পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-લાર્નો- ત્તિનાવ, ૭૭ موا “তাহাই হইবে,” থাপা হইয়। মক্‌দুম শাহ চলিয়া গেলেন । * * সৈন্যের আয়োজন তেমনি চলিতে লাগিল । একদিন মনসবদার চল্লিশ জন অশ্বারোঙ্গ লইয়া আগমন করিলেন। মেজাজ গরম, মুখে নিষ্ঠুরতার চিহ্ন আরও স্পষ্ট । না বসিয়াই তিনি বলিলেন, “বিহারিলাল চৌধুরী, আগুন লইয়া খেলা করিলে হাত পুড়িবে ইহাতে বিচিত্র কি ? আমি তোমার নিকট উপকত তাহা ভুলি নাই, কিন্তু যাহার নিমক পাই তাহার কাছে নিমকহারামী করিতে পারি না। তুমি বিদ্রোহীর আচরণ করিতেছ, অতএব তোমাকে গ্রেপ্তার করিলাম। এ মহকুমার শাস্থির জন্য অামি দায়ী ।” বিহারীলাল স্মিতমুখে মনসবদারের কথা শুনিতেছিলেন । কহিলেন, “আপনি কি আমার গ্রেপ্তারির আদেশ পাইয়াছেন ?” “কাহার আদেশ ? এখানে হুকুম ত আমার । ইচ্ছ। করিলে তোমাকে গ্রেপ্তার করিতে পারি, ইচ্ছা করিলে ফাসি দিতে পারি।” “বটে ? বাহিরে কে আছ ? পুণ্ডরীক " পুণ্ডরীক তৎক্ষণাং উপস্থিত, বিহারীলালের মূখ দেখিয়৷ অসিমুষ্টিতে হাত দিল। বিহারীলালের মুখের হাসি তখনও মিলায় নাই, কিন্তু মুগের ভাব বড় কঠিন, নিশিত খঙ্গের ন্যায় চক্ষু জলিতেছিল। "পুণ্ডরীক, বাহিরের অশ্বারোঙ্গাদিগকে ঘেরা ও কর । যদি বল প্রকাশ করে, কাটিয়া ফেল ।” পুণ্ডরীকের শিক্ষা হইয়াছিল ভাল। দরজার দিকে এক পদ আগাইয়। লাশী বর্তির করিয়া বাজাইল । দেখিতে দেখিতে এক শত অশ্বারোহী উলঙ্গ অসি হস্তে মনসকদারের অশ্বারোহীদিগকে ঘিরিল । মনসবদারের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়৷ বিহারীলাল কহিলেন, “ইহাকে গ্রেপ্তার কর " পুণ্ডরীক কলের মত ঘুরিয়া মনসবদারের পাশে গিয়া তাহার স্কন্ধে হাত দিল । বিহারীলাল বজ্রকঠিন স্বরে, অথচ ধীরে, কহিলেন, "ঞ্জলালদীন মনসব দাব- এখন যদি তোমাকে আক্ষণশ । ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড বাড়ীর বাহিরে গাছে লটুকাইয়া দিই, তাহা হইলে কে তোমাকে রক্ষা করে ?” মনসবদার ভীরু প্রকৃতির লোক নহেন আর সত্য সত্যই যে বিহারীলাল তাহাকে ফার্সি দিবেন সে আশঙ্কা ও তfহার হয় নাই, তবে অপমানে ও ততোধিক লজ্জায় তিনি মৰ্ম্মাহত হইলেন । তিনি সে অঞ্চলের প্রধান রাজকৰ্ম্মচারী, বিহারীলাল ধনী হইলেও রইয়ত, র্তাহার শাসনের অধীন। তাহার তুলনায় বিহারীলাল বালক। সে কি না একট। সামান্য ভূত্যের সমক্ষে তাহাকে এমন করিয়া অপমান করে, প্রাণদণ্ডের ভয় দেখায় । ক্ৰোধ সম্বরণ করিয়া মনসবদার কহিলেন, “তুমি আমাকে আজ সে অপমান করিলে তাহার শাস্তি বাদশাহ দিবেন।” বিহারীলাল কছিলেন, “বাদশাহ কে ? আজ এক বাদশাহ, কাল অন্য বাদশাহ। যিনি বাদশাহ হইবেন র্তাহার আদেশে আমি ফৌজ জড় করিতেছি, এ কথ: আপনি জানেন ?” মনসবদার চিন্তিত হইলেন। তবে ত বিহারি লালেব পিছনে শাহজাদ রুস্তম আছেন । বাদশাহ এতক্ষণ জীবিত আছেন কি না তাহাক্ট বা কে জানে ? মনসবদার নিজে ত এ পর্য্যন্ত কোন ভাইয়ের দিকে হইবেন স্থির করিতে পারেন নাই । ভাল করিয়৷ ভিতরের কথা ন জানিয়া বিহারীলালকে এ রকম করিয়া ভয় দেপান ভাল কাজ হয় নাই । জলালুদ্দীন স্বর বদলাইলেন। নরম হইয়৷ কহিলেন, “তুমি যে শাহজাদ রুস্তমের আদেশে এই সকল আয়োজন করিতেছ তাই। আমি জানিতাম না।" “কেন, আমি ত মক্কুম শাহকে বলিয়াছিলাম যে আমি আদেশ-মত এইরূপ করিতেছি । শাহজাদ কিংব। আর কাহার ও নাম নাই বা বলিলাম।" “আমার বুঝিতে ভূল হইয়াছিল, তুমি কিছু মনে করিগু না । এখন যাহা হইয়াছে, তুলিয়া যাও ।” সরলভাবে হাসিয়া বিহারীলাল কহিলেন, “আমি কোন কথা মনে রাখিব না, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন।” মনসবদার বিহারীলালের হাত ধরিয়া সেলাম করিয়া চলিয়া গেলেন । ( ক্রমশ: ) - & =ìrs*=-r*e• •aw>*