হল্লা করিলে গোল বাধিয়া যাইবে শিকারের দিন মনসবদারকে যখন বিহারীলাল সাক্ষাৎ মৃত্যু হইতে রক্ষা করিয়াছিলেন, তখন শেখ জলালুদ্দীন সাহেব কি বলিয়াছিলেন মনে পড়ে ? মক্‌দুম শাহ কথাটা খুব রংদার করিয়া সৈন্তদিগকে শুনাইলেন । তাহারা চেচামেচি বন্ধ করিল কিন্তু তাহাদের আস্ফালন বাড়িল । সব চেয়ে সুন্দরী অওরত কে লইবে এই কথায় ঘোর তর্ক বাধিল । কেহ বা কোমর হইতে ছোরা বাহির করিয়া কহিল, “এই দিয়া বিহারীলালের দিল টুকরা ট্রক্রা করিয়া কুত্তাকে দিয়া খাওয়াইব ।” অন্দর মহল হইতে খোজা আসিয়া মনসবদারকে বলিল, "বেগম সাহেবার হুজুরের ইন্তজারি করিতেছেন।” মনসবদার বলিলেন, “যাইতেছি।” বেগম-মহলে ও এক ট। সোরগোল হইতেছে ।