পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যn ] .يوه শৃঙ্গ ( কৃষ্ণসীর-শুঙ্গ-নিৰ্ম্মিষ্ঠ ) শৃঙ্গ (ইস্পাত-নিৰ্ম্মিত ) বিপদ নিত্য উপস্থিত হয় না বটে, কিন্তু মূখর্তা কিম্বা অসতর্কত নিবন্ধন বিপদ হঠাৎ উপস্থিত হইয়া একদিনেই সমস্ত সৰ্ব্বনাশ করিয়া দিতে পারে । ২ । সাহসে বুক বধিতে ন পারিলে কদাচ কোনও গুরুতর কিম্বা শ্রেষ্ঠ কৰ্ম্মই সম্পন্ন করিতে পারা যায় না । সাহসে ভর করিয়া অমুশীলন সহকারে কৰ্ম্মে অগ্রসর না হইলে কদাচ অপরিজ্ঞাত কৰ্ম্মপদ্ধতি সম্বন্ধে কোনও রূপ জ্ঞান কিম্বা বুদ্ধিই পরিস্ফুট হইয়া উঠিবে না। স্বতরাং বুদ্ধির পরবর্তী অবলম্বনীয় বিষয়ই সাংস। অভ্যাসের দ্বারাই, অর্থাৎ জ্ঞান-বিচার-পরিচালনা সহকারে সাহসিক কৰ্ম্মে লিপ্ত হইতে হইতেই সাহস বৃদ্ধি পাইয়া থাকে। ৩ । বুদ্ধি এবং সাহস বৰ্ত্তমান থাকিলেও তৎপরবর্তী প্রয়োজনীয় বিষয়—কৌশল। কৌশলী হইতে হইলে, অত্যন্ত ধৈৰ্য্যের সহিত বিনীতভাবে ভক্তি ও নিষ্ঠ সহকারে সেই বিষয়ে সৰ্ব্বদা গুরু-উপদেশ-অনুযায়ী কৰ্ম্মে রত থাকিতে হয়। যাহাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠ নাই, তাহারা কদাপি কোন বিষয়েই উন্নতি লাভ করিতে পারে না । し**ー? লাঠিখেলা ও অসিশিক্ষা গুরুবাক্যে মনোযোগী হইয়। ©8პა AMAAA AAAA AAAA AAAAM MA MA AMAAA AAAA SAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMMMMAMAAAS ৪ । বুদ্ধি, সাহস এবং কৌশল বৰ্ত্তমান থাকিলেও তংপরবর্তী প্রয়োজনীয় বিষয় ক্ষিপ্রকারিতা। দীর্ঘসূত্ৰতা এবং আলস্য ও জড়তা দূর করাই ক্ষিপ্রকারিতা লাভের প্রধান উপায় । কোন ও একটি কৌশল শিথিয়া, আর তাহার অভ্যাস ও আলোচনা ন রাখিয়৷ নিজ মনে নিজকে কৌশলী জ্ঞান করিলেই কোন স্বফল পাওয়া যায় না । কাৰ্য্যকালে ঐ কৌশল প্রয়োগ করিতেও পারা যায় না ; বাবম্বার ঐ কৌশলটির আলোচনা ও অনুশীলন দ্বারা ক্ষি প্রকারী হইলে, তবে ক্রমে উপযুক্তরূপে কৌশল প্রয়োগ করিবার ক্ষমতা জন্মিঃ থাকে । মন চক্ষু হস্ত পদ ও শরীর সম্পর্কিত ক্ষি প্রকারিত। পৰ্য্যায়-ক্রমে শেষের দিক্ হইতে ক্রমান্বয়ে অপেক্ষারুত অধিকতর শ্রেষ্ঠ ও প্রয়োজনীয়। মনের ক্ষিপ্রকারিতার নাম “ফুরৎ’ ( স্মৃত্তি ) ; চক্ষুর ক্ষিপ্রকারিতার নাম “ত্বরং” (তুরস্ত ) ; এবং হস্ত পদ ও শরীরের মি প্রকারিতার নাম “জুড়ৎ” (জড়তার অভাব)। ৫ । বুদ্ধি, সাহস, কৌশল এবং ক্ষিপ্রকারিত থাকিলেও তংপরবর্তী প্রয়োজনীয় বিযয় বল। বললাভের প্রধান উপায় ব্রহ্মচৰ্য্য, সদগ্রন্থ-পাঠ, সদস“সৰ্গ, সংবিষয়ের আলোচনা, দুষ্ট-সংসর্গ পরিত্যাগ, গুরুজনগণের প্রতি ভক্তি, সত্যাগুরক্তি, পরিমিত আহার-বিহার ও বাক্য-প্রয়োগ, ব্যায়ামচর্চা, পরিশ্রম, কষ্টসহিষ্ণুতা, শীত, বাত, গ্রীষ্ম, রৌদ্র, বৃষ্টি ও অনাহাবাদির কঠোরতা সহ করিবার অভ্যাস, স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়মপালন, মানসিক প্রফুল্লতা, তুষ্টি, ইত্যাদি । ৬ । এই পাঁচটি বিষয়ের উপর সমভাবে ধৈৰ্য্যের প্রাধান্ত ; সাধারণতঃ যাহা “দম” ( শম দম ) নামে অভিহিত হইয়া থাকে । মানবের ধৈযচ্যুতি হইলে, অর্থাৎ “দম”-হারা হইলে বুদ্ধি প্রভৃতি সমস্ত সদগুণই ব্যর্থ হইয়া যায়, এবং মানব প্ৰমাদগ্ৰস্ত হইয়া হিতে বিপরীত করিয়া ফেলে। ধৈর্য্য, স্থৈৰ্য্য ও দম বুদ্ধি করিবার প্রধান উপায় মনের দৃঢ়তা, কৰ্ত্তব্যপরায়ণত ও অধ্যবসায়। চঞ্চলত সৰ্ব্বথা পরিবর্জনীয়। যদিও বুদ্ধি প্রভৃতি গুণের উপরে ধৈর্য্য, স্থৈৰ্য্য ও দমের প্রাধান্য রহিয়াছে, তথাপি বুদ্ধি প্রভৃতি গুণাবলী না থাকি -