পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ) حتی به .۔-م۔-سمیہ۔-بی. বাবার ব্যবস্থা মানলেন, ন, মুখের ওপরে আমাকে স্পষ্ট দু-কথা শুনিয়ে দেবেন ?” রতন সলজ্জ মুখে ব্যস্ত হয়ে বললে, “ন, ন, মানলুম বৈকি, মানলুম বৈকি ! পূর্ণিমা দেবী, আপনার নমস্কার আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করেচি । আর, আমার স্পষ্ট কথার সম্বন্ধে আপনি যা শুনলেন, ও-সব হচ্চে মিঃ ঘোষের अङ्गाख् ि।” o পূর্ণিমা বললে, " , অত্যুক্তি নয় ; কালকের ব্যাপারের কথা আমি যে বাবার মুখে সব শুনেচি। কিন্তু যাক সে কথা, চা এদিকে জুড়িয়ে গেল!”— এই ব’লে সে “ট্রে’-থানা রেখে, একটা পেয়ালীয় চা ঢেলে রতনকে জিজ্ঞাসা করলে, “রতনবাবু, দুধ আর চিনি কতটা দেব ?” রতন বললে, “ও-বিষয়ে আমি নিৰ্ব্বিকার, আমার কোন মত নেই। চা বড়-একট। খাই না, চায়ের আদব-কায়দাও জানি নী—যেমন দেবেন, তাইতেই আমি রাজি ।” পূর্ণিমা বললে, “বুঝেচি। আপনাকে তা হ’লে দুধ আর চিনি বেশী ক'রে দিতে হবে।” ... ...চা-পান শেষ হ’ল । রতন উঠে দাড়িয়ে বললে, “মিঃ ঘোষ, আজ তাহলে আমাকে বিদায় দিন ।” পূর্ণিমা বললে, “সে কি, এরি মধ্যে ! এখনো যে আপনার গান শোনা হয়নি !” ' রতন বললে, “আমার গান যদি নিতান্তই শোনবার যোগ্য ব’লে মনে করেন, তবে আর-একদিন এসে সে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। বিনয়-বাবুর বাড়ীতে আমার একটি ছাত্রী এখন আমার অপেক্ষায় আছেন, আজ আমাকে দয়া ক’রে রেহাই দিন !” মিঃ ঘোষ বললেন, “আচ্ছা, আসচে রবিবারে আমার এখানে তোমার রাত্রের-খাওয়ার নিমন্ত্রণ রইল। কেমন, আসবে তো ? না, তোমার ঠিকানায় গিয়ে নিমন্ত্ৰণ ক’রে আস্ব ?” রতন বললে, “আমি আপনার বাড়ীতে বসেই নিমন্ত্রণ নিতে পারি—কিন্তু এক সৰ্ত্তে। আমি আপনাকে বেনে-জল یہ مہم مہم۔ 6.82 --سیمه مییهایی আর "মিঃ ঘোষ’ ব’লে ডাকৃতে পারব না—আমি চাই খাটি বাঙালী নামে আপনাকে ডাকৃতে ।” .. মিঃ ঘোষ সহাস্তে বললেন, “বেশ তো, আমার তাতে একটুও অমত নেই।” —“কিন্তু, দুখের বিষয়. আমি আপনার নাম জানি না !” —“আমার নাম আনন্দপ্রসাদ ঘোষ।” —“হ্য, আনন্দ-বাবু নামে ডাকৃতে পেলে বাস্তবিকই আমার মনে আনন্দ হবে! আপনাদের ঐ মিঃ অমুক, মি: তমুক শুনলে, কেন জানি না, আমার গায়ে যেন জর আসে !” সাত সন্তোষ ঘরে ঢুকে বললে, “স্বমি, রতন কোথায় ?” স্বমিত্র। আলমারির বইগুলো গোছাচ্ছিল। মুখ তুলে’ বিরক্ত স্বরে বললে, “বল রতন-বাৰু।” - সন্তোষ একটু অবজ্ঞার হাসি হেসে বললে, “বেশ, ধর তাই।” - স্থমিত্রা বললে, “তিনি এখনো আসেননি। হঠাৎ র্তার খোজ করুচ কেন ?" সন্তোষ বললে, “তার সঙ্গে আজ আমার একটু বোঝাপড়া আছে।” স্থমিত্রা বললে, “তার মানে ?” সন্তোষ বললে, “সে আমাদের কুমার বাহাদুরকে অপমান করেচে। —“কবে ?" —“কাল ।” —“ওঃ, সে কথা আমি শুনেচি। বাবা কাল মা’র কাছে রতন-বাবুর সংসাহসের স্বখ্যাতি করছিলেন।” —“স্বখ্যাতি করছিলেন ?” —"র্হ্য ।” —“দেখ চি ও-লোকটাকে নিয়ে বাড়ীম্বন্ধ সকলের মাথা খারাপ হ’য়ে গেছে।” - —“হ্যা, কেবল তুমি ছাড়া । তোমার ও-মাথা খারাপ হবার জিনিষ নয়।”