পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বর্তমান মানবসমাজকে বুঝতে হ’লে মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক বিচিত্র সম্বন্ধকেও বুঝতে হবে, মাতুষের সঙ্গে মানুষের মিলন ও বিরোধের বহু রূপ ও ক্ষেত্রকে বুঝতে হবে । বৰ্ত্তমান যুগের মানুষ যে এই রকম হয়েছে, তার ও একটা কারণ আছে এবং সেই কারণ মানবসমাজের ইতিহাসের মধ্যে পাওয়া যায়। মহিষ যে এক এক দেশে এক এক রকম ভাবে বাস করে, তার রীতিনীতি শিল্পকলা প্রভৃতিও যে নানান দেশে নানান রকম, তার ও কারণ আছে । এই-সব বুঝতে হ’লে সামাজিক বিজ্ঞানগুলিব চর্চ। প্রয়োজন । এই সামাজিক বিজ্ঞানগুলির মধ্যে একটি বিজ্ঞান অনুসন্ধান করে—-কি করে মনুষ্যসমাজে স্থপস্বাচ্ছন্দ্য আসে ; যে-সব জিনিষ ও যে-অবস্থা পেলে মাজুষের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি হয়, সে-সকল জিনিষ ও অবস্থার প্রতি তার আকর্ষণ মানুষ কি ভাবে প্রকাশ করে ; কোনো ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ বাড়লে বা কমলে তা কি কারণে বাড়ে ব৷ কমে ; কোনে। স্বাভাবিক ( অর্থাং মহন্তাম্বষ্ট নয় ) নিয়ম অথব! নিয়মসমষ্টির উপর মানবসমাজের স্বচ্ছন্দ্য নির্ভর করে কি না, এবং যদি করে ত সে নিয়মগুলি কি কি ? এই বিজ্ঞানকে সামাজিক-স্বচ্ছন্দ্য-বিজ্ঞান, কল্যাণবিজ্ঞান অথবা শ্ৰীবৃদ্ধি-বিজ্ঞান বলা যেতে পারে ( The Science of Social Welfare or Economics ) মানুষ ও তার আর্থিক ও বৈষয়িক ব্যবহারই হচ্ছে এই বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। এ-বিজ্ঞানের অঙ্গুসন্ধানের ক্ষেত্র অনেকট হাটে বাজারে । এতে এর দাম হয় ত অনেক হাট-বাজার-স্থদ-ও-খাজনা-বিদ্বেষীর কাছে কমে’ যাবে ; কিন্তু মনে রাখতে হবে, যেমন মানুষকে স্বস্থ রাখতে হ’লে রোগ সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা দরকার ও সহর পরিষ্কার রাখতে হ’লে ময়লা নর্দমা সম্বন্ধেও জ্ঞান অর্জন করতে হয়, সেই রকম মনুষ্যসমাজকে আরও মুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য দিতে হ’লে স্বপস্বীচ্ছন্দ্যের সহায়গুলির সঙ্গে অন্তরায়গুলিকেও নেড়ে চেড়ে দেখতে হবে। তা ছাড়া আর-একটা কথাও ভাবতে হবে। অনেক বৈষয়িক ব্যাপার সম্বন্ধে আমাদের মনে নানারকম বিরুদ্ধ وتا مصوقتا সামাজিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা E AA eMS MAM eA AA MMeM MMA AMMee eAMMAA AA ASASASA SA A AS MA MMAAA SAAAAA SAAAA SAAA AAAAMMM MMM M MMMAAA AAAA AAAA SAAAAASA SAAAASAAAA নির্ভর করে। లిe(t AAA AAAS AAAA S AAAAA AAAA M SS S SS LS SAAAAS AAAA S AAA S AAAA S অধিকাংশ ক্ষেত্রেষ্ট এই-সব বিষয়ে আমাদের আংশিক জ্ঞান ইঙ্গর জন্য দায়ী । কোনো একটা বৈষয়িক ব্যাপারের একটা দুষ্ট, অবস্থার পরিচয় মাত্র পেয়ে আমর। ব্যাপারটার ভাল মন্দ সমস্তটা সম্বন্ধেই এক কথায় সিদ্ধান্ত করি । বৈজ্ঞানিকভাবে সব জিনিষটা খুটিয়ে দেখলে হয় ত আমাদের অনেক কুসংস্কার ও ভ্রান্ত সংস্কার কেটে যেতে পারে। আমাদের দেশের দুঃখ অনেক ও দারিদ্র্য ভীষণ । এসব দূর করতে হবে এল তার জন্যে ভালমন্দ সব কিছু দেখতে হবে, ছুতে হবে। প্রসিদ্ধ দার্শনিক ক্টং (Comte) বলেছেন, ‘হৃদয় আমাদেব সমস্ত গুলি অতুভব করায়, আর বুদ্ধি করে তার সমাধান । হৃদয় আমাদের আজ ভাল করেই সম্ঝিয়ে দিচ্ছে, যে, দেশের সর্বাপেক্ষা নিদারুণ সমস্যা তার দাবিদ্র। স্বাচ্ছন্দ্য-বিজ্ঞানের চর্চা ও চর্চার ہے ہی ہی۔ مخہ-عمححم-حب جمہ حہ حاص ---عمـم۔ عی ভাব আছে কেন ? ফল অনুসারে কাজ করা এ দারিদ্র্য দূর করবার একমাত্র পথ । স্বাচ্ছন্দা একটা মানসিক অবস্থ মাত্র । কিন্তু কতকগুলি মানসিক কারণ বা কারণসমষ্টি হ’তেই স্বাচ্ছন্দ্যের উৎপত্তি, এই যদি আমর। মনে করি, তবে ভুল করব । বাহবস্বগত কারণেই অধিকাংশ স্থলে স্বাচ্ছন্দ্যের আবির্ভাব হয় ; কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই একই বাহ কারণবিশেষ উপস্থিত থাকলেই স্বাচ্ছন্দ্য ন। থাকৃতে পারে । যেমন, এক ব্যক্তিকে এক সের সন্দেশ দিলে তার স্বাচ্ছন্দ বাড়তে পারে, অথচ স্বাদজ্ঞান-হীন রুগ্ন ব্যক্তির কাছে ভার কোন ও মূল্য ন থাকৃতে পারে । ফিরিঙ্গিকে হ্যাট কোট টাই প্রভৃতি সরবরাহ করলে তার স্বাচ্ছন্দ বুদ্ধি হ’তে পারে, কিন্তু ব্রাহ্মণ-পণ্ডিত তাতে অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত এবং ব্যাকুলই হয়ে উঠবেন । কাজেই দেখতে পাচ্ছি, বাহবস্তুর স্বাচ্ছনাদানের ক্ষমত। গ্রহণকারীর মানসিক ও পারিপার্থিক অবস্থ। প্রভূতির উপর নির্ভর করে । স্বাচ্ছন্দ। মানসিক অবস্থামাত্ৰ হ'লেও আমরা দেপ্‌ছি, যে, সেটা বাহ বস্ব বা অবস্থার উপর অনেকটা বিজ্ঞানের একটা অস্ত্র যে ‘মাপজোখ’ তা আমরা জানি । যে-সব জিনিষ মাপ। যায় না, যে-সব