পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪৬ তীর ধরিয়া কুমাউনের ভিতর দিয়া গিয়াছে। পরে এই পথ পাৰ্ব্বত্য প্রদেশসমূহের মধ্য দিয়া হ্রদের দিকে গিয়াছে ও তৎপরে পশ্চিমে বাকিয়া পুনরায় হিমালয় অতিক্রম করিয়া গাঢ়ওয়ালের ভিতর দিয়া বদরীনাথে আসিয়াছে। শেরিংও ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে তিব্বত যাইবার সময় এই পথে গিয়াছিলেন । কিন্তু ফিরিবার সময় তিনি পশ্চিম দিকের বিভিন্ন পথ দিয়া সোজা কুমাউনে আসিয়াছিলেন। র্তাহার স্থলিখিত ভ্রমণ-বৃত্তাস্তের সহিত এই প্রদেশের দুখানি সুন্দর স্বন্দর মানচিত্র পাওয়া যায়। ঐ মানচিত্রে থোলিং-মঠের স্থাননির্দেশ ভূল হইয়াছে। আমরা ১৯২২ খৃষ্টাব্দের s8झे खून লাহোর পরিত্যাগ করিয়৷ তৎপরদিন কাঠগুদামে পৌছি। সেই দিনই ২২ মাইল পথ মোটরে অতিক্রম করিয়া নৈনিতালে যাই । ১৫ই তারিখে আমরা আলমোড়াতে পৌছি। আলমোড়া নৈনীতাল হইতে ৮৪ মাইল দূরে অবস্থিত। এখানে যানবাহনের বন্দোবস্ত করিবার নিমিত্ত দুইদিন অপেক্ষা করিলাম । এখান হইতে কয়েকখানি পরিচয়পত্র ও বনবিভাগের ডাকবাঙ্গালাগুলিতে থাকিবার অনুমতিপত্র যোগাড় করিলাম। মালপত্র বহন করিবার জন্য ১৬টি খচ্চর ঠিক করা হইল । রাস্তার গাছ-গাছড়া ভাল করিয়া নিরীক্ষণ করিব বলিয়া আমরা আপাতত: পদব্রজে যাওয়াই স্থির করিলাম । গাঙ্গুলীহাট হইতে ছাত্রবন্ধুরা ভিন্নপথে আলমোড়া ফিরিবার জন্য বিদায় গ্রহণ করিল। এই স্থানটি চাবাগিচা শোভিত বেনী-লগ হইতে অল্প দূরে অবস্থিত। পথে আমরা মানাপ্রকার লতাগুল্মের নমুনা সংগ্ৰহ করিয়া লইয়াছি। পরে সেগুলি অধ্যাপনাকাৰ্য্যে ব্যবহার করা হইয়াছে। বংশ গাঙ্গুলীঘাট হইতে ১৮ মাইলের পথ । পথটি বড়ই দুর্গম—যেমন উচু রাস্ত প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩e [ ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড তেমনই গরম। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গেলে আমরা বংশে পৌছিলাম। জিনিষপত্র অনেক পরে আসিল । এখান হইতে ৭ মাইল পথ চলিয়া আমরা পিথোরা-গড়ে পৌছি। পিথোরা-গড় শোর-পটির প্রধান নগর । স্থানটি জনবহুল কৃষিকার্য্যোপযোগী উন্মুক্ত মাঠেরও এখানে অভাব নাই । - আসকোট পৌছিবার কিছু পূৰ্ব্বে আমরা হিমালয়ের প্রসিদ্ধ চূড়া নন্দাদেবী (২৫৬৮৯ ফুট উচ্চ ) খুব স্পষ্টরূপে দেখিতে পাইলাম । আকাশের অবস্থা ভাল থাকিলে এই শৃঙ্গটি আলমোড়া হইতেও দেখা যায়। রামগঙ্গার foश्ल|१| १|ंीक्ष्णं বামদিক হইতে—অধ্যাপক বিজনরাজ চট্টোপাধ্যায়, লেখক, অধ্যাপক চরণসিংহ, অধ্যাপক কাশ্মীর সিংহ ও অধ্যাপক হরক্ষিণ সিংহ পুল ভাঙ্গিয়া যাওয়ার জন্য আমাদিগকে ঘোরা পথে আসকোট আসিতে হইল । שי ১লা জুলাই আমরা আসকোটে পৌছি। স্থানীয় বাসিন্দা কুমার ভূপেন্দ্র সিংহ ও র্তাহার পিতার নামে পরিচয়পত্র ছিল । তাহারা ডাকবাঙ্গালাতে আমাদের সহিত দেখা করিলেন । কালী ও গৌরী নদীর