পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૧૨ર્ડ শোধির্ত ১৬ • টাকা +কুড়ি বৎসরের স্বদ ১৪০ টাকা + বিক্রীত জিনিষ বা শ্রমের মূল্য ৭৫, একুনে ৩১৫ টাকা । যদি শতকরা ৯৫ বিলাতে খরচ করিতে হয় তাহা হইলে ইংলণ্ড পায়, আসল ১•• +হদ ১৪• +বিক্রীত জিনিষ বা শ্রমের মূল্য ৯৫, একুনে ৩৩৫ । চক্রবৃদ্ধি ধরিলে আরও বেশী হয়, তাহ ধরিলাম না । অবশ্য ইংলগু ৭৫ বা ৯৫ টাকার বদলে কিছু জিনিষ ও শ্রম দেয় বটে, কিন্তু ঐ জিনিষের বাজার দর তার চেয়ে কম, এবং যে কাচা মাল বা উপাদান হইতে উহা প্রস্তুত তাহার দাম আরও কম । প্রমের দাম সম্বন্ধে কি আর বলিব, ইংলণ্ডে লক্ষ লক্ষ ৰেফার লোক বসিয়া আছে ; বিলাতী গবর্ণমেণ্টকে তাহাদিগকে ভাতা দিয়া বঁfচাইয়া রাখিতে হয় । সুতরাং তাহাদের শ্রম করিবার স্থযোগ লাভ পরম সৌভাগ্য । এই সৌভাগ্যের কারণ ভারতবর্ষ—সেই ভারতবর্ষ, যেখানে কোথাও না কোথাও দুর্ভিক্ষ লাগিয়াই আছে এবং যাহা এরূপ অতিথিবৎসল দেশ, যে, প্লেগ ইনফ্লুয়েঞ্জা আদি কোন বন্ধু একবার অrলিলে আর নড়িতে চায় না। “জোর যার মুলুক তার” নীতির উপর জগতের রাষ্ট্রনীতির ভিত্তি স্থাপিত। “জোর যার ব্যবসা তার” ইহা ঐ নীতিরই অার একটা রূপ স্বতরাং ন্যায় অন্যায়ের কথা তোলা বেকুবী । তথাপি অভ্যাসদোষে ন্যায় অন্যায়ের কথাটা তুলিতে হইতেছে। স্বায়তঃ ইংলণ্ড বলিতে পারেন, “তোমরা যদি আমাদের প্রদত্ত ঋণের প্রায় সবটাই ইংলণ্ডে প্রচ না কর, তাহা হইলে আমরা তোমাকে টাকা ধার দিব না :- তাহার উত্তরে ভারতবর্যও গুীয়তঃ বলিতে পারেন; “তাহাতে আমি রাজি আছি । আমি যেখানে কম স্বদে টাকা পাইব সেই থানেই ধার করিব ; এবং সেই ধার করা টাকা হইতে যে খানে সরেস মাল সস্তায় পাইব সেই খানেই কিনিব । ইহাতে রাজি আছ ত ? কি বল ?” প্রতিশোধ, না আত্মরক্ষা ও আত্মসম্মান রক্ষা ? এখন পর্য্যন্ত জগতে এইরূপ ধারণা চলিয়া আসিতেছে, যে, ব্যক্তির পক্ষে যাহা চুনীতি, জাতির পক্ষে তাহা বৈধ । যখা, এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তির সম্পত্তি কাড়িয়া লইলে প্রণালী—ঙীন্দ্র, ১৩es · AAAAAA AAAA SAAAAS SAAAAAS AAAAA AAAA AAAA MAeS , 1 २eन धी*,४भ १७ می همتیمیههایی cनकँी झब छांकांडि ; किरू uक ब्रांखि थांब्र. ♛क बांडिब्र দেশ কড়িয়া লইলে তাহ হয় বৈধ বীরত্ব। কিন্তু, কাজে না হইলেও, মানুষের বিচার এখন ক্রমশ:, ধর্থনীতি, ব্যক্তি ও জাতির পক্ষে সমানভাবে প্রযোজ্য, এই সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রসর হইতেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্ৰীষ্টীয়:ধর্থশাস্ত্র অনুসারে প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধ ধৰ্ম্মসংগত নহে। -মহাভারতে আছে :–“অক্রোধেন জয়েৎ ক্ৰোধং, অসাধুং সাধুন জয়েৎ, জয়েৎ কদৰ্য্যং দানেন, জয়েৎ সত্যেন চামৃতম্।” ধৰ্ম্মপদে ৰুদ্ধদেবের উপদেশ আছে —“আকোঁধেন জিনে কোধং, অসাধুং সাধুনা জিনে, জিনে কদরিয়ং দানেন, সচ্চেনালীকবাদিনম্।” উভয়েরই তাৎপর্ধ্য এই, যে, ক্রোধকে প্রেম দ্বারা, অহিতকে হিত দ্বারা, লোভীকে দান দ্বার, মিথ্যাবাদীকে সত্য দ্বারা জয় করিবে । খৃষ্টীয় শাস্ত্রেও শক্রকে ভালবাসিবার, যাহারা দ্বেষ করে, তাহাদের হিত করিবার, উপদেশ আছে । অবশ্য কোন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়েরই অধিকাংশ লোক এই উচ্চ উপদেশঅনুসারে কাজ করে না । তাহা হইলেও মহাজনদের উপদেশ মানিলে ইহা বলিতে হয়, যে, ব্যক্তি বা জাতি কাহারো পক্ষে প্রতিহিংসার নীতি অবলম্বনীয় নহে । এই কারণে, আমেরিকা, কেনিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের লাঞ্ছনা ও তাহীদের প্রতি অবিচার হইয়াছে বলিয়া যে প্রতিশোধ দিবার ( retaliation এর ) কথা উঠিয়াছে, আমরা সেভাবে কাজ করিবার সমর্থন করি না। কিন্তু যে তিনটি কাঙ্গ করিবার কথা দৃষ্টান্তস্বরূপ অনেকে বলিতেছেন, তাহার সমর্থন আমরা করিতেছি এই জন্য, যে, উহার সবগুলিই একটুও ক্রুদ্ধ না হইয়া করা যায়। প্রথমত:, কথা উঠিয়াছে, দক্ষিণ-আফ্রিকার কয়লার উপর শুদ্ধ বসাইবার। দক্ষিণ-আফ্রিকা বা পূর্ব আফ্রিকা কোথাও আমাদের জাত-ভাইদের উপর কোন প্রকার দুর্ব্যবহার না হইলেও আমরা এই ব্যবস্থার সমর্থন করিতাম। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার গবর্ণমেণ্ট, তথাকার জাহাজের মালিকদিগকে টাকা (bonus) দিয়া তথাকার কয়লা সামান্ত ভাড়ায় পশ্চিম ভারতীয় বন্দরে পৌছাইয়াদিতেছে। ইহাতে বঙ্গের কয়লা দক্ষিণ আফ্রিকার কয়লার সহিত প্রতিযোগিতার দরুন বিক্ৰী হইতেছে না।