পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qbや প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩ee { ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড গৌতম বুদ্ধের আত্ম-চরিত সাধারণতঃ ভিনগান গ্রন্থ অবলম্বন করিয়া গোতম বুদ্ধের জীবন-চরিত লেখা হয়। সে তিনখানার নাম ( ১ ) অশ্বদোষের বুদ্ধচরিত ; ( 2 ) ললিত-বিস্তর ; এবং (৩) জাতকের উপক্ৰমণিক । এই উপক্ৰমণিকা নিদানকথা নামে পরিচিত । বুদ্ধদেবেব বহু পরে এই-সমুদায় গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল। এই-সমুদায় পুস্তকে সে-সকল ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হইয়াছে, তাতার অনেক ঘটন। কল্পিত, অনেক ঘটন। অতিরঞ্জিভ, এবং অনেক ঘটনা অভিপ্রাকৃত । এ-সমুদায় পাঠ করিয়৷ গোভম বুদ্ধের প্রকৃত জীবন-চরিত জানা যায় না। “ত্রিপিটক" বৌদ্ধধর্মের প্রামাণিক গ্রন্থ । কিন্তু এই ত্রিপিটকের ও বিভিন্ন স্তর আছে—কোন অংশ অতি প্রাচীন, কোন অংশ বা অপেক্ষাকৃত আধুনিক। বুদ্ধদেবের জীবনচরিত জানিতে হইলে এই প্রাচীন অংশেরই সাহায্য গ্রহণ করিতে হুইবে । এই প্রাচীন স্তরে উহার জীবন-বিষয়ে অনেক কথা পাওয়৷ সায় এবং অনেক স্থলে তিনি স্বয়ং ভিক্ষুগণের নিকট আত্ম-কাহিনী বর্ণনা করিয়াছেন। বুদ্ধদেবের আত্ম-চরিত বলিয়া যাহা পরিচিত, আমরা তাহাই অবলম্বন করিয় তাহার জীবনের কয়েকটি ঘটনা বিবৃত করিব । @ ১। পূৰ্ব্বপুরুষ গৌতম স্বয়ং বলিয়া গিয়াছেন যে স্বৰ্য্যবংশে তাঙ্গর জন্ম এবং ইক্ষুকু রাজা তাহার পূর্বপুরুষ । দীঘনিকায় নামক গ্রন্থে ‘অস্বঠস্বত্ত' নামক এক অংশ আছে । এই স্বত্তে লিখিত আছে যে এক সময়ে অম্বষ্ঠ নামক এক ব্রাহ্মণের সহিত গোতমের অনেক কথ হইযাছিল। সেই সময়ে গৌতম অম্বষ্ঠকে সম্বোধন করিয়৷ এইরূপ বলিয়াছিলেন :– “হে অম্বষ্ঠ ! শাক্যগণ ইক্ষুকু রাজাকে পিতামহ বলিয়৷ মনে করেন। ইক্ষুকু রাজার এক প্রিয় ‘মনাপ’ মহিষী ছিলেন । রাজা ইহারই পুত্রকে রাজ্য দিবার জন্য জ্যেষ্ঠ পুত্রদিগকে নিৰ্ব্বাসিত করিয়াছিলেন ।...তাহারা হিমালয়ের পাশ্বে কোন পুষ্করিণীর তীরে এক মহাশাকবৃক্ষের সমীপে বাসস্থান নিরূপণ করিয়াছিলেন। জাতি-সম্ভেদ-ভয়ে তাহারা অন্যত্র বিবাহ না করিয়া নিজ ভগিনীগণের সহিত বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ হইয়াছিলেন । ঙ্গে অথষ্ট ! কিছুকাল পরে রাজা ইক্ষাকু তাহার পরিষদ-অম। হ্যগণকে জিজ্ঞাস করিয়াছিলেন - “আমার কুমারগণ এখন কোথায় বাস করিভেছে ?” অমাত্যগণ বলিয়াছিলেন –*হিমালয়ের পাশ্বে কোন পুষ্করিণীর তীরে এক মহাশাকবৃক্ষ আছে। সেই স্থলে কুমারগণ বাস করিতেছেন । জাতি-সম্ভেদ-ভয়ে তাহার নিজ ভগিনীগণের সহিত বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ হইয়াছেন।” ইহা শুনিয় রাজা ইক্ষাকু এই উদান উচ্চারণ করিয়াছিলেন :–“ভো ! কুমারগণ শক্য ( শাকবৃক্ষবং দৃঢ় ), কুমারগণ পরম শক্য -- দীঘ ৩.৬ । এই শাকবৃক্ষের নাম হইতেই শাক্য বংশের নাম হইয়াছে । স্বত্তনিপাত গ্রন্থের একস্থলে ( ৯৯১ ) গৌতম বুদ্ধকে “ইক্ষাকু বংশের শাক্যপুত্র (ওঙ্কাকরাজস্স শক্যপুস্থ ) ठूलो श्हेप्लएझ् । ঐ গ্রন্থেরই অপর একস্থলে লিখিত আছে যে প্রত্ৰজ্য। গ্রহণ করিবার পর গোতম একদিন বিম্বিসারের রাজধানীতে ভিক্ষার জন্য গমন করিয়াছিলেন । সেই সময়ে রাজা বিম্বিসার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন—“তোমার জাতি কি ?” ইহার উত্তরে গোতম বলিয়াছিলেন“হিমালয়ের ঠিক পাশ্বে ধনবীৰ্য্যসম্পন্ন কোশলবাসী এক জনপদ আছে। ‘আদিত্য’ তাহাদিগের গোত্র এবং শাক্য' তাহাদিগের জাতি। আমি সেই কুল হইতে প্রত্ৰজ্য গ্ৰহণ করিয়াছি।" মহাবস্থা, ৪২২ । এখানে দেখা যাইতেছে যে আদিত্য-বংশে অর্থাং স্বৰ্য্য-বংশে গোতমের জন্ম ।