পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9లీly „AE ; : . * . ^ * *. ** o প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ AAAAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAMMMMAM AM AAMAAA AAAA SAAAAA AAAA AAASS پی-ایچ-محصیچ - یہم یہ [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড Ar" বেণী-নাগে তিব্বত-যাত্রীদল অবশেষে আমি পশ্চিম তিব্বতের অন্তর্গত মানসসরোবর ও কৈলাস-পৰ্ব্বতমালার চতুর্দিকুস্থ প্রদেশগুলি ভ্রমণ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলাম। এই প্রদেশ যুগ যুগ ধরিয়া শুধু যে ভারতীয় ও তিব্বতীয় হিন্দু ও বৌদ্ধগণ কর্তৃকই পূজিত হইয়া আসিতেছে তাহা নহে, পৃথিবীর অন্যদেশের লোকেও শত শত বর্ষ ধরিয়া এই বিস্ময়পুর্ণ স্থানটি শ্রদ্ধা- ও আগ্রহ সহকারে পরিদর্শন করিয়া থাকে । এই প্রদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং পবিত্রতা শুধু প্রাচীনতম সংস্কৃত গ্রন্থসমূহেই বিশদরূপে বর্ণিত নাই—যেসকল বিদেশী-পৰ্য্যটক এই পুতসলিল সরোবরটি দেখিয়া গিয়াছেন তাহারা সকলেই শতমুথে প্রকৃতির এই অপূৰ্ব্ব সৌন্দর্য্য-লীলার স্তবগান করিয়াছেন। প্রত্যেক ভক্ত হিন্দুই চতুধাম যাত্রাকেই জীবনের চরম সূক্ষ্য বলিয়া মনে করে। এই চারটি প্রধান ধাম বা ক্লীর্ঘ ভারতের চারি কোণে অবস্থিত। দক্ষিণে রামেশ্বর সেতুবন্ধ, পূৰ্ব্বে শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথ-ক্ষেত্র, পশ্চিমে দ্বারক ও উত্তরে বদরিকাশ্ৰম । বৰ্ত্তমান গাঢ়ওয়াল বা উত্তরাখণ্ড (গঙ্গার উৎপত্তি-স্থল ) সকল হিন্দুরই পুণ্য তীর্থ। প্রথম তিনটি তীর্থে যাতায়াতের সবিশেষ সুবিধা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু শেষ তীর্থ বিভিন্ন-স্থানে-অবস্থিত অনেকগুলি মন্দিরের সমষ্টি—এবং পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে অবস্থান হেতু সেখানে যাতায়াতও দুরূহ। এই রাস্তায় গ্রীষ্মকাল ব্যতীত যাতায়াত করা যায় না। উত্তরখণ্ডের প্রত্যেক তীর্থমন্দিরগুলির সহিত একএকটি পৌরাণিক অথবা ঐতিহাসিক তথ্যের সম্পর্ক আছে। কোনটি বা মহাদেবের ধ্যানস্থল, কোনটি বা শ্রীরামচন্দ্রের পাদস্পর্শে পবিত্র হইয়া রহিয়াছে, আবার কোনটি বা পাণ্ডবুদের অজ্ঞাতবাসের স্থান বলিয়া নির্দিষ্ট হয়। এই কারণেই প্রতি বৎসর সহস্ৰ সহস্র তীর্থযাত্রী গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ ও বদরীনাথের মন্দিরসমূহে সমবেত